নাই বা হলো পারে যাওয়া-অর্থনীতি by মামুন রশীদ

স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের ওপরই যে নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করবে_ সেটি ভুললে চলবে না। স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে এবং কোনো ভুল থাকলে তা-ও স্বল্পতম সময়ে শোধরানো হবে। আর সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা ও ঐকমত্য থাকতে হবে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির ভবিষ্যৎ আমাদের সবার হাতে। গঠনমূলক আলোচনা এবং


গৃহীত সিদ্ধান্তের সময়োপযোগী বাস্তবায়নেই আমাদের ভবিষ্যৎ নিহিত দেখতে দেখতে ৪০টি বছর পেরিয়ে এলো, আমাদের প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনসংখ্যার আধিক্য, রাজনৈতিক সংঘাত, স্বল্প মাথাপিছু আয়, অধিক দারিদ্র্য সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা বিশ্বজুড়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তবে একটি বড় সত্য হচ্ছে, এই সাফল্য আমাদের অমিত সম্ভাবনার তুলনায় যথেষ্ট কম। সম্পদ সৃষ্টির প্রচেষ্টায় আমরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ধীরে ধীরে বিভিন্ন বাজারশক্তি বা উপকরণ প্রবর্তনের পদ্ধতি গ্রহণ করেছি, যা আবার আমাদের সাময়িক ভুলের জন্য থেমেও গেছে। এর মধ্যে প্রতিটি ভুলই আমাদের সম্পদ সৃষ্টির প্রয়াসকে শুধু বিঘি্নতই করেনি, বরং এর পাশাপাশি পশ্চাদ্মুখী পদক্ষেপ গ্রহণেও বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার প্রতি যেভাবে বিশ্বের মনোযোগ বাড়ছে তা কাজে লাগানো উচিত। উন্নয়ন সম্ভাবনার তুল্যমূল্য বিচার এবং সেটি কাজে লাগাতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার নতুন মডেল বা নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তবে সরকার, নিয়ন্ত্রক বা তদারকি সংস্থাগুলো ও বেসরকারি খাতসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতেই চালু করতে হবে এই নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে স্বচ্ছতা এবং সুশাসনকেই প্রধান চাবিকাঠি বিবেচনা করবেন সবাই।
নয়া মডেলে সম্পদ সৃষ্টি ও বণ্টন প্রক্রিয়ার মধ্যে দৃশ্যমান দ্বন্দ্বকে কীভাবে দেখা ও সামলানো হবে_ সেটির একটি পরিষ্কার ব্যাখ্যাও থাকতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে উন্নয়নের লক্ষ্য ত্বরান্বিত করতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারভিত্তিক অর্থনৈতিক মডেল গ্রহণ করেছি। এই অবস্থান থেকে আমাদের যেন পশ্চাদ্মুখী হতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রত্যেকবারই আমরা দেখেছি, বাজারের আচরণে অকার্যকারিতার লক্ষণ থাকলে বা এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের সামনে যেন উন্নয়ন-প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার মতো আর কোনো ভালো বিকল্প নেই। সুতরাং কোনোভাবেই যাতে সম্পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া ব্যাহত না হয় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সে সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে দক্ষতাকে পুরস্কৃত করার বিষয়টিও। একই সঙ্গে আমাদের এটাও বোঝা দরকার_ সম্পদ সৃষ্টির ধারা তখনই টেকসই হবে যখন বিতরণ প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা জোরালো থাকবে। আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে, সুশাসন শুধু একটি নৈতিক মূল্যবোধই নয়, বরং এটি দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে একটি পুঁজিও বটে। সুশাসনের অনুপস্থিতি বা এর প্রায়োগিক মাত্রা কম হলে তাতে কিছু ব্যক্তি বা কোনো গোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমেয়াদে কিছু ফায়দা লোটার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করবে।
