মৃত্যুবার্ষিকী

বিপ্লবী মুকুন্দলালব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মুকুন্দলাল সরকারের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।তিনি ১৯০৯ সালে গোপালগঞ্জের ধর্মরায়ের বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ৭১ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন।তিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমন্বয়ক ছিলেন।


১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং ১৩ মাস কারাগারে অন্তরীণ রাখে।
দিনটি পালন উপলক্ষে প্রয়াত মুকুন্দলাল সরকারের ছোট ছেলে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিটি এডিটর অজিত কুমার সরকারের ধানমণ্ডিস্থ (অ্যাপার্টমেন্ট # রজনীগন্ধা বি-২, বাসা # ৮০, রোড # ৯/এ) বাসায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়াত নেতার জন্মস্থান ধর্মরায়ের বাড়ী স্মৃতি তর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম
বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৬৬ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন। এ উপলক্ষে মরহুমের ছোট ছেলে তারিক ইব্রাহীমের বাসায় মিলাদ মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
বিচারপতি, আইনজীবী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম ১৮৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন হাজি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তাঁর স্কুলজীবন শুরু হয় বরিশাল জিলা স্কুলে। ১৯১৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে তিনি স্নাতক উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি একই সঙ্গে অর্থনীতি এবং আইনে পড়াশোনা করেন। ১৯২৬ সালে প্রথম শ্রেণী নিয়ে তিনি আইন ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর ফরিদপুর ও ঢাকা জেলা বারে আইন প্র্যাকটিস করেন। ১৯২৪ থেকে ১৯৪১ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। ১৯৩৯ সালে ঢাকা জেলা আদালতে পিপি নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ সালে হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের পর স্বল্প সময়ের জন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে।
ক্ষণজন্মা এই কৃতী ব্যক্তিত্বের মৃত্যুবার্ষিকীতে আত্মীয়স্বজনরা সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

মুছা মিয়া চৌধুরী
চট্টগ্রাম রাউজান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মরহুম মুছা মিয়া চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে মুছা মিয়া চৌধুরী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মরহুমের নিজ বাড়িতে কোরআনখানি, মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.