দোহাই সাকিব-তামিম পাকিস্তান যাবেন না by বাবু আহমেদ

ব্লগে, ফেসবুক, টুইটারে ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের। পাড়ায়-মহল্লায় বন্ধুদের আড্ডায়ও একই কথা বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়া উচিত নয়। নাগরিকব্লগ নামের বাংলা একটি ব্লগে ঢুকলেই চোখে পড়বে “দোহাই লাগে সাকিব-তামিম, আপনার পাকিস্তান যাবেন না।”
শিরোনামে একটি পোস্ট। সামহোয়্যারইনব্লগে “বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের পাকিস্তান সফর ঠেকাতে আসুন প্রতিবাদ এখনই গড়ে তুলি” শিরোনামে একটি পোস্ট রয়েছে। ফেসবুক টুইটারে স্ক্রলডাউন করলেই এক-দুটি পোস্ট পরপরই চোখে পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই সফর বিরোধী পোস্ট। কারো কারো স্ট্যাটাসেই রয়েছে এই প্রতিবাদ। বাংলাদেশে যারা স্যোশাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত তারা অনেকেই এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
ফেসবুকে কবি নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন ,”বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠানো সিদ্ধান্ত বাতিল করুন, পাপন সাহেব। প্লিজ ডোন্ট টেইক দিস রিস্ক। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে...। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে জিম্মি করে পাকিস্তানী-যুদ্ধাপরাধী-চক্র সেই যড়যন্ত্রে তাদের শেষ পেরেকটি ঠুকতে পারে। পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না। এই সফর বাতিল করার জন্য যদি আমাদের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে কিছু টাকা গচ্চা দিতে হয়, তা দিয়ে দিন।” তার স্ট্যাটাসে ব্যাপক সাড়া পরে তার ভক্তদের মধ্যে। সবাই প্রতিবাদ জানাতে থাকে নানাভাবে। বাংলানিউজে ফোন করে, ই-মেইলে অনেকেই বলেছেন মেইন স্ট্রিম মিডিয়া এগিয়ে না এলে এই সফর হয়তো ঠেকানো যাবে না।
একটু পেছন থেকেই শুরু করা যাক। আ হ ম মোস্তফা কামাল বিসিবির সভাপতি থাকাকালে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফরের প্রতিশ্রুতি দেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে। বিনিময়ে চেয়েছিলেন আইসিসির সহ সভাপতি নির্বাচনে একটি ভোট। সে ভোট মোস্তফা কামাল পেয়েছেন। তাতে পেয়েছেন আইসিসি’র পদটিও। গোড়া থেকেই প্রতিবাদ হয়ে আসছিলো আ হ ম মোস্তফা কামালের সেই সিদ্ধান্তের বিষয়টি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই বিসিবি’র বর্তমান সভাপতি, সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন এই সফরে সম্মতি জানিয়েছে। এই ব্যাপারে পিসিবি ১৬তারিখে তাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনাও পাঠিয়ে দিয়েছে বিসিবিতে। এরপরে বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সোমবার জাতীয় দলের পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, আব্দুর রাজ্জাক, তামিম ইকবাল, সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন। সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর, পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে এনায়েত হোসেনকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন তারা।
কিন্তু কেন এই নিরাপত্তাহীন পাকিস্তানে ১৬কোটি বাঙ্গালীর প্রাণের ক্রিকেট দলকে পাঠানো? এর উত্তরে পাকিস্তানী ডন পত্রিকা উল্লেখ করেছে বিসিবিকে পিসিবি লিখিত জানিয়েছে, বাংলাদেশ দলের সফর নিশ্চিত না হলে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে কোন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না।

