বিশেষ সাক্ষাৎকার : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন-সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে আরইবির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। এর পর থেকে সিস্টেম লস কমে আসে প্রতিষ্ঠানটির। পাশাপাশি সেচ মৌসুমে কৃষকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
বর্তমানে বোরো মৌসুম শুরু হয়েছে। বোরো মৌসুমে আরইবির প্রস্তুতি নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরিফুজ্জামান তুহিন   
কালের কণ্ঠ : এবার সেচ মৌসুমে কী পরিমাণ কৃষক আরইবির বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচকাজ পরিচালনা করবেন?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : গত বছর আরইবির সেচ গ্রাহক ছিলেন দুই লাখ ৭০ হাজার। এ পরিমাণ সেচ গ্রাহকের জন্য আমাদের বাড়তি বিদ্যুৎ লেগেছিল এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এবার আরো ২৭ হাজার গ্রাহক নতুন যোগ হবেন। সবাইকে হয়তো আমরা দিতে পারব না ওভারলোডিংয়ের কারণে। যদি এবার যুক্ত হওয়া ২৭ হাজারকে বিদ্যুতের সংযোগ দিই, তাহলে গতবারের তুলনায় আরো ১২০ থেকে ১৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি লাগবে। এবার আমাদের গ্রাহক তিন লাখের কাছাকাছি। এর জন্য বিদ্যুৎ লাগবে এক হাজার ৪৫০ মেগাওয়াট। দেশের মোট সেচ গ্রাহকের মধ্যে ৯০ শতাংশই আমাদের।
কালের কণ্ঠ : সেচের জন্য আপনাদের প্রস্তুতি কী?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : গতবার যে দুই লাখ ৭০ হাজার কৃষক আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়েছেন, এবার তাঁদের সবাই বিদ্যুৎ পাবেন। ইতিমধ্যে তাঁদের সবাইকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া, চূয়াডাঙ্গা, যশোর অঞ্চলের কৃষকরা খেতে রবিশস্য করেছেন। রবিশস্য শেষ হলে তাঁরা ইরি ধান করবেন। ফলে তাঁদের ওখানে পরে বিদ্যুৎ লাগবে। আবার উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জায়গায় কিন্তু ইরি ধানের চাষ শুরু হয়ে গেছে।
নতুন যে ২৭ হাজার কৃষক বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছেন, এর মধ্যে যাঁদের কাছ থেকে আরইবি টাকা নিয়েছে বিদ্যুৎ দেবে বলে, তাঁদের সবাইকে বিদ্যুৎ দিতে হবে। আর যাঁদের কাছ থেকে আরইবি এখনো ডিমান্ড নোট নেয়নি, তাঁদের বিদ্যুৎ সংযোগ একটু বুঝেশুনে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ওভারলোড নেই সেসব জায়গা যেসব আবেদন করা হয়েছে, সেসব সংযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ : মাঝেমধ্যে দেখা যায়, ট্রান্সফরমার পুড়ে যায় বা চুরি হলে দিনের পর দিন তা মেরামত করা হয় না। সেচকাজে যদি এ রকম ঘটনা ঘটে তাহলে তো কৃষকরা বিপদে পড়বেন?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : সেচকাজে বিদ্যুৎব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য আমরা সব সমিতিকে বলে দিয়েছি, যদি কোনো ট্রান্সফরমার চুরি বা পুড়ে যায় তার জন্য দায়ী কে- এটা পরে দেখা যাবে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সফরমার রিপ্লেস করা হবে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমার মজুদ রেখেছি সমিতির জোনাল অফিসগুলোতে। এ জন্য আমরা অভিযোগকেন্দ্র করেছি; যেখানে গ্রাহকরা এসে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
কালের কণ্ঠ : অভিযোগ রয়েছে, অভিযোগকেন্দ্রগুলো সচল থাকে না, অভিযোগ করলে তা সমাধানের জন্য কাউকে পাওয়া যায় না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : আমাদের প্রতিটি সাবস্টেশনে লাইনম্যানরা ডিউটিতে আছেন। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সেচের সময় আমরা কাউকে ছুটি দেব না। অভিযোগকেন্দ্রগুলোতে টেলিফোন রয়েছে, যেখানে ফোন করা যাবে। এখন অভিযোগ থাকতে পারে যে টেলিফোন ধরে না। আমরা বিষয়গুলো কঠিনভাবে মনিটর করছি, যাতে কোনো কৃষকের বিদ্যুৎসংক্রান্ত সমস্যা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের সমিতির লোকরা সে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
আমরা লাইনম্যানদের ট্রেনিং দিয়েছি কিভাবে অভিযোগ এলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের জানাতে হবে। জানানোর জন্য প্রয়োজনে মাইকিং করারও নির্দেশ রয়েছে। ধরুন, কোনো একটি ফিডার জ্বলে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে মাইকিং করতে হবে। কত সময়ে তা ঠিক হবে, তাও বলতে হবে। সত্যিকার অর্থে আমরা অভিযোগকেন্দ্রগুলো সমৃদ্ধ করেছি। সেখানে লোক থাকবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে অভিযোগটি পৌঁছে দেবে।
কালের কণ্ঠ : অভিযোগ রয়েছে লো-ভোল্টেজের কারণে সেচযন্ত্রের মটর জ্বলে যায়। প্রতিবছর এ রকম শত শত ঘটনা ঘটে। প্রতিরোধে আপনাদের ভূমিকা কী?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : লো-ভোল্টেজের কারণ হলো কুলিং লোড। এ কারণে আমরা প্রত্যেকটি সেচযন্ত্রে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি। ক্যাপাসিটরের মূল্য ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। একটা ক্যাপাসিটর হলে বিদ্যুৎ যেমন কম লাগবে, তেমনি আবার মটর জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। এটা আমাদের কৃষকরা বোঝেন না। এ কারণে তাঁরা এটা ব্যবহার করেন না। এটার পাশাপাশি আমরা ওভারলোডেড বিষয়গুলো কমিয়ে এনেছি।
একই সঙ্গে আমরা ও কৃষি বিভাগ মিলে কৃষকদের মধ্যে পানি ব্যবহারের সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি। আগে যেমন ক্ষেত পানি দিয়ে ভরা থাকত। এখন আর সেটা করা হয় না। আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান বলছে, পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার পানি দিতে হবে। কিন্তু সব সময় ক্ষেত পানি দিয়ে ভরে রাখা যাবে না। এ পদ্ধতিতে পানি যেমন কম লাগছে, খরচ কম হচ্ছে; আবার ধান কিন্তু বেশি উৎপাদন হচ্ছে। আমরা যখন গ্রাম পর্যায়ে সমিতির মতবিনিময় করি, তখন এসব বিষয় কৃষকদের ভালো করে বুঝিয়ে বলি। আমি ইতিমধ্যে সেচের দুই লাখ ৭০ হাজার গ্রাহককে এসএমএস করেছি। সবার কাছে আমার ফোন নম্বর দিয়েছি। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে কৃষক সরাসরি আমাকে ফোন দিতে পারে। আমরা একটা ছোট ডকুমেন্টারিও বানিয়েছি প্রচারের জন্য।
কালের কণ্ঠ : বিদ্যুতের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণে লোডশেডিং থাকবে। এ কারণে সেচযন্ত্র কি ঠিকমতো চালানো সম্ভব হবে?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার পার্থক্য রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে আমরা গত চার বছরে নতুন ২০ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। এই ২০ লাখ নতুন গ্রাহক কিন্তু আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। সেচ মৌসুমে কৃষকের বিদ্যুৎ পেতে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য আমরা তিনটি ভাগে বিদ্যুতের সময়কে ধরেছি। এর মধ্যে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলকারখানা, সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাসাবাড়িতে; এর পর রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। সেচযন্ত্রগুলো চালাতে হবে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত। কৃষক যেন এ সময় সেচযন্ত্র চালায়, সে জন্য আমরা বড় ধরনের ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি।
আমি সরকারকে জানিয়েছি, এ সময়ের মধ্যে যদি কৃষককে সেচকাজের জন্য বিদ্যুৎ না দিতে পারি তাহলে নানা ধরনের বিক্ষোভ হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দায়িত্ব পিডিবির। আর আরইবির দায়িত্ব হলো বিদ্যুৎ বণ্টন করা। বিদ্যুতের পিক সময় ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু, মার্চ-এপ্রিল হলো চূড়ান্ত পিক টাইম। এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে উৎপাদনে নানা ধরনের সমস্যা হবে।
কালের কণ্ঠ : সরকার ১৮ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, সেখানে আরো ১৮ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দিলে তাঁরা কি বিদ্যুৎ পাবেন?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : প্রত্যেকটি দেশের একটি লক্ষ্য থাকে। বাংলাদেশের যেমন ভিশন ২০২১। এই ভিশনের সঙ্গে দেশের বিদ্যুৎ খাত যুক্ত রয়েছে। ২০১০ সালে আরইবির গ্রাহকসংখ্যা ছিল ৭০ লাখ। গত কয়েক বছরে গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে ৯২ লাখে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা এক কোটি পার হয়ে যাবে। তাঁদের যদি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হয় তাহলে আরইবির ফিডার লাগবে, বিতরণ লাইন লাগবে, সাবস্টেশন লাগবে- এসব অবকাঠামো না থাকলে কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন করলেও আপনি সরবরাহ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে জাতীয় সঞ্চালন লাইন যেটা আছে, তার অবকাঠামোও কিন্তু বৃদ্ধি করতে হবে। এটা সমন্বিত পরিকল্পনা। যদি আরইবির বিতরণ সক্ষমতা বেড়ে যায় কিন্তু জাতীয় সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতা না বাড়ে তাহলে কিন্তু হবে না।
এখন প্রশ্ন হলো লোডশেড মুক্ত নয় কেন বাংলাদেশ? এ প্রশ্নে সোজা উত্তর নেই। কারণ গত চার বছরে বিদ্যুতের উন্নতি হয়েছে। মানুষ আগের মতো বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ভোগে না। আবার নতুন ১০ লাখের ওপর লাইন দিয়েছে সরকার। এই ২০ লাখ নতুন গ্রাহক কিন্তু বিদ্যুৎ নিচ্ছেন। অর্থাৎ আগের চেয়ে বেশি মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। ফলে বাড়তি বিদ্যুৎ মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে চট করে বিদ্যুতের উন্নতিটা চোখে পড়ছে না। এ সরকারের আমলে শুধু আরইবি ২০ লাখের ওপর গ্রাহককে সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু লোডশেডিং কি ২০০৮ সালের মতো হচ্ছে? নাকি ২০০৮ সালের থেকে উন্নত হয়েছে? একটি দেশ তখনই উন্নত, যখন সবাই মিলে এগিয়ে যায়। আমরা দেশের সব থেকে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানি। আমরা দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, কৃষককে বিদ্যুৎ দিই। আমরা মনে করি, দেশের এই প্রান্তিক জনগণের মধ্যে যদি বিদ্যুৎ দিতে পারি তাহলে দেশের উন্নতি ভবিষ্যতে চোখে পড়ার মতো হবে।
বর্তমানে মাত্র ৫৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আছে। আমরা চাই, শত ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাক। সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই।
কালের কণ্ঠ : আরইবির গ্রাহকদের একটি বড় অংশই অতি দরিদ্র। অথচ এ বিতরণ সংস্থার বাসাবাড়ির বিদ্যুতের দাম অন্যান্য বিতরণ সংস্থার চেয়ে বেশি কেন?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : অন্যান্য বিতরণ সংস্থার বিদ্যুতের বড় অংশই ব্যবহার করে বাণিজ্যিক গ্রাহকরা; যেমন ধরুন কলকারখানা ইত্যাদি। কিন্তু আরইবির মোট গ্রাহকের ৯৫ শতাংশই হলো বাসাবাড়ির। আবার এই ৯৫ শতাংশের ৬০ শতাংশই হলেন চরম দরিদ্র, যাঁরা লাইফ লাইন, মানে ৭৫ ইউনিটের বেশি ব্যবহার করেন না। এদিকে আমরা যে দামে বিদ্যুৎ কিনি, তারপর গ্রাহক পর্যায় বিতরণ করতে গিয়ে যে দাম পড়ে, ইউনিটপ্রতি তার থেকে ৪৫ পয়সা কম দামে আমরা বিদ্যুৎ বিক্রি করি। এ কারণে বছরে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। এই ক্ষতি আমরা কিভাবে পুষিয়ে নেব? যদি আরইবির বিতরণ অঞ্চলে বাণিজ্যিক গ্রাহক বেশি থাকতেন, তাহলে আমরা বেশি দাম নিতাম তাঁদের কাছ থেকে। তাহলে কম দামে কিন্তু আবাসিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ দিতে পারতাম।
আমাদের দুই লাখ ৩৭ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন আছে। অথচ আমাদের গ্রাহক মাত্র ৯২ লাখ। বিতরণ লাইনের তুলনায় আমাদের গ্রাহক অত্যন্ত কম হওয়ায় আমাদের সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমাদের এক কিলোমিটারে গ্রাহক মাত্র ৩৯ জন। এত কম গ্রাহক হওয়ায় আমাদের লস হচ্ছে। এটা যদি অন্যান্য বিতরণ কম্পানির দিকে তাকান তাহলে তারা এক কিলোমিটার লাইন টেনে গ্রাহক পায় কম করে হলেও ২০০ জন। এ কারণে আমাদের সিস্টেম লস বেশি। এর মধ্যে রয়েছে মিটার টেম্পারিং, বিদ্যুৎ চুরি, ট্রান্সমিটার চুরি। এসবের কারণে সিস্টেম লস কমানো যাচ্ছে না। তার পরও পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবাংলা থেকে লাইফ লাইন কিন্তু বাংলাদেশে বেশি। ওদের ওখানে লাইফ লাইন মাত্র ৫০ ইউনিট। আর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের দাম কম।
আমরা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চেয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানুষের কষ্ট হয়। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না। কিন্তু আমরা বলেছি, আমাদের তো সমিতিগুলো সচল রাখতে হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহও সচল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য উপায় বের করবেন। হয়তো আমাদের যা ঘাটতি আছে তা পূরণের একটি কার্যকর সমাধান আসবে। আমরা কিন্তু সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তবে নো লস নো গেইন পদ্ধতিতে আমরা কাজ করতে চাই। লাভও না, লোকসানও না।
কালের কণ্ঠ : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন : আপনাকে ও কালের কণ্ঠকে ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.