হাইকোর্টের রুল- বিএমএ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বিগত নির্বাচনের অনিয়ম ও কারসাজি তদন্ত করে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল এসংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সরকারের পক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধক কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।

আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক ডা: সৈয়দ মুহাম্মদ আকরাম হোসেন। রিট আবেদনের পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুবিনা আসফ। তাকে সহায়তা করেন : ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, অ্যাডভোকেট  সাথিকা হোসাইন ও অ্যাডভোকেট মো: রিয়াজুল হাসান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

গত ২৯ নভেম্বর বিএমএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরাম (স্বাচিপ) জয়লাভ করে। তবে বিএনপি সমর্থক ডাক্তারদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট ও পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায়। পরে গত ১৩ ডিসেম্বর এ রিট আবেদনটি করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, বিএমএর নির্বাচনে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে গোপন ব্যালটের পরিবর্তে প্রকাশ্য ব্যালটে নির্বাচন করা হয়েছে। সরকার-সমর্থকেরা জোর করে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানানোর পর তাদের কিছুই করার নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। এসব বিষয়ের তদন্ত জরুরি। আবেদনের সাথে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কপি সংযুক্ত করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.