মোট খেলাপি ঋণের ৬৩ শতাংশই পাঁচ ব্যাংকে

খারাপ মানের পাঁচ ব্যাংকের খেলাপিদের কাছে ব্যাংক খাতের মোট শ্রেণীকৃত ঋণের ৬৩ শতাংশ আটকে আছে। আর ১০ ব্যাংকের খেলাপিদের কাছে আটকে পড়েছে ৭৬ শতাংশের বেশি ঋণ। যেসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক খারাপ মান বলতে তাদেরই বোঝাতে চেয়েছে। এই ১০টি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, চারটি বেসরকারি খাতের ব্যাংক ও দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক। ২০১০ সালের তথ্য হিসেবে এই


১০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১৭ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। আর পাঁচ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। বাকি ব্যাংক খাতের ৩৭ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন-২০১০’-এ খেলাপি ঋণ পুঞ্জীভূত হওয়ার এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।
তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে, যদিও হার কিছুটা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অপর এক প্রতিবেদন অনুসারে এ সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা বা মোট বিতরণ করা ঋণের ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।
আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন অনুসারে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে যে বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদের কার্যক্রমের ধরনের কারণেই। এসব ব্যাংকে তহবিল-ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও রাজনৈতিক নির্দেশিত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে এই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ সত্তর ও আশির দশকে সৃষ্টি হয়েছে, যার সিংহভাগ এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.