বিএনপি জামায়াত লুণ্ঠিত অর্থে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে- রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট পাঁচ বছরের লুণ্ঠিত হাজার হাজার কোটি টাকা কৃত্রিমভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে ব্যবহার করছে।
জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে সরকারকে খাটো করতে লুণ্ঠিত অর্থ থেকে পাঁচ শ' বা হাজার কোটি খরচ করতে তাদের কিছু যায়-আসে না। মানুষের কষ্ট নিয়ে তারা ভাবে না। বর্তমান সরকারকে তারা শানত্মিতে দেশ পরিচালনা করতে দিতে চায় না।
ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির পেছনে বিএনপিকে দায়ী করে সংসদ নেত্রী বলেন, ওই সময় মাইনাস টু নয়, শুধু আমাকে মাইনাস করার চেষ্টা চলেছে। আমাকে গ্রেফতার করে যত মামলা দেয়া হয়েছে, অন্য কারোর বিরম্নদ্ধে তা হয়নি। গ্রেফতারের পর স্লো-পয়জনিং করার কারণে চোখটা পর্যনত্ম নষ্ট হতে বসেছিল। তিনি বলেন, ওই সময়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল, বিদেশ যাওয়ার জন্য এক কোটি বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি আমি সমর্থন করিনি। আমি এর প্রতিবাদ করেছি, ওই সময়ে বিএনপির একজনও প্রতিবাদ করে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ৫৮ মিনিট বক্তব্যের পর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শেষ হয়। এরপর কণ্ঠভোটে ধন্যবাদ প্রসত্মাবটি গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বিদু্যত ও গ্যাস সঙ্কটের কারণ সম্পর্কে বলেন, বিদু্যত ঘাটতির কারণে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হচ্ছে এটা আমি জানি। কিন্তু আমরা কী করব? বিএনপি-জামায়াত জোট ৰমতার পাঁচ বছরে এক মেগাওয়াট বিদু্যতও উৎপাদন করে যায়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়েছে, এক ফোঁটা বিদু্যতও গ্রিডে যোগ দিয়ে যায়নি। শুধু খাম্বা দিয়ে দুনর্ীতি করেছে, বিদু্যত দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর মিলিয়ে এ সাত বছরে বিদু্যতের চাহিদা বেড়েছে, এক ফোঁটাও উৎপাদন করেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের ফল আজ ভোগ করতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। উল্টো এ জোট আমাদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে। গ্যাস সঙ্কট সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০১ সালে শুনলাম গ্যাসে ভাসসে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন গ্যাস নেই। বিএনপি-জামায়াত জোট দুনর্ীতিতে এতই নিমজ্জিত ছিল যে, এক ফোঁটা গ্যাসও উত্তোলন করে যায়নি। ফলে মানুষ আজ কষ্ট পাচ্ছে। তিনি বিদু্যত ও গ্যাস সঙ্কট নিরসনে সরকারের বিভিন্ন পদৰেপের কথা উলেস্নখ করেন।
বিডিআর ঘটনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ৫০ দিন না যেতেই বিডিআর ঘটনা ঘটানো হলো। অনেকেই তখন খুশিতে লাফাচ্ছিল। ভেবেছিল এতেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে, তারা ৰমতায় আসবে। তাই এ ঘটনার পেছনে কাদের ইন্ধন ছিল তা বের করতে হবে। বিডিআরের ঘটনা নিয়ে বিরোধী দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অনেক চেষ্টা করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটার আগেই প্রাপ্ত সিকিউরিটি বাদ দিয়েই সকালে গোপনে বিরোধীদলীয় নেত্রী কোথায় গিয়েছিলেন? তিনদিন তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দেড় মাস তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কী করতে চেয়েছিলেন, তাঁর কি আকাঙ্ৰা ছিল? আজ দেখি সেনাসদস্যদের জন্য তাঁদের কুমিরের কান্না। এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, সেনাবাহিনীর রক্তে কাদের হাত রঞ্জিত, কারা রক্তের হোলি খেলেছেন তা দেশবাসী জানে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে জেনারেল জিয়া সেনাপ্রধান হয়ে গেলেন। রাষ্ট্রপতি সায়েমকে তাড়িয়ে দিয়ে নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন। এটা কী সংবিধান লঙ্ঘন নয়? তিনি বলেন, ৰমতা দখল করেই এক রাতে বিমানবাহিনীর ৫৬২ কর্মকর্তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যনত্ম ১২০ সেনাসদস্যকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। এরপর শুধুমাত্র ৰমতাকে কুৰিগত করতে জেনারেল জিয়া বগুড়া কারাগারে ১৬, কুমিলস্না কারাগারে ৭২, রাজশাহী কারাগারে ৩৮ সেনাসদস্যকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। সামরিক বাহিনীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে ৰমতা দখল করে উল্টো সেনাবাহিনীর রক্তের হোলি খেলেছিলেন এ জিয়া।