বিসিবির নির্ভরযোগ্য একজন কর্মকর্তাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন,‘আমরা তাদের কাছ থেকে সমর্থন নিয়েছি। এখন তারাও চেষ্টা করবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে।’(সুত্রঃ বাংলানিউজ)।
বিসিবির আগের কমিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সে অনুযায়ী ২৯ এপ্রিল সফর চূড়ান্তও হয়েছিলো। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার জন্য শেষপর্যন্ত পাকিস্তান সফর বাতিল হয়ে যায়। তাই এখন আর মৌখিক অনুমতিতে ভরসা পাচ্ছে না পিসিবি। তাই তারা বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সফর ঘোষণা চাচ্ছে নয়তো বিপরীতে বিপিএল এ পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু এই সফর নিয়ে আগেও প্রতিবাদ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেমীদের উদ্যোগে। এ বছর ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান যাওয়ার কথা থাকলেও হাইকোর্ট রুল জারি করায় সফর বাতিল হয়ে যায়। বিসিবির সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসির সহ-সভাপতি হওয়ার পর আবার নতুন করে পাকিস্তান সফরের বিষয়টি সামনে আসে। আগের কমিটি পাকিস্তানকে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে এ বছরের শেষ দিকে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
এবারও এই সফরের বিরুদ্ধে ঝড় বয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এর অনলাইন জগতে। ফেসবুক এ “বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে না” নামক পেইজে নানাভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে বাংলাদেশী ফেসবুকাররা। কেউ পাঠাচ্ছে কবিতা, কেউ বা নানারকমের ছবি পাঠাচ্ছে পাকিস্তানে হামলার প্রতিবাদে। আবার কেউ কেউ দিচ্ছে পাকিস্তানে গত একবছরে সহিংসতায় মারা যাওয়া মানুষদের পরিসংখ্যান। এই পেইজটি থেকে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে”বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর ঠেকাতে প্রতিবাদ” নামে একটি ইভেন্ট পেইজ। এই পেইজের মধ্যে দিয়ে সংগঠিত করা হচ্ছে এই সফরের বিপক্ষে প্রতিবাদী সব মানুষদের। আগামী ২২তারিখে বিকাল ৩টায় ঢাকার মিরপুরে বিসিবি অফিসের সামনে একটি প্রতিবাদ কর্মসুচীর আহবান করা হয়েছে।  একইসাথে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিকাল ৪টায় এবং সিলেট শহীদ মিনারে বিকাল ৩.৩০টায় প্রতিবাদ কর্মসুচির আয়োজন করা হয়েছে।
এই সফর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় কয়েকজন ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে।
ফারজানা রূম্পা বলেন, যে দেশে নিরাপত্তা একটি বিলুপ্ত শব্দ প্রায়- সেই দেশে কি করে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট টিম পাঠানের কথা আসছে- সেটা আমার মতো সাধারণ মানুষ বুঝতে অপারগ। এর আগে পাকিস্তানে অন্য ক্রিকেট টিমের গাড়ির উপর হামলা হয়েছে সেটা কি করে বিসিবি ভুলে গেল? বিসিবির কর্মকর্তারা কি এটাও দেখতে পারছেন না যে অন্য কোন দেশ পাকিস্তানে যেতে কেন রাজি নয়। বলতে বাধ্য হচ্ছি, বিসিবির এক কর্মকর্তা পদচ্যুত হলে নতুন কর্মকর্তা পাওয়া যাবে - কিন্তু একজন সাকিব-তামিম- মুশফিক বা রিয়াদের কিছু হলে তাদের আর ফিরে পাবো না। পাকিস্তানের মতো দেশের "বন্ধাত্ব" গোছানো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দায় নয়। প্রয়োজনে তাদের আসতে বলা হোক। আর ক্রিকেট নিয়ে এধরণের অন্যায় ব্যবসা-তদবির বন্ধ হোক।
ব্লগার সবাক পাখি জানান,পাকিস্তানের কলংক বাংলাদেশ কেন মুছবে? আমরা পাকিস্তানিদের শত্রু না হই, বন্ধুতো হতে পারি না। পাকিস্তানকে আমাদের চাইতে ভালো আর কেইবা চিনে! ২০০৯ সালে পাকিস্তানের মাটিতে শ্রীলংকান ক্রিকেটারটা আক্রান্ত হওয়ার পর একটিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও আইসিসি অনুমোদন দেয়নি এমনকি কোন দেশ খেলতেও রাজি হয়নি। এখন আইসিসি`র অফিসিয়াল ছাড়াই বিসিবি খেলতে যেতে রাজি! অথচ পাকিস্তানের এই নিরাপত্তা লজ্জা ভেঙে কয়েকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার পর বাংলাদেশের এমন সাহস হওয়া উচিত ছিলো। বিসিবি বর্তমানে ক্রিকেটারদের নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। বিপদজনক এই সফর বন্ধ করা হোক!
মুক্তাদীর শুভ্র নামের আরেক ক্রিকেট প্রেমী লিখেছেন, আইচ্ছা পাকিস্তানে ইন্ট্যারন্যাশনাল ম্যাচ হইতে হইব এই তো? বিসিবি আর পিসিবি ২ পক্ষই রাজি এইতো? তাইলে বিসিবি আর পিসিবি কর্মকর্তাদের নিয়ে ২ টা টিম বানায়া খেলাইলেই ত ল্যাঠা চুকে যায়... কথা ভাই একটাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে না ... ব্যাস।

