আমদানিনিষিদ্ধ পণ্য-২৪০ টন পোস্তদানা ধ্বংস করা হচ্ছে

পোস্তদানা (পপি সিড) খাওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ নেই। দেশজুড়ে খোলাবাজারে বিক্রি হয় দামি এই খাদ্যপণ্য। ব্যবহৃত হয় পোলাও, বিরিয়ানি, মাংসের বিশেষ প্রিপারেশনে। এর ব্যবহারে খাদ্যের স্বাদ বাড়ে। কমবেশি এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় পোস্ত।
অথচ এত উচ্চ মূল্যের ২৪০ টন পোস্ত ২০০৮ সাল থেকে সিলগালা অবস্থায় পড়ে আছে মংলা বন্দরে। আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকঢোল পিটিয়ে ২৯ কোটি টাকা মূল্যের এই পোস্ত ধ্বংস করা হবে। কারণ একটিই, তাহলো পোস্তদানা আমদানি করা নিষিদ্ধ।
এই বিপুল পরিমাণ পোস্তদানা কে, কোন উদ্দেশ্যে আমদানি করেছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, প্রকৃত আমদানিকারকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মংলা বন্দর হয়ে পোস্তদানাগুলো নেপালে পাঠানোর জন্য আমদানি করা হয়েছিল। আর দেশের বাজারে অবাধে বিক্রি হওয়া পোস্তদানা চোরাইপথে বাংলাদেশে আসে বলে জানান তিনি।
মংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশ নেপাল ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ২০০৮ সালে আমদানি করা ২৪০ টন পোস্তদানা মংলা বন্দরের ৭ নম্বর শেডে সিলগালা অবস্থায় আছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বন্দরের অভ্যন্তরে ওই পোস্তদানা ধ্বংস করার দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছে।'
পোস্তদানা ধ্বংস করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে মংলা কাস্টমস হাউস। এ কমিটির আহ্বায়ক ওই কাস্টমস হাউসের একজন অতিরিক্ত কমিশনারকে। এ ছাড়া একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, কোস্টগার্ড, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন। কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে আছেন মংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার সাইদুল আলম।a

No comments

Powered by Blogger.