বিরোধীদলীয় নেতার মুখোশ খুলে গেছে by আমিনুল হক/ইসরাত জাহান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দুর্নীতি দমনের কথা বলছেন। অথচ তার শাসনামলে তিনি নিজে ও তার ছেলেরা দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছিলেন। জিয়া অরফানেজের এতিমদের টাকা তিনি ভাগ-বাটোয়ারা করেছেন। এতিমদের টাকা মেরে খেতেও ছাড়েননি তারা। তার ছেলেরা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন তারেক ও কোকো। তার সরকারের আমলেই দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম হয়েছে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা দেশে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এখনও তিনি রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন।
এর মাধ্যমে জনগণের
কাছে তার আসল মুখোশ খুলে গেছে। তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন। কারণ মুক্তিযুদ্ধে যারা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন তিনি সেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে রোডমার্চ করে বলেছেন, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। মুক্তিযুদ্ধ কী তা কি আসলেই তিনি জানেন? যদি জানতেন তাহলে এমন উদ্ভট কথা বলতেন না। এতে প্রমাণ হয়েছে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। মঙ্গলবার সিলেটে চারদলীয় জোটের জনসভায় প্রদত্ত খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবদানকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ বাংলার মাটিতে হবেই। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিকেলে নীলফামারী হাইস্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলকে জাতীয় পতাকা (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) প্রদান করেন। সেখানে আয়োজিত প্যারেড ও ইএমই কোরের চতুর্থ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ৪টি ধাপে ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস, উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া বর্তমান সরকারের সময়ই সম্পন্ন হবে।
জনসভায় জাপাপ্রধান এরশাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু,
ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ মারুফ সাকলান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ড. হামিদা বানু শোভা, গাইবান্ধা-৫ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী ও রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরবঙ্গে এখন আর মঙ্গা নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মঙ্গা থাকে না। মঙ্গা মোকাবেলায় আমরা খাদ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। বিদেশ থেকে চড়া দামে চাল এনে কম দামে অভাবী মানুষের মাঝে বিতরণ করছি। এছাড়া ভিজিডি-ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে।
জিয়া পরিবারের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন মারা যান তখন শুধু একটি ভাঙা সুটকেস ও একটি ছেঁড়া গেঞ্জি রেখে গেছেন। আজ সেই পরিবার শত শত কোটি টাকার মালিক হলো কীভাবে? তিনি কী আলাদিনের চেরাগ পেয়েছিলেন? বিরোধীদলীয় নেতা আমার ধর্ম নিয়ে কথা তুলেছেন। আমার সকাল হয় ফজরের নামাজ পড়ে। তার সকাল হয় দুপুর ১২টায়। তাহলে রাতভর উনি কী কাজে ব্যস্ত থাকেন? সে প্রশ্নের জবাব আমরা সবাই জানি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তার আগে বিএনপি সরকার ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি রেখে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার সে সময় কৃষি খাতকে উন্নত করে দেশের খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে ২০০১ সালে ২৬ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত ও চালের কেজি ১০ টাকা রেখে গেছে। তারপর খালেদা জিয়ার সরকার ১০ টাকা চালের কেজিকে ৪০ টাকা করে গেছে কেন? বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে তিনি অশান্তিতে থাকেন। দেশের মানুষ এখন দুর্নীতিমুক্ত দেশে বাস করছে। তাই তিনি এখন অস্বস্তিতে আছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জনগণের সামনে ভবিষ্যতে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে তার দুই ছেলের বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তছরুপ করা এতিমদের টাকা ফেরত দিন। অর্থ পাচার ও এতিমখানার তহবিল তছরুপের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার এদেশে হবেই।
সরকার দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই এ বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা বলা ও জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের অভ্যাস।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। আমরা জনগণের পাশে আছি, থাকব। আমরা যে কোনো মূল্যে আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশটিকে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছিল। তারা একই সময় দেশের ৫০০ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। বর্তমান সরকার দেশকে বোমাবাজদের কবল থেকে মুক্ত করেছে। এটি সরকারের একটি বড় সাফল্য।
শেখ হাসিনা বলেন, এ সরকারের আমলেই ভারতের কাছ থেকে ৪৫ বিঘা জমি আদায় করা হয়েছে। তিনবিঘা করিডোর উন্মুক্ত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেখানকার মানুষের চলাচলের পথ সুগম হয়েছে। পরাধীনতার শিকল ভেঙে তাদের স্বাধীন করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। ছিটমহলবাসীর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি মানুষের মাঝে বিনা পয়সায় খাবার বিতরণ করেছে এ সরকার। গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা আদায় করেছি, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাবই। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জেগে ওঠে নীলফামারী শহর। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল ও দলে দলে লোক আসে জনসভাস্থলে। লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় শহর, যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সব সড়কে নির্মাণ করা হয় তোরণ। মোড়ে মোড়ে বাজে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দেশাত্মবোধক গান। প্রধানমন্ত্রী বিমানে সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে যান সৈয়দপুর সেনানিবাসে। সেখানে তিনি ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন। পরে সেখান থেকে তিনি প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কপথে গিয়ে বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে নীলফামারী সরকারি হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত হন। সে সময় লাখো জনতা তাকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানায় এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে সভাস্থল, প্রকম্পিত হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচি নীলফামারীসহ রংপুর বিভাগের সব জেলার প্রতিটি উপজেলায় চালু করা হবে। ইতিমধ্যে ৪ লাখেরও বেশি বেকার যুবক ও যুব মহিলাকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশি চাকরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের আমলে নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড করা হয়েছে। সেখানে ব্যাপক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে। ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে হলে দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। মাধ্যমিক পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার ভালো স্কুলগুলোর পাঠদান পদ্ধতি ও কার্যক্রম টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করা হবে। তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকার সৈয়দপুর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়। সেটিসহ সৈয়দপুর রেল কারখানাকে আধুনিক করা হচ্ছে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করব।
বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে ৫টা ৮ মিনিট পর্যন্ত ৩০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতিপূর্বে যারা ক্ষমতায় গেছেন, তারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করেছেন। জনগণের জন্য কিছুই করেননি। আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন, তাই আমরা জনগণের জন্যই কাজ করছি। আমরাই জনগণের জন্য স্থাপন করেছি কর্মসংস্থান ব্যাংক। তিনি বলেন, জোট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। সারের জন্য নানাভাবে নাজেহাল হতে হয়েছে। সারের জন্য কৃষককে গুলি করে মারা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ ঘরে বসে সার পাচ্ছেন। নির্বাচনী ইশতেহার দেখে আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছেন। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি একে একে বাস্তবায়ন করে চলেছি। দেশে কোনো ছিনতাই, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থাকবে না। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারীর উন্নয়নে কিছু দাবি উত্থাপন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জেলায় রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রতি উপজেলায় দমকল বাহিনীর অফিস স্থাপন, নীলফামারী সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স ও মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালু এবং প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, নীলফামারী নার্সিং ইনস্টিটিউট পূর্ণাঙ্গভাবে চালু, নীলসাগর ট্রেন চিলাহাটী পর্যন্ত চলাচল, সৈয়দপুর রেল কারখানা আধুনিকীকরণ এবং ইপিজেড সম্প্রসারণের ঘোষণা দেন। ভাষণের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কবিতার ছন্দে বলেন, 'রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি, দেওয়ার কিছু নেই, আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।'

জনসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা এ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। সিংহাসনে বসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাই এ সরকারের ভালো কাজগুলোও তার কাছে সমালোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে জনগণ জানে কে কতটা ভালো কাজ করছে । কার সরকার আমলে কত খুন-খারাবি হয়েছে। কার শাসনামলে কতটা উন্নতি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা রোডমার্চ করছেন এসি গাড়িতে চড়ে। তিনি জানেন না রোডমার্চ হয় হেঁটে। এসি গাড়িতে চড়ে কখনও দুখী মানুষের কষ্ট বোঝা যায় না। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি স্পষ্ট করে বলুন, আপনি কী আপনার দুর্নীতিবাজ দুই ছেলে তারেক ও কোকোর ক্ষমতায় আসার কথা বলছেন? আপনি এখানে এসে দেখে যান জনসভা কাকে বলে।
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা থাকা অবস্থায় গরিব-দুখীদের ভোলেননি। এ অঞ্চলের মানুষকে কিছু দাবি করতে হয় না। দাবি করার আগেই আমরা পেয়ে যাই। নীলফামারীর রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট সবই তার শাসনামলে হয়েছে। তিনি ২০০১ সালে এখানে উত্তরা ইপিজেড স্থাপন করেছেন। মঙ্গা চিরতরে দূর করেছেন। এ এলাকার মানুষ এখন আর না খেয়ে পড়ে থাকে না। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। তিনি এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আরও অনেক কিছু দেবেন। তবে তা একদিনে বা ৫ বছরে সম্ভব নয়। এর জন্য আরও সময় দরকার। আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তিনি মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন এবং এ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করবেন। তিনি বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে বলেন, বাইরে নয়, আপনারা সংসদে আসুন। আপনাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা বলুন, আলোচনা-সমালোচনা করুন।

No comments

Powered by Blogger.