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা- সম্পর্কে আবেগজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, খুনীদের মদদ দেয়া আর খুন করা একই অপরাধ। জাতির জনককে যারা হত্যা করেছিল, জেনারেল জিয়া তাদের পুরস্কৃত করেছিলেন। তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল রশিদকে কারচুপি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী করে বিরোধীদলীয় নেতা করেছিলেন। কর্নেল হুদাকে সংসদে এনেছিলেন। তিনি বলেন, কী দোষ করেছিল শিশু রাসেল? সেই খুনীদের রাজনৈতিক নেতা বানিয়েছে। রক্তের হোলি খেলে, হত্যা-কু্য-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা রাজনীতি করে, দেশবাসী তাদের বিচার করবে।
১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কেমন জিঘাংসা, বিকৃত রম্নচি ও জঘন্য মানসিকতা! মায়ের পেট থেকে মানুষ একবারই জন্ম নেয়। ১৯৯২ সালে ১৫ আগস্ট হঠাৎ করেই বেগম জিয়া জন্মদিন পালন শুরম্ন করলেন। ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকা-ের দিন সেজেগুঁজে বিশাল কেক কেটে জন্মদিনের উলস্নাস করেন। সত্যিই যদি তাঁর জন্মদিন হতো তাও একটা কথা ছিল। তিনি বলেন, দিনাজপুরের স্কুলে পড়ার সময় জন্মদিনের এক তারিখ, জিয়ার সঙ্গে বিয়ের কাবিন ও লালপোর্টেও অন্য তারিখ পাওয়া গেছে। কোনটাই ১৫ আগস্ট নয়। আসলে ওইদিন মিথ্যা জন্মদিন পালন করে বেগম জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরই উৎসাহিত করেছেন।
নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন '৭৫ পরবর্তী সকল নির্বাচনের চেয়ে সঠিক ও নিরপেৰ হয়েছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কারণে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বাদ পড়েছে। শানত্মিপূর্ণ ও নিরপেৰ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে পছন্দের দলকে নির্বাচিত করেছেন। তিনি বলেন, জনগণ আমাদের ৫ বছরের ম্যান্ডেট দিয়েছে। অথচ এক বছর না যেতেই বিরোধী দল সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যনত্ম অপেৰা করম্নন। ৰমতার মালিক আলস্নাহ। যাঁকে ইচ্ছে দেন, কেড়ে নেন।
ওয়ান ইলেভেনের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভুয়া ভোটারের মাধ্যমে ৰমতায় এসে চারদলীয় জোট শুধু টাকাই চিনেছিল। অর্থ ও ৰমতার লোভে তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইল। নীলনকশার নির্বাচনের চেষ্টা করা হলো। বিএনপির দলীয় লোককে প্রধান বিচারপতি করা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার জন্য। সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করা হলো, যাতে ভোট চুরি করে জোট পুনরায় ৰমতায় আসতে পারে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যের কারণে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, জরম্নরী অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করা হলো বিএনপি মনোনীত গবর্নর ফখরম্নদ্দীন আহমদকে। ৯ জনকে ডিঙ্গিয়ে মইনকে সেনাপ্রধান এবং এক আত্মীয়কে কর্নেল থেকে মেজর জেনারেল বানানো হলো। বিএনপি নেত্রী আশা করেছিলেন এঁরা ভোট চুরি করে তাঁদের ৰমতায় বসাবেন। তিনি বলেন, আমি ন্যায়নীতির পৰে। ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য কম ষড়যন্ত্র হয়নি। আজকের বিরোধী দলও তখন কম খেলা খেলেনি।