গেল ৪০ বছরে আমাদের সবার মাঝে একটি সমঝোতা হয়েছে যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বেসরকারি খাতই হবে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান চালিকাশক্তি। এই ব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্য বেসরকারি খাতের কাঁধে বড় ধরনের দায়িত্ব বর্তেছে। এখন বেসরকারি খাতকে স্বপ্রণোদিত হয়ে সৃজনশীল ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রূপকল্প অনুযায়ী এগোতে হবে। একই সঙ্গে তারা মুক্তবাজার ব্যবস্থা থেকে সুবিধা পাওয়া আর অন্যদিকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের কাছে সহায়তার দাবি তুলতে পারে না। মুক্তবাজারের সুবিধা নিতে হলে তাদের নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানো ও সুশাসন বিষয়ে জোর দিতে হবে, যাতে বিশ্বের যে কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করা যায়। সরকার কেবল তাদের আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ কৌশলগত সহায়তা দিতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের রূপকল্পটি বেসরকারি খাতকেই এগিয়ে নিতে হবে। তারা যদি সরকারকে অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সহায়তা বাবদ অর্থ ব্যয় করার ভূমিকায় দেখতে চায়, তাহলে বেসরকারি খাতকে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, এ জন্য তহবিলের প্রয়োজন আছে। বেসরকারি খাত সার্বিকভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ সুশাসন জোরদার ও যথাযথভাবে কর পরিশোধ না করলে সরকারের পক্ষে এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করা অসম্ভব। শুধু এ জন্যই কিন্তু করপোরেট সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা সীমাবদ্ধ নয়। বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতাশীলতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও কিন্তু করপোরেট সুশাসন জোরদার করা জরুরি।
নয়া অর্থনৈতিক রূপকল্প নির্ধারণে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তা হচ্ছে ভর্তুকি, বেসরকারিকরণ ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। পারস্পরিক সম্পৃক্ততার কারণে বিষয়গুলো নিয়ে একযোগে কাজ করা অপরিহার্য। তবে যেখানে সম্পদ বা অর্থ বিনিয়োগ বা ব্যয় করলে সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, সেখানেই অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ব্যবস্থার আওতায় পরিচালিত উত্তরণ প্রক্রিয়ায় উৎপাদনশীল খাতের সঙ্গে অদক্ষ খাতগুলোকে হয়তো সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবণতাও দেখা যেতে পারে। কিন্তু করদাতাদের অর্থ অদক্ষ খাতের পেছনে ব্যয় করাটাও যে গ্রহণযোগ্য নয়_ সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তখনই মেনে নেওয়া যেতে পারে, যখন সরকারের দেওয়া ভর্তুকিটা হবে যৌক্তিক এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সম্পদ বিতরণের সুবাদে সুফল পাওয়া যাবে। এমন ক্ষেত্রেও কিন্তু ভর্তুকির অর্থ বাজার ব্যবস্থায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করবে না_ সেই নিশ্চয়তা নিয়েই এগোতে হবে। সরকারকে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি সরকার তা করেও, সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ব্যয়ের বদৌলতে যেন সমাজের উপকারটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। এ ছাড়া সুসমন্বি্বত নীতিমালার ভিত্তিতে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়াকে জোর গতিতে এগিয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে 'শ্বেতহস্তী'খ্যাত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমও কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, করদাতাদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখানে 'ঠুনকো' আবেগের কোনো সুযোগ নেই।
সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক বাজারের গভীরতা বাড়াতে হবে। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে অর্থায়নের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি জোর বিবেচনায় রাখা দরকার। পুঁজিবাজারে উপকরণের জোগান বাড়ানোও জরুরি। পুঁজিবাজারে শুধু মূলধনের পর্যাপ্ততাই নয়, বরং সে সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের প্রচলনও দাবি করে। আবার পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটিজ ও বিভিন্ন ধরনের ঋণ উপকরণও (ডেট ইন্সট্রূমেন্ট) বাড়াতে হবে। তবে সবকিছুই কার্যকরভাবে পরিচালনা করাটা নির্ভর করে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার ওপর। এ ছাড়া আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রেডিট রেটিং বা ঋণ-মান নির্ণয়ের প্রক্রিয়া আরও জোরালো এবং স্বাধীন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বদলে দেওয়ার অর্থনীতির কৌশল বা রূপকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী এবং জনপ্রশাসনকেও অধিকতর সক্রিয় হতে হবে, যাতে বেসরকারি খাতকে