পাসের হারে দেশসেরা বরিশাল শিক্ষা বোর্ড

দেশে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পাসের হারে দেশে সেরা হয়েছে। বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। পাসের হার ৯৩ দশমিক ১৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৮৮৬ জন। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শাহ আলমগীর ওই ফলাফল ঘোষণা করেন। এ বছর পাসের হার বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৮ ভাগ। জিপিএ-৫ বেড়েছে এক


হাজার ৪০৮টি। অর্থাৎ এবার গত বছরের চার গুণ জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৭৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ৪৭৮ জন। এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৮২ হাজার ৯০৫ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৭৭ হাজার ২১৩ জন। জিপিএ-৫-এর মধ্যে ছেলেরা পেয়েছে ৯৩৬টি এবং মেয়েরা পেয়েছে ৯৫০টি।
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা সমাপনীতে দেশের মধ্যে সেরা হয়েছি। এবার জেএসসিতে পাসের হারে সেরা হয়েছি। এই অর্জন নিঃসন্দেহে আনন্দের।’
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিমলকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, ‘বরিশাল শিক্ষা বোর্ড এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আন্তরিকতার কারণেই আমরা দেশের মধ্যে পাসের হারে সেরা সম্মান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এখন প্রচেষ্টা ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমিয়ে এনে এই ফলাফল অব্যাহত রাখা।’
ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে
এ বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।
এ বছর ৮২ হাজার ৯০৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৭৭ হাজার ২১৩ জন। উত্তীর্ণ ছেলেদের সংখ্যা ৩৭ হাজার ১২৮। পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৫। মেয়েরা পাস করেছে ৪০ হাজার ৮৫ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪৯। মেয়েরা দুই হাজার ৯৫৭ জন বেশি পাস করেছে। একইভাবে জিপিএ-৫-এ ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ১৪টি বেশি পেয়েছে।
পাসের হারে সেরা জেলা ভোলা
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জেএসসির ফলাফলে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ভোলা জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পটুয়াখালী এবং তৃতীয় হয়েছে ঝালকাঠি। চতুর্থ বরিশাল, পঞ্চম বরগুনা এবং ষষ্ঠ পিরোজপুর।
ভোলার ২৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার ৪২৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১০ হাজার ৭৩ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬২ জন।
পটুয়াখালীর ২৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১৩ হাজার ১০৪ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ৭৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০২ জন।
ঝালকাঠির ১৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আট হাজার ৩৭২ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে সাত হাজার ৮০০ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ১৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২১ জন।
বরিশালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৩৭ জন। পাসের হার ৯৩ দশমিক ০৬। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯৪ জন। বরগুনার ১৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আট হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে আট হাজার ২৬৯ জন। পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৫ জন।
পিরোজপুরে ২৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ১২ হাজার ৪৯৯ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৫৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮২ জন।

No comments

Powered by Blogger.