নাদিমাহ খান পুজা বলেন, অন্যান্য দেশগুলো তো নিরপেক্ষ মাঠে খেলেছে। তাহলে আমরা খেলতে দোষ কোথায়? যেখানে আইসিসি নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিতে রাজি নয় সেখানে কিভাবে সরকার এই ব্যাপারে সম্মতি দিল? সাকিবরা আমাদের গর্ব, আমাদের সম্মান।  সাকিবরা বারবার জন্মায় না। সুতরাং কোনভাবেই আমাদের ক্রিকেটদলের পাকিস্তান সফরকে মেনে নিতে পারছি না। এই সফর বাতিল করা হোক।
এছাড়াও তোলা হচ্ছে নানাধরনের প্রশ্ন, যেমন পাকিস্তানে কি গাড়িবোমা হামলা বন্ধ হয়েছে?পাকিস্তানে কি মসজিদে বোমা মারা বন্ধ হয়েছে?পাকিস্তান সরকারে কি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? যে দেশের খেলোয়াড়রা টাকা খেয়ে ম্যাচ ছেড়ে দেয় সেই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতে যারা নিয়োজিত থাকবে তাদের মাঝে যে কোনো তালেবান সমর্থক বা জংগি সমর্থক নেই তার কি প্রমান? তারা ভিতর থেকেই যে সিকিউরিটি লিক করবেনা তার কি গ্যারান্টি?
দেয়া হচ্ছে কিছু সিকিউরিটি ফ্যাক্ট। যেমন  “সিকিউরিটি ফ্যাক্ট ১ঃ২০০২ সালের ৮ মে নিউজিল্যাণ্ডের খেলোয়াড়দের হোটেলে বাসভর্তি বোমা নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলো কে বা কাহারা। পাকিস্তানের এক সাবমেরিন প্রকল্পে কর্মরত ১১ ফরাসী প্রকৌশলী মারা পড়ে সেই হামলায়। নিউজিল্যাণ্ড এর পর পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলা বন্ধ রাখে দীর্ঘ সময়।
সিকিউরিটি ফ্যাক্ট ২ঃলাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ সশস্ত্র হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল। খেলোয়াড়রা প্রাণে বাঁচলেও নিহত হয় বহনকারী বাসের চালক ও ছয়জন পুলিশ। সাতজন ক্রিকেটার আহত হয়েছিলেন। তার মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত হন। ১২ জন সশস্ত্র যুবক রকেট লাঞ্চার ও গ্রেনেড নিয়ে হামলা করে। হামলা শেষে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় আক্রমনকারী জংগীরা। পুলিশ তাদের টিকিটির নাগালও পায়নি।
এরপর থেকে পাকিস্তানে আর কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। বিসিবি সভাপতি স্বৈরাচার লোটাস কামালের ব্যক্তিগত লাভের চিন্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে পাকিস্তান পাঠানোর আয়োজন চলছে। সিকিউরিটি ফ্যাক্ট ৩ কি বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে?”
অনেকেই বলছেন যে শারজাসহ নানা নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও তো পাকিস্তান অন্যান্য ক্রিকেটদল এর সঙ্গে খেলেছে যারা পাকিস্তানে খেলতে যেতে রাজি হয়নি। আমাদের ক্রিকেট দলও  দরকার হলে এইরকম নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে কিন্তু কোন হিসেবে আমরা এই মৃত্যু নরকুপে আমাদের সোনার ছেলেগ্যুলোদের পাঠাবো যেখানে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ৯২৫ জন এবং আহত হয়েছে ২,৩৯৪ জন?

