কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে নতুন সাক্ষীর জবানবন্দী- আমান আযমীকে জেরা শুরু

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৮তম সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। তা ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে প্রথম সাক্ষী তার ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর জেরা শুরু হয়েছে।
১৮তম সাক্ষীর জবানবন্দী : সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৮তম সাক্ষী গতকাল ট্রাইব্যুনালে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেন, ‘আমার নাম দেবব্রত সরকার। বাবা মরহুম অরবিন্দ সরকার। গ্রাম আধারমানিক, ডাক নতুনবাজার, থানা রাউজান, জেলা চট্টগ্রাম। ১৯৭১ সালে আমার বয়স অনুমান ১০ বছর ছিল। তখন আমি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তাম। আমি পরবর্তীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি।’
সাক্ষী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমরা চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। আমার মেজ জেঠু মতিলাল চৌধুরী শহরের বাসায় থেকে গিয়েছিলেন। তাকে আনার জন্য আমার বাবা, জেঠু অরুণ বিকাশ চৌধুরী, জোগেশ দে, শান্তি কুসুম চৌধুরী, বাবার বন্ধু পরিতোষ দাস, শহরের বাসায় গেলেন এপ্রিল মাসের চার অথবা পাঁচ তারিখ। সেই দিন ছিল শনিবার। শহরের বাসা ছিল খাতুনগঞ্জে। পরদিন আমার জেঠু মতিলাল চৌধুরীর পাচক সুনীলকে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন লোক আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এলো। সুনীলের মুখে শুনলামÑ যেই দিন আমার বাবা ও জেঠুরা খাতুনগঞ্জের বাসায় গেল, সেই দিন রাতে পাশের বাসার আবদুস সোবহান এসে আমার বাবা ও অন্যদের বলল, আপনারা এখানে কী করছেন? কোনো ষড়যন্ত্র করছেন কি না? এ কথা বলে আবদুস সোবহান বেরিয়ে গেল। এর ১৫-২০ মিনিট পর পাকিস্তান আর্মির গাড়ি এলো। আমার বাবা, তার সাথে যাওয়া অন্য পাঁচজন ও সুনীলসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় চৌধুরীর ফজলুল কাদের চৌধুরীর পাহাড়ের বাড়ি। পাহাড়ের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর সুনীলকে ছেড়ে দেয়। সে খাতুনগঞ্জের বাসায় ফিরে আসে। সে আবদুস সোবহানকে দেখতে পায়। আবদুস সোবহান তাকে বলে তুই তো একজন বড় সাক্ষী। তোকে রাখা যাবে না। এ কথা বলে সে ক্রিচ বা তলোয়ার দিয়ে কোপাতে থাকে। আবদুস সোবহানের মা এসে সুনীলকে উদ্ধার করে লোকজন দিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
‘রাত ১১টা সাড়ে ১১টার দিকে অলিমিয়া হাট থেকে দুই জন লোক এসে বলল, ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছে যে, আমাদের গ্রামের বাড়িতে কোনো পুরুষ লোকের বীজ রাখা যাবে না। ওই দুইজন আসার আগেই বাড়ির সব পুরুষ লোক আশপাশের বৌদ্ধদের বাড়িতে টেম্বলে আশ্রয় নেয়। ওই দুই ব্যক্তি আমাদের আরো জানায়, বাড়ির মহিলারা যদি বাড়ি ছেড়ে না যায়, তা হলে তাদের ধর্মান্তরিত করা হবে। উপযুক্ত মেয়েদের বিয়ে করার জন্যও তারা ভাগবাটোয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বলে সে জানায় আমাদের। এরপর আমার ঠাকুরদাদাসহ আমরা যারা বাড়িতে ছিলাম, তারা রাতে পাশের বৌদ্ধদের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করি। আমরা চলে যাওয়ার পরদিন সকালে বাড়িতে লুটপাট করে আগুন দেয়। আগুন দেয়ার পর আমাদের খোঁজখবর করে তারা আশপাশের বাড়িতে। আমরা ওই রাতে সাম্পানে করে দেওয়ান, গুজড়া হয়ে বিনাজুরি যাই দুই দিন পর। বিনাজুরিতে যেই দিন যাই সেই দিন নূতন চন্দ্র সিংহের ঘটনা ঘটে। পরদিন বিনাজুরি থেকে হেঁটে ফটিকছড়ি এবং এর চার-পাঁচ দিন পর ভারতের সাব্রুমে চলে যাই। সেখানে গিয়ে আবদুল্লাহ আল হারুন ও আবদুল্লাহ আল নোমানকে দেখতে পাই। তারাই আমাদের সেখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে পরে কলকাতার সল্ট লেকে চলে যাই। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমে আমরা দুই ভাই মামার সাথে চট্টগ্রামের শহরের দেওয়ানজি বাসায় আসি। এসে দেখি বাসার কোনো চিহ্ন নেই। ভিটা খালি। আমরা আমাদের বাবা চাচাদের খোঁজাখুঁজি করে। অনেকে বলে তাদের পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে বলে তাদের টর্চার সেলে নির্যাতন করে মেরে কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর আমরা গ্রামের বাড়িতে চলে যাই।’
এরপর সাক্ষী বলেন, ‘১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরীর হাতে যারা ধরা পড়েছে তাদের অনেকে বেঁচে গেছে। কিন্তু সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাতে যারা ধরা পড়েছে, তারা কেউ বাঁচেননি। আমি আমার বাবা ও জেঠুদের হত্যার বিচার চাই।’
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার আইনজীবীদের নিয়োগ সাময়িকভাবে বাতিল করায় তার পক্ষে একজন রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নতুন আইনজীবী মামলার কাগজপত্র বুঝে পাওয়া এবং প্রস্তুতির জন্য সময় চাওয়ায় সাক্ষীর জেরা আগামী ছয় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
তবে মুলতবির আগে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে এবং তার পক্ষে নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় আইনজীবী মোট তিনটি প্রশ্ন করেন সাক্ষীকে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রশ্ন করেন, ‘বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কোনো মন্ত্রী দুর্নীতি করেন বলে বিএনপির দাবি করে। এটি আপনি বিশ্বাস করেন কি না?’ জবাবে সাক্ষী বলেন, আমার এ বিষয়ে জানা নেই।
আমান আযমীকে জেরা : জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে  প্রথম সাক্ষী তার ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর জেরা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী তাকে জেরা করেন।
জেরা :

