রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ-ইসি গঠনে আইন করার প্রস্তাব ওয়ার্কার্স পার্টির

রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আজ সোমবার ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বেলা ১১টায় রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বিষয়টির


প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে তা সরকারকে জানাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায়, এমন ব্যক্তিদের নামও চান তিনি। মেনন জানান, সংলাপ চলাকালেই তাঁরা তাঁদের প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতিকে দেবেন।
একই সঙ্গে সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগে অনুসন্ধান কমিটির (সার্চ কমিটি) প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের কথা বলেছে দলটি। আর সেই অনুসন্ধান কমিটি প্রত্যেক কমিশনার পদের বিপরীতে তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে। পরে সংসদ কার্য উপদেষ্টা কমিটি তা বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সংলাপে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মেনন বলেন, ‘প্রধান বিরোধী দলই আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছিল। তাই তাদেরই তো সংলাপে আসা উচিত।’
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডাকতে পারেন কি না, বিএনপির এমন প্রশ্নে তিনি তাদেরকে (বিএনপি) সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ পড়ার পরামর্শ দেন। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি সংলাপ ডাকতে পারেন উল্লেখ করে মেনন বলেন, সংলাপ ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি (জাপা) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি। তাদের কাছে তিনি নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায়, এমন ব্যক্তিদের নাম চেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি এবং সাখাওয়াত হোসেনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

No comments

Powered by Blogger.