আইন বড় না নোবেল পুরস্কার? by রাহাত খান

ব্যক্তি বড় না আইন? দেশ না ব্যক্