প্রশ্ন : জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব আর্মি চিফ ছিলেন।

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : তাকে যখন সেনাপ্রধান করা হয়, তখন তিনি এলপিআরে ছিলেন।

উত্তর : জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব মেজর জেনারেল থাকাবস্থায় এলপিআরে যান। এলপিআরে থাকাকালে তাকে রিকল করে লে. জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাঠামো অনুযায়ী সেনাপ্রধানের পদবি লে. জেনারেল ছিল।

প্রশ্ন : জেনারেল মঈন কখন লে. জেনারেল থেকে জেনারেল হলেন বলতে পারবেন?

উত্তর : লে. জেনারেল মইন সেনাপ্রধান থাকাকালে সেনাপ্রধানের পদটিকে ফোরস্টার জেনারেলে উন্নীত করে লে. জেনারেল মইনকে পদোন্নতি দিয়ে ফোরস্টার জেনারেল বা ফুল জেনারেল পদবি দেয়া হয়। আমার যতদূর মনে পড়ে এটি হয়েছিল ২০০৭ বা ২০০৮ সালে।

প্রশ্ন : জেনারেল ওসমানী সাহেবও জেনারেল ছিলেন।

উত্তর : আমার জানা মতে জেনারেল ওসমানী সাহেবকেও অনারারি ফোরস্টার জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। তবে জেনারেল ওসমানী অবিভক্ত পাকিস্তানে কর্নেল পদবিতে অবসরে গিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে উনাকে সম্মান প্রদর্শনের জন্য অনারারি ফুল জেনারেল করা হয়েছিল। কর্মরত অবস্থায় নয়, সঠিক সাল মনে করতে পারছি না।

প্রশ্ন : ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার ও ইন এইড টু সিভিল অথরিটির মধ্যে পার্থক্য আছে কি?

উত্তর : আমরা অফিসিয়াল ‘ইন এইড টু সিভিল অথরিটি’ এই টার্মের সাথে পরিচিত নই, আমরা ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার টার্মের সাথে পরিচিত।

প্রশ্ন : ১৯৫৮ সালের মার্শাল ল ও ১৯৬৯ সালের মার্শাল ল’র মধ্যে গুণগত ও কৌশলগত কোনো পার্থক্য ছিল কি না?

উত্তর : আমার জানা নেই।

প্রশ্ন : ওই দু’টি মার্শাল ল’র রেগুলেশন মিলিয়ে দেখেননি আপনি।

উত্তর : না।

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইট শুরু হওয়ার পর বাঙালি সেনাকর্মকর্তা যারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন, তারা বেশির ভাগই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তারা তখন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে গণ্য হন।

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যেসব বেসামরিক ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরও সেনাবাহিনীর সদস্য করা হয়।

উত্তর : তাদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে দু’টি ব্যাচে কমিশন দিয়ে অফিসার হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নেয়া হয় এবং একই পদ্ধতিতে সৈনিক পদেও নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রশ্ন : সশস্ত্রবাহিনী দিবস কোনটি?

উত্তর : ২১ নভেম্বর।

প্রশ্ন : কোন কোন আইন দিয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হয়, তা জানা আছে?

উত্তর : না।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাহিনী।

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর গঠনপ্রক্রিয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি না?

উত্তর : ব্রিটিশ ও পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনী গঠন সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জানা নেই; তবে ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মির একটি অংশ নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গঠিত হয়েছিল মর্মে আমি জানি।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মি এবং পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর ধারাবাহিক কোনো বাহিনী নয়।

উত্তর : আপনার দাবি সত্য নয়।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনার বয়স কত ছিল?

উত্তর : ১২ বছর।

প্রশ্ন : তখন আপনি কোথায় ছিলেন?

উত্তর : ঢাকা।

প্রশ্ন : পরিবারের অন্য সদস্যরা কোথায় ছিল?

উত্তর : আমার বাবা বাদে আমাদের পরিবারের সব সদস্য ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ঢাকায় ছিল। ১৯৭২ সালে জুলাই কিংবা আগস্টে আমার মেঝ ভাই এবং অক্টোবর বা নভেম্বরে আমার বড় ভাই উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। আমি ও আমার তৃতীয় ভাই আমরা দু’জন এসএসসি পাস করার পর ১৯৭৫ সালে যুক্তরাজ্যে যাই। ১৯৭৬ সালে আমার আম্মা আমার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।

প্রশ্ন : ল্যাবরেটরি স্কুলে কখন ভর্তি হন?

উত্তর : ১৯৬৯ সালে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই এবং ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আমি ওই স্কুলে পড়াশোনা করি। ১৯৭৪ সালে আমি সিলেট অগ্রগামী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি। আমি ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরের দিক থেকে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর পর্যন্ত সিলেটে ছিলাম, তৎপর ঢাকায় আসি।

প্রশ্ন : ও লেভেল কোর্স কত দিনের?

উত্তর : ‘ও’ লেভেল আমাদের দেশের এসএসসির সমমানের। ‘ও’ লেভেল কোর্সে সিলেবাস কভার করতে কম-বেশি দুই বছর লাগে।

প্রশ্ন : ‘ও’ লেভেল করার পর আপনি কি ‘এ’ লেভেল করেছেন?

উত্তর : আমি যুক্তরাজ্যে ‘এ’ লেভেল দুই বছর পড়েছি। কিন্তু পারিবারিক সিদ্ধান্তে ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে আমি দেশে ফিরে আসি।

প্রশ্ন : এইচএসসি কোথা থেকে পাস করেছেন?

উত্তর : ১৯৭৯ সালে আমি আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি।

উত্তর : রেজাল্ট কী ছিল?

উত্তর : তৃতীয় বিভাগ। যুক্তরাজ্যে দ্ইু বছর ‘এ’ লেভেল পড়ায় দেশের সিলেবাসের সাথে আমি অ্যাডজাস্ট করতে পারিনি। ফলে একটি বিষয়ে ফল খারাপ হয়।

প্রশ্ন : ১৯৯১ সালে আপনার চাকরিজীবনে কোনো সমস্যা হয়েছিল?

উত্তর : আমার মনে পড়ে না।

প্রশ্ন : বিদেশী নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আপনার বাবা আপনার বাসায় বসে রাজনীতি করেছেন। আপনার সার্ভিস রেকর্ডে এ কথা আছে।

উত্তর : ১৯৯১ সালে আমার বাবা আমার সিলেটের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। নিয়ম মেনে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তিনি বাসায় ছিলেন। ওই সময় আমার বাসায় অবস্থান করে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন এটি সঠিক নয়। তিনি আমার বাসায় যাওয়ায় আমার চাকরিতে কোনো অসুবিধা হয়নি এবং আমার সার্ভিস রেকর্ডেও এসব নেই।

প্রশ্ন : ১৯৯৪ সালে মালয়েশিয়ায় স্টাফ কোর্স সম্পন্নের সময় স্থানীয় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামি ইউনিভার্সিটির প্রশিক্ষক এবং ছাত্ররা যারা মূলত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সদস্য, তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন আপনি।

উত্তর : এটি সত্য নয়। তবে এ মর্মে একটি মিথ্যা রিপোর্ট বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ডিজিএফআই হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছিল মর্মে আমি জেনেছিলাম এ নিয়ে কোনো অভিযোগ বা তদন্ত হয়নি।

প্রশ্ন : ১৯৯৮ সালের ২৪ এপ্রিল আপনার বাবা আপনার চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সরকারি বাসায় কয়েকজন দেহরক্ষী ও রাজনৈতিক সঙ্গীসহ গমন করেন এবং সেখানে অবস্থান করেন কি না?

উত্তর : ১৯৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল তারিখে আমার বাবা আমার মা ও ফুফুসহ আমার অসুস্থ স্ত্রী ও অসুস্থ সন্তানকে দেখার জন্য আমার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সরকারি বাসভবনে গমন করেন। আমার বাবার কখনো কোনো দেহরক্ষী ছিলেন না। তবে উনি সফরে গেলে উনার নিরপত্তার জন্য কিছু লোক সাথে থাকতেন। ১৪ এপ্রিল আমার বাবার নিরাপত্তার জন্য যারা উনার সাথে গিয়েছিলেন, তারা আমার বাবাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েই চলে গিয়েছিলেন।
       

No comments

Powered by Blogger.