সিলেট ও রাজশাহীতে জামায়াতের হরতালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ

সিলেট ও রাজশাহী: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সিলেট এবং রাজশাহীতে হরতাল পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী। কেন্দ্রীয় দুই নেতা ডা. শফিকুর রহমান চৌধুরী ও তাসনীম আলমের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্থানীয় জামায়াত এই হরতাল পালন করে।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় সকাল থেকে হরতালের পক্ষে ঝটিকা মিছিল করেছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। সিলেট শহরেও হরতালের পক্ষে মিছিল এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সিলেট-তামাবিল সড়কের মিরাবাজার সড়কে বাঁশে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতালকারীরা। সেখানে একটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়। চৌকীদেখি এলাকায় আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করলেও ভারী যানবাহন বন্ধ ছিল। দূরপালাল্লার বাস না ছাড়লেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শহরের দোকানপাটও বন্ধ ছিল হরতাল চলাকালে।


রাজশাহীতে সংঘর্ষ, আহত ১৫:
জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের শুরুতেই রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৫জন। পুলিশ ১২জনকে আটক করেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল সাতটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকায় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ করে হরতাল সমর্থকরা। প্রায় একই সময় ম-লের মোড় এলাকায় পুলিশের সাথে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গ্যাস গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে ১৫জন আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন জানিয়েছেন, এতে ৫শিবিরকর্মী রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন । এর আগে ওই এলাকা থেকে শিবিরসন্দেহে ২জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, নগরীর কাজলায় হরতাল সমর্থকরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় শিবিরকর্মীরা। অপরদিকেম নগরীর শালবাগাস শ্রীরামপুর এলাকাতেও পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। হরতালকে ঘিরে ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়, সেই নগরীতে র‌্যাব ও টহল দেয়।

No comments

Powered by Blogger.