বিডিআর-বিএসএফ বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার

 পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লীতে বিডিআর-বিএসএফ সীমানত্ম সম্মেলন শেষ হয়েছে। সম্মেলনে দু'পৰই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দেয়া যৌথ ঘোষণার আলোকে বিভিন্ন বিরোধ নিরসনে একমত হয়েছে।
সম্মেলনে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। গত ৭ মার্চ দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে ১৯ সদস্যের বিডিআর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মইনুল ইসলাম। বিএসএফের নেতৃত্বে ছিলেন এর মহাপরিচালক রমন শ্রীবাসত্মব। সম্মেলনে বিডিআর প্রধান বিএসএফ প্রধানের কাছে যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার একটি খসড়া দিয়েছেন। বিডিআর প্রধানকে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসী ও পলাতক আসামিদের একটি তালিকা দিয়েছে বিএসএফ প্রধান। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা বাংলাদেশে আত্নগোপন করে রয়েছে বলে মনে করে ভারত। চারদিনব্যাপী সম্মেলন শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ঘোষিত যৌথ ঘোষণার আলোকে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। বিডিআর প্রধান মইনুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনে সীমানত্মে যখন-তখন বিএসএফ সদস্যদের গুলি এবং তাতে নিরপরাধ বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা খুবই ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা কমে আসবে। বিএসএফ সব সময় বিডিআরের অভিযোগকে গুরুত্ব দেয় এই দাবি করে বিএসএফ প্রধান শ্রীবাস্তাব সাংবাদিকদের জানান, অতীতে বাংলাদেশের ভূখন্ডে অনুপ্রবেশের দায়ে কয়েক বিএসএফ সদস্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সীমান্তে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিডিআরের কাছে বিএসএফ সব সময় সহযোগিতা চাইবে বলেও তিনি জানান। এরপর দুই দেশের সীমানত্মরৰী বাহিনীর দুই প্রধান ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম এবং স্বরাষ্ট্র সচিব জিকে পিলস্নাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। দেশে ফেরার আগে বিডিআর প্রধান বৃহস্পতিবার কলকাতা গেছেন। আজ শুক্রবার বিডিআর প্রতিনিধি দলের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.