জানতে আগ্রহী দায়িত্বশীল বিসিবির কর্মকর্তাদের কাছে, এই একটি ওয়ানডে এবং একটি টি-২০ খেলার জন্য আমাদের সোনার ছেলেগুলোকে এমন মৃতুকুপে ঠেলে না দিলেই কি নয়? আপনারা কি ভুলে গেছেন হীনা রাব্বানী খার বলা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিক্ত অতীত ভুলে গিয়ে এখন সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া? নাকি ভুলে গেছেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডি-৮ সম্মেলনে না যাওয়া? বাংলাদেশের কি এমন ঠেকা পড়েছে পাকিস্তানকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার? যেখানে সারা দুনিয়া পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, পর্যটকদের যাওয়া মানা। সেখানে কিভাবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নেই? গুগলে পাকিস্তান দিয়ে সার্চ দিলে যেখানে অস্ত্র, রক্তারক্তি, বোমা,রকেট লঞ্চার,নিহতের ছবি আসে সেখানে কিভাবে আমরা পাঠাবো ওদেরকে?বাংলাদেশের কি এমন ঠেকা পড়েছে পাকিস্তানকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার? যেখানে সারা দুনিয়া পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, পর্যটকদের যাওয়া মানা। সেখানে কিভাবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নেই? গুগলে পাকিস্তান দিয়ে সার্চ দিলে যেখানে অস্ত্র, রক্তারক্তি, বোমা,রকেট লঞ্চার,নিহতের ছবি আসে সেখানে কিভাবে আমরা পাঠাবো ওদেরকে? বিসিবি কোন ভরসায় সেখানে আমাদের ক্রিকেটদলকে পাঠাচ্ছে? যেখানে শুধু এই বছরেই বোমা হামলায় মারা গেছে প্রায় ১০০০ জনের উপরে মানুষ। সেখানে কিভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা দেওয়া হবে? এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
তাই আসুন সবাই মিলে প্রতিবাদ করি এই সফরের। সোচ্চার হই এই সফরের প্রতিবাদে। যেই সোনার ছেলেগুলোর জন্য এখনো আমরা হাসি কান্নায় মেতে উঠি তাদের মৃত্যুকুপে যাওয়া বন্ধ করি।
সবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের পাকিস্তান সফরের প্রতিবাদে একটি ছড়া। লিখেছেন রামিল মাসুদ।
ছড়া :: পাক সমাচার
লিখেছেন :: রামিল মাসুদ
-
আমগো ঘাড়ে বন্দুক রেখে
করবে শিকার পাকিরা
এমন আজব কাণ্ড দেখে
হাত তালি দেয় বাকিরা

বিপিএলে প্লেয়ার দিবে
আমরা গেলে পাকিতে
সিরিজ হবে তাড়াতাড়ি
রাখতে চায় না বাকিতে

ভারতবাসী ল্যাং মেরেছে
আইপিএলে খেল বাঁশ
বাঙ্গালিরা সুযোগ দিছে
ক্যামনে তোরা ভুলে যাস।

সাকিব তামিম যাবে না তাই
এই দেহে থাকতে প্রাণ
তোদের দেশে হরহামেশা
নাকে লাগে বোমার ঘ্রাণ।

No comments

Powered by Blogger.