লাখ লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছে খালেদা ও তারেকের নির্দেশে- মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদসভা

 জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া নিজেই নারী নির্যাতনকারী। নারী নির্যাতনে দেশের সেরা বাঙালী নারী খালেদা জিয়া আজ নারীদের জন্য মায়াকান্না করছে।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় খালেদা জিয়া ও তার কুসনত্মান তারেক রহমানের নির্দেশে লাখ লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছে। এসব নির্যাতনের প্রমাণও আছে। অথচ খালেদা জিয়া নারী দিবসের অনুষ্ঠানে কোন প্রমাণ ছাড়া বর্তমান সরকারের এক বছরে ২০ শতাংশ নারী নির্যাতিত হয়েছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই মিথ্যাচারের জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ৰমা চাইতে হবে। নইলে তাঁর বিরম্নদ্ধে মামলা করা হবে।
খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারের বিরম্নদ্ধে বুধবার মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে বক্তারা খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং মিথ্যাচারের দায়ে তার শাসত্মি দাবি করেন। এছাড়া বক্তারা খালেদা জিয়াকে তাঁর বক্তব্যের পৰে প্রমাণ উপস্থাপন করারও আহ্বান জানান।
সভায় জোট সরকারের আমলে নির্যাতিতরা তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ এমপি। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদিকা পিনু খানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ফরিদা রহমান এমপি, সাহেদা তারেখ দীপ্তি এমপি, অধ্যৰ খাদিজা খাতুন শেফালি এমপি, আসমা জেরিন ঝুমু এমপি, সাফিয়া খাতুন এমপি, কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী অঞ্জলী সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা মন্ট,ু কেন্দ্রীয় নেত্রী আলেয়া পারভীন, স্মৃতি কণা, ফেরদৌস আরা বেগম রম্ননু, বাছিয়া বেগম, মহানগর নেত্রী শাহিন আক্তার, আয়েশা মোকাররম, নাসিমা ফেরদৌসী, শাহিনুর, কোহিনুর আকতার প্রমুখ।
সভানেত্রীর বক্তব্যে আশরাফুন্নেসা মোশাররফ বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। এসব নির্যাতনের বিচার হতে হবে। নারী নির্যাতনে দেশের সেরা বাঙালী নারী খালেদা জিয়া আজ নারীদের জন্য মায়াকান্না করছে মনত্মব্য করে তিনি বলেন, বিচারের মাধ্যমে নির্যাতনকারীদের কঠোর শাসত্মির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি খালেদা জিয়ার মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত নারী নেত্রী আয়েশা মোকাররম বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়া ও তার কুসনত্মান তারেক রহমানের নির্দেশে লাখ লাখ নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। এসব নির্যাতনের প্রমাণও আছে। অথচ নারী নির্যাতনকারী খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের বিরম্নদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মিথ্যাচারের অভিযোগে অবশ্যই খালেদা জিয়ার বিচার হতে হবে। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপির সন্ত্রাসী নাসির উদ্দিন পিন্টুর নেতৃত্বে তার বাড়িঘর ভাংচুর ও তাঁকে নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
আরেক নির্যাতিত নেত্রী শাহিনুর বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের চিহ্ন এখনও আমার শরীরে আছে। তাছাড়া পুলিশ দিয়েও আমাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব পুলিশ আমাকে নির্যাতন করেছিল, সেসব পুলিশ এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরম্নত্বপূর্ণ পদে আছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নির্যাতিত নেত্রী নাসিমা ফেরদৌস বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের সময় নারী নির্যাতনের প্রমাণ আছে। আর খালেদা জিয়া কোন প্রমাণ ছাড়াই বর্তমান সরকারের বিরম্নদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তিনি খালেদা জিয়াকে তাঁর বক্তব্যের পৰে প্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিথ্যাচারের জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ৰমা চাইতে হবে। তা না হলে তাঁর বিরম্নদ্ধে মামলা করা হবে। এ সময় তিনি বিএনপি সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় নারী নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অনেক নারী পঙ্গুত্ব বরণ করেছে উলেস্নখ করে বলেন, এজন্য খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক দায়ী।
যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি ওলামা লীগের বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের এক জরম্নরী আলোচনাসভা বুধবার দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে তার গুলশানের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা অনতিবিলম্বে মতিউর রহমান নিজামী, গোলাম আযম, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার ও দ্রম্নত বিচারের জোর দাবি জানান।

No comments

Powered by Blogger.