দ্রুততার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা-সহায়তা দেওয়া যায়। অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনয়নের এই প্রক্রিয়ায় অবশ্য জনপ্রশাসন ও নিয়ন্ত্রকদের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টিকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্যতার নিরিখেই 'লাইসেন্স' ও 'অনুমোদন' দিতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা যদি কোনো কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে চান তাহলে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপই হতে হবে যৌক্তিক, স্বচ্ছ ও কার্যকর। আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়ন রূপকল্প তৈরি করার মতো পরিকল্পনকারী, নিয়ন্ত্রক ও জনপ্রশাসন তৈরি করতে হবে। তবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে তারা কিন্তু সঠিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবণতা, দিকনির্দেশনা ও বিভিন্ন ইস্যু ভালো করে বুঝতে পারবেন না। আর যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হলে তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়বে। বদৌলতে তারা কৃষি, উৎপাদন ও সেবাসহ বিভিন্ন খাত সংক্রান্ত নীতি-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে পারদর্শিতা দেখাতে পারবেন। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিপক্ষ বা প্রতিযোগী পক্ষগুলোর সঙ্গে সমঝোতা বা দর কষাকষি করে দেশের সার্বিক স্বার্থ সমুন্নত রাখতেও সক্ষম হবেন। এ ছাড়া তারা অর্থনীতির আরও দুটি স্তম্ভ বহিঃখাত এবং রেমিট্যান্স বা অন্তর্মুখী প্রবাসী-আয় প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন। বেসরকারি খাতকেও তাদের অভ্যন্তরীণ মানবসম্পদ উন্নয়নে গভীর মনোযোগ দিতে হবে। সে সঙ্গে দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা সর্বতোভাবে কাজে লাগাতে হলে বহুল আলোচিত 'বাজার প্রবেশাধিকার' পাওয়ার চেয়েও সংকল্পবদ্ধভাবে দেশের অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে প্রচুর প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। দুর্বল অবকাঠামো এবং জ্বালানি নিরাপত্তা এখন আমাদের সম্ভাব্য 'অর্থনৈতিক উল্লল্ফম্ফনে'র পথে প্রধান বাধা এবং শত্রুও বটে।
ভালো দিক হলো, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা মডেল দিয়ে আর বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় আমাদের। বদলাতে হবে, বদলে দিতে হবে 'তথাকথিত জনপ্রিয়তামুখী উন্নয়ন' মডেল। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে, আমরা ইচ্ছা করলেও আর ফিরে যেতে পারব না অতীতের কাছে। অতীতের উন্নয়ন মডেল এখন অকার্যকর, অন্তত বর্তমান প্রজন্মকে আরও একটু ভালো কিছু দেওয়ার ক্ষেত্রে। সে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে হবে 'দারিদ্র্য বিমোচন', 'আঞ্চলিক বৈষম্য' ইত্যাদি বিষয়ে প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকেও। ন্যায্যভাবে সম্পদ সৃষ্টির পথকে করতে হবে অবারিত। সাধারণ যৌক্তিকতার বিপরীতে জোর করে ঢাকার বাইরে গিয়ে কোনো শহরে কল-কারখানা গড়ে তুললেই তা টিকে থাকবে না বা আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করবে না। যে কোনো প্রকল্পের ভবিষ্যতের জন্য তা হতে হবে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক এবং যৌক্তিক। বাংলাদেশের মতো ছোট অথচ 'মিলেমিশের' দেশে 'আঞ্চলিকতার' ধুয়া উস্কে দেওয়ার পরিণাম অতীতে ভালো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। ঠিক একইভাবে এগিয়ে যেতে হবে প্রাধিকার খাতের অর্থায়নেও, যদিও তা হতে পারে দারিদ্র্য বিমোচনমুখী।
স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের ওপরই যে নয়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করবে_ সেটি ভুললে চলবে না। স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে এবং কোনো ভুল থাকলে তা-ও স্বল্পতম সময়ে শোধরানো হবে। আর সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সরকার, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা ও ঐকমত্য থাকতে হবে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির ভবিষ্যৎ আমাদের সবার হাতে। গঠনমূলক আলোচনা এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের সময়োপযোগী বাস্তবায়নেই আমাদের ভবিষ্যৎ নিহিত।

মামুন রশীদ :ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.