গণভোট বর্জন করবেন বিচারকেরা- মিসরে বিক্ষোভ, প্রধান কৌঁসুলির পদত্যাগ



মিসরে খসড়া সংবিধানের বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার মিসরে নতুন করে তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বিরোধীরা। প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তাঁর মিত্র ইসলামপন্থীদের তৈরি করা খসড়া সংবিধানের ওপর আগামী শনিবার দ্বিতীয় দফা ভোট নেওয়া হবে।
এদিকে নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের জের ধরে সরকারের নতুন কৌঁসুলি গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন।
সমাবেশে বিরোধী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের নেতারা মিসরের জনগণকে তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা ও খসড়া সংবিধানের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রথম দফা গণভোটে নারীদের ভোটে বাধা দেওয়াসহ অনেক অনিয়ম হয়েছে।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত প্রথম দফা গণভোট ও আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফা গণভোট নিয়ে বিচারকদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ বিচারকের একটি দল গত সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা খসড়া সংবিধানের ওপর দ্বিতীয় দফা ভোট বর্জন করবেন। কারণ, কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
বিচারকদের সংগঠন দাবি করেছে, সুপ্রিম জুডিয়শিয়াল কাউন্সিলের ওপর ব্রাদারহুডের অবরোধ তুলে নিতে হবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন সত্ত্বেও ব্রাদারহুডের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়নি।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট মুরসি কায়রোর হাইকোর্টের প্রধান কৌঁসুলি পদে পরিবর্তন করেন। তালাত ইব্রাহিমকে মেগুইদ মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত করেন। এতে বিচারকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গত সোমবার তাঁরা প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন। এরপরই তালাত ইব্রাহিম পদত্যাগ করেন। সুপ্রিম কোর্টের কাউন্সিল তাঁর পদত্যাগপত্র আগামী রোববার পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রেসিডেন্ট মুরসি ও তাঁর খসড়া সংবিধান নিয়ে বিরোধীদের প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ-সমাবেশ ও সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে মিসর দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে আছে প্রেসিডেন্টের দল মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইসলামপন্থী দলগুলো এবং অন্যদিকে আছে ধর্মনিরপেক্ষ, উদারমনা ও বামপন্থীরা। বিবিসি ও এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.