স্বাধীনতার ঘোষক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক কে তা বিশ্ববাসী জানে। আদালতের রায়েও তা উলেস্নখ আছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে পাকিসত্মানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জনগণের ম্যান্ডেট যার আছে তিনিই একমাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন, অন্য কেউ নন। সেজন্য একমাত্র বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন, তাই তিনি দিয়েছেন। এৰেত্রে বিরোধী দলের কোন দাবি ধোপে টিকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার নিয়েই আমরা সরকার পরিচালনা করছি। অনেক দলই নির্বাচনের আগে ইশতেহার দেয়, কিন্তু পরে তা ভুলে যায়। কিন্তু আমরা ইশতেহার ভুলি না, সব সময় সঙ্গে নিয়েই ঘুরি। বিরোধী দলের নেতাদের কার এ্যাকাউন্টে কত সম্পদ আছে তা খতিয়ে দেখে জাতির সামনে প্রকাশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সবকিছু। খালেদা জিয়ার নাম উলেস্নখ না করে তিনি বলেন, একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার কালো টাকা সাদা করে_ এতেই প্রমাণ হয় কীভাবে তাঁরা দুনর্ীতি করেছেন।
সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও সর্বকালের রেকর্ড বর্তমানে ১০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। দারিদ্র্য বিমোচন করতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতেই ৭ হাজার ৫শ' ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বয়স্ক ভাতা খাতে প্রায় ৭শ' কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। কৃষির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরম্নত্ব দিয়েছি। খাদ্য ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরম্ন করে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা হওয়ার চেষ্টা করছি। সার, ডিজেলের দাম কমিয়েছি, কৃষকদের সহযোগিতা করতে কৃষিকার্ড চালু করেছি, মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছি।
বিরোধী দলের নির্যাতনের অভিযোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, নির্যাতন কত প্রকার ও কী কী তা জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরে জনগণ টের পেয়েছে। সে তুলনায় তো আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি। বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ এমন কেউ নেই যে রেহাই পেয়েছেন। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকমর্ীকে হত্যা করা হয়েছিল। পাঁচটি বছর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দু'পাশে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্দী করে রেখেছিল। কিন্তু এখন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে তো তা করা হয়নি। মনে হয় এখন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এমন কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়া উচিত।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে একটি মোবাইলের দাম ছিল দেড় লাখ। এখন গ্রামেগঞ্জে মানুষ সস্তায় মোবাইল ব্যবহার করছে, তৃণমূল পর্যায়ে ইন্টারনেট কানেকশন দিচ্ছি। প্রতিটি স্কুলে ল্যাপটপ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরম্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পদ্মা সেতুও করব। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লৰ্য নিয়ে দেশকে প্রস্তুত করছি। ৬৪টি জেলা ও ৭ বিভাগে ওয়েব পোর্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সচিবালয় ও ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশে ই-গবর্ননেন্স চালু করতে চাই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই দুর্নাম আর নেই। এ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সমউন্নয়নে বিশ্বাস করে। তাই সরকার ও বিরোধী দলকে সমানভাবে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। বিরোধীদলীয় নেত্রীও ইতোমধ্যে ওই ১৫ কোটি টাকার অনুকূলে প্রকল্প জমা দিয়েছেন। জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি, দেশ ও জনগণের উন্নতি হোক সেটাই চাই।
প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়নত্মী পালন করব। দুনর্ীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে। শিৰা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।

No comments

Powered by Blogger.