অস্ট্রেলিয়ায় কার্বন কর বিল পাস

স্ট্রেলিয়ায় বিতর্কিত কার্বন কর বিল পাস হয়েছে। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অত্যন্ত স্বল্প ব্যবধানে পাস হয় বিলটি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান উদ্যোগ হিসেবে পার্লামেন্টে এ বিল তুলেছিল সরকার। তবে বিরোধীদের আশঙ্কা, কার্বন কর চালু হলে চাকরি হারানো ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে।গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের মাথাপিছু হারের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে আছে। তবে কার্বন নিঃসরণ বন্ধে কর আরোপের বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিতর্ক আছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড দুইবার এ ধরনের আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন।


বিষয়টিকে তাঁর ক্ষমতা হারানোর একটি কারণ বলেও বিবেচনা করা হয়। গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে জুলিয়া গিলার্ড কার্বন কর আরোপ না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টির সদস্যদের সমর্থন নিয়ে অত্যন্ত সংকীর্ণ ব্যবধানে ক্ষমতায় আসেন তিনি। মূলত এ কারণেই কার্বন কর বিল উত্থাপন করে সরকার।
নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে কার্বন করসংক্রান্ত 'ক্লিন এনার্জি বিল ২০১১' পাসের বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের বিরাট জয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিলটি তাঁর ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিলের পক্ষে পড়ে ৭৪ আর বিপক্ষে পড়ে ৭২ ভোট। বিলটি উচ্চকক্ষের অনুমোদন পেলে প্রায় ৫০০ কম্পানি প্রতি টন কার্বন নিঃসরণের জন্য কর দিতে বাধ্য হবে। প্রতি টন কার্বন নিঃসরণের জন্য ২৩ ডলার (অস্ট্রেলীয়) দিতে হবে তাদের। অনুমোদন পেলে আগামী বছর ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে আইনটি।
কার্বন কর নিয়ে ভোটের আগে জুলিয়া গিলার্ড বলেন, 'যাঁরা ভবিষ্যতে একটি ভালো পরিবেশের আশা করেন, অস্ট্রেলিয়ার সেই সব নাগরিকের জন্য আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।' বিল পাসের পর সহকর্মীদের আনন্দে জড়িয়ে ধরেন তিনি। কার্বন কর চালুর কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লে, সমাজকল্যাণ খাতে ব্যয় বাড়ানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছে সরকার। সূত্র : বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.