শেখ হাসিনা-এরশাদ বৈঠক-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব ইস্যুতে এক থাকার ঘোষণা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সব জাতীয় ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) ঐক্যবদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনমত গঠনে ১৪ দলের সঙ্গে থাকবে জাতীয় পার্টি। গতকাল বুধবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার ১৪ দলের গণমিছিলের কর্মসূচিতে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ দুই দলের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে শেখ হাসিনা ও এরশাদ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, টিপাইমুখ বাঁধ, বিরোধী দলের নেতিবাচক আন্দোলনসহ নানা ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বৈঠকে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মহাজোট গঠন করা হয়েছিল, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত উভয় দল ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, বৈঠকে জাতীয় পার্টি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে। আজ গণমিছিল শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ টিপাইমুখ অভিমুখে তাঁর দলের লংমার্চে মানুষের অভূতপূর্ব সাড়ার কথা তুলে ধরেছেন। আমরা বৈঠকে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার করে যুদ্ধাপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাপারে একমত পোষণ করেছি।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম, মাহবুব উল আলম, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, ফারুক খান প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জি এম কাদের, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, এম এ সাত্তার, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম হাবিব, কাজী ফিরোজ রশীদ প্রমুখ।
রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর: বাসসের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করে সেবা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিসিপিএসের সভাপতি মাহমুদ হাসান সমাবর্তন বক্তব্য পেশ করেন এবং সাবেক সভাপতি নাজমুন নাহার ও বিসিপিএসের সহসভাপতি আবদুল কাদের খান স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা দিতে চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে চায়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি বিসিপিএস স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং চিকিৎসকদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন আজ: প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রাথমিক, এবতেদায়ি, কারিগরি, দাখিল ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১২ শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ-কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

No comments

Powered by Blogger.