গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র্য লালন করছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য দূরীকরণে কোনো ভূমিকা রাখছে না, বরং লালন করছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক সেই কাজটিই করছে। আর ড. ইউনূস ব্যাংকটি পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়।তবে অতীতে র‌্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ১১ অক্টোবর।


সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ প্রশ্ন-উত্তর আকারে উপস্থাপন করা হলো।ওয়াশিংটন পোস্ট : বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা গত বছরে হ্রাস পেয়ে ৩১.৫ শতাংশ হয়েছে, ২০০৫ সালে যা ছিল ৪০ শতাংশ। এটা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে তা কি জানাবেন?
শেখ হাসিনা : ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো যখন আমি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন থেকেই জানার চেষ্টা করেছি দারিদ্র্যের মূল কারণ কী। আর তা জানার মাধ্যমেই দারিদ্র্য হ্রাসে পদক্ষেপ নিই। আমরা চাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি। একই সঙ্গে আমরা এমন একটি বিতরণপ্রক্রিয়া অবলম্বন করেছি যার মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের কাছে অতি দ্রুত খাদ্য পেঁৗছানো সম্ভব। এরপর আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওই সব গরিব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে আমাদের কৃষকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কৃষিপণ্য ক্রয়ের সরকারি ভর্তুকির অর্থ সরাসরি পেঁৗছে যাচ্ছে কৃষকের কাছে। এভাবেই কর্মসংস্থানের পথ সুগম হচ্ছে। যুবসমাজকে চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা একটি ব্যাংক স্থাপন করেছি। ব্যবসা শুরুর উদ্দেশ্যে যুবকরা এই ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়াই ঋণ নিতে পারেন। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা ফ্রি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য হাই স্কুল পর্যন্ত ফ্রি লেখাপড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : গ্রামীণ ব্যাংক তথা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালুর পর থেকে, বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে আপনার প্রথম মেয়াদে আপনি মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করেছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের ওই মতবাদ কিভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে তাও বলেছেন। পরবর্তী সময়ে বলাবলি হচ্ছে, আপনি তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করেছেন এবং সুদখোর হিসেবেও অভিহিত করেছেন?
শেখ হাসিনা : দুঃখিত, আমি তাঁকে বরখাস্ত করিনি।
ওয়াশিংটন পোস্ট : বাংলাদেশের মিডিয়া জানিয়েছে যে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা : না, এটি ঠিক নয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট : আপনি কি তাহলে ক্ষুদ্রঋণ মতবাদের পৃষ্ঠপোষক নন?
শেখ হাসিনা : এটা সত্য নয়। ক্ষুদ্রঋণ মানুষকে সেবা দেওয়ার কথা, মানুষের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টির কথা নয়। আমরা দেখেছি, ক্ষুদ্রঋণ মানুষকে সেবা দিচ্ছে না, এমনকি দারিদ্র্যসীমা হ্রাসেও কোনো ভূমিকা রাখছে না। অধিকন্তু তারা দারিদ্র্যকে লালন করছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলবেন কি? কিভাবে তারা দারিদ্র্যকে লালন করছে?
শেখ হাসিনা : দেখুন, গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে সরকারি ব্যাংক। এটি প্রাইভেট ব্যাংক নয়। এটি হচ্ছে সরকারের সংবিধিবদ্ধ একটি সংস্থা। এর নিজস্ব একটি নীতিমালা রয়েছে। ব্যাংকটির আইন অনুযায়ী, যে ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর অতিবাহিত হবে তাঁর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। আমরা তাঁকে কেবল ওই আইনের কথাই স্মরণ করিয়ে দিই এবং তাঁকে দেশের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিই। বাস্তবিক অর্থে সরকারি কর্মচারী হয়েও তিনি কখনোই কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেননি। এ অবস্থায় আপনি বলুন, কিভাবে আমি তাঁর বয়স কমাব?
ওয়াশিংটন পোস্ট : কিন্তু আপনি বলছেন দারিদ্র্য হ্রাসে সেটি কোনো ভূমিকা রাখছে না, অধিকন্তু দারিদ্র্যকে লালন করছে। এর মাধ্যমে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন?
শেখ হাসিনা : আমাকে একটি কথা বলতে দিন, আমি যদি আপনাকে ২০ হাজার ডলার দিই, তাহলে প্রতি সপ্তাহে আপনি কি আমাকে ওই অর্থের ওপর ৪০ শতাংশ হারে সুদ দিতে পারবেন?
ওয়াশিংটন পোস্ট : সম্ভবত না।
শেখ হাসিনা : সম্ভবত না, ঠিক? নিউইয়র্কে যদি এটি আপনার জন্য সম্ভব না হয় তাহলে বাংলাদেশে তো একটি গরিব রাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিবের চেয়েও গরিব মানুষের পক্ষে ওই হিসাবে সুদ পরিশোধের মতো আয় করা কি সম্ভব? এ ধরনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কিভাবে দাবি করেন যে দারিদ্র্য হ্রাস করছেন? এখন সরকার থেকেই সর্বসাধারণকে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হচ্ছে। কখনো কখনো তা থাকছে সুদমুক্ত। কখনো বা ৩ থেকে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যেমন, গৃহায়ণ খাত। এই খাতে আমরা এনজিওকে টাকা দিচ্ছি ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নিয়ে। এরপর এনজিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা কোনোভাবেই ৫ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না।
ওয়াশিংটন পোস্ট : তাহলে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকই কি ৫ শতাংশের বেশি হারে সুদ নিচ্ছে না?
শেখ হাসিনা : না, এটি হচ্ছে বিশেষ একটি তহবিল, যা আমরা তৈরি করেছি। বাংলায় যাকে বলা হয় 'গরিবের জন্য বাড়ি তৈরি করা'। এই ব্যাংক থেকে মানুষ শুধু বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ নিতে পারেন। বাড়ি তৈরিতে মানুষকে উৎসাহ দিতে এটি চালু করেছি।
ওয়াশিংটন পোস্ট : এবার জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গ। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। ইতিমধ্যে খবর প্রকাশ হয়েছে যে বর্তমান শতাব্দীর শেষে বাংলাদেশের এক-চতুর্থাংশ পানিতে তলিয়ে যাবে। এই ভয়ংকর খবর জানার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার অনুভূতি ও চিন্তা-ভাবনা কী?
শেখ হাসিনা : গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে বাস্তবে ভূমিকা না থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে সহায়তার হাত না বাড়ালে সরকারের নেওয়া উন্নয়ন পরিক্রমা ভেস্তে যাবে। অসংখ্য মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। বাসস্থান, খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট দেখা দেবে। অর্থনীতি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে বহু প্রাণহানির পাশাপাশি অনেকে গৃহহারা হবে। এটা কেবল অভ্যন্তরীণ সমস্যা হয়ে থাকবে না, অন্য অনেক দেশকেও তা আক্রান্ত করবে। এ সমস্যার সমাধান করা বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে আসতে হবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সরকার একটি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বলবেন কি?
শেখ হাসিনা : আমার সরকার জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একটি কর্মকৌশল ও অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছে। জরুরি প্রয়োজনে এটি প্রয়োগ করা হবে। কর্মপরিকল্পনাটি ছয়টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত। সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড আইন প্রণয়ন করেছে। এর ফলে নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা পেতে 'বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড' গঠন করা হয়েছে। তবে এ জন্য উন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি পালন ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন?
শেখ হাসিনা : সুনির্দিষ্ট অঙ্ক বলা সম্ভব নয়। যত বেশি সম্ভব পাওয়া যাবে ততই মঙ্গল। কারণ পরিস্থিতির যত অবনতি ঘটবে অর্থের চাহিদাও বাড়বে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : ডারবানে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ কতটা সহায়তা আশা করছে?
শেখ হাসিনা : খুবই ভালো প্রশ্ন, ইতিমধ্যে আমি বলেছি যে এ পর্যন্ত আমরা বেশ কিছু অঙ্গীকার পেয়েছি, তবে তা যথেষ্ট নয়। চাহিদা এখনো রয়েছে। তবে আশাপ্রদ কিছু দেখছি না।
ওয়াশিংটন পোস্ট : অনেকের ধারণা, বাংলাদেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) নিজেরাই বিচার করছে। তারা জুরি বোর্ডের সদস্য হচ্ছে এবং রায় কার্যকর করছে। অর্থাৎ বিনা বিচারে তারা মানুষ হত্যা করছে। তারা জবাবদিহিতার ঊধর্ে্ব রয়েছে। এটি কি ঠিক?
শেখ হাসিনা : এটি ঠিক নয়, বাংলাদেশে আইন আছে। বিধিবিধান আছে। র‌্যাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং তাদের বিধি অনুযায়ী কাজ করতে হয়। বাংলাদেশে একসময় সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা কমেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : তাহলে লোকজনের মধ্যে র‌্যাব সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে তা সত্য নয়?
শেখ হাসিনা : কেউ অন্যায় কিছু করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে অতীতে র‌্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট : আমি বহুভাবে শুনেছি যে র‌্যাব কোনো ধরনের জবাবদিহিতার ঊধর্ে্ব থেকে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা : এটি পুরোপুরি ভুল। র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০০৪ সালে। ওই সময়ের সরকার র‌্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে, এটি খুবই সত্য। অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে র‌্যাব দিয়ে। একসময় তারা এতই ক্ষমতাশালী হয়েছিল যে কেউ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদের সাহস পায়নি। মনে হচ্ছে, আমিই প্রথম প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা সরকার গঠনের পর থেকে র‌্যাব আইন অনুযায়ী কাজ করছে এবং রাজনৈতিক কারণে কাউকে হেনস্থার ঘটনাও নেই। আপনি যদি র‌্যাবের কার্যক্রমের ওপর নিরপেক্ষ দৃষ্টি রাখেন তাহলে তা অনুধাবনে সক্ষম হবেন। র‌্যাবের কোনো ব্যক্তি বা সদস্য নিয়ম-নীতি পরিপন্থী কাজ করলে তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। তবে একটি বিষয় আপনাদের দেখা উচিত, আমরা সরকার গঠনের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমাতে সক্ষম হয়েছি।
ওয়াশিংটন পোস্ট : সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ কিভাবে সফল হয়েছে?
শেখ হাসিনা : আমরা সরকার গঠনের পর সন্ত্রাস নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি এবং এতে সাফল্য এসেছে। গত আড়াই বছরে কোনো বোমা হামলা হয়নি, সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর পরিশ্রম করছে। সন্ত্রাসের ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম, কমিউনিটি লিডার ও সমাজকর্মীদের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে আমি একটি বিষয় এখনো বুঝতে পারি না যে আগের সরকার র‌্যাব দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করেছে, সে সময় কেউ এর প্রতিবাদ করেনি। আর এখন আমরা যখন সন্ত্রাসবাদ কমিয়েছি তখন কোনো কোনো মহল আমাদের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বদনাম শুরু করেছে। এমনটা কেন ঘটছে বুঝতে পারি না।
ওয়াশিংটন পোস্ট : তাহলে আপনি ভাবছেন যে র‌্যাব সম্পর্কে মানুষের যে অভিযোগ তা সত্য নয়?
শেখ হাসিনা : অবশ্যই, অন্যায় করে কেউ রেহাই পেয়ে যাবে এমন ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই।

No comments

Powered by Blogger.