আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক নন, বেহায়া: বিএনপি

সদ্য পদত্যাগ করা মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে ‘সাহসী’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা। তাঁদের দাবি, আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক নন, ‘দুর্নীতিবাজ’ ও ‘বেহায়া’।


গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ‘শিক্ষাঙ্গনে সংকট’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে দলটির নেতারা এ কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক ছিলেন না। তাঁকে বেহায়া বলা উচিত। কেননা, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার ১০ মাস পর তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাঁর কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থ বরাদ্দ বাতিল করেছে। তিনি দেশপ্রেমিক হলে অভিযোগ ওঠার পরই পদ্মা সেতুর স্বার্থে পদত্যাগ করতেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীর পক্ষে সাফাই গাইছেন। আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক হলে, দেশপ্রেমিকের সংজ্ঞা পাল্টে ফেলতে হবে।
পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে সরকারকে এর জন্য দায়ী করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক নিয়ে সরকার দ্বৈত ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বলছেন, আবার অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য ধরনা দিচ্ছেন।
শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ও আত্মীয়করণের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একগুঁয়েমির কারণে বুয়েটের সংকট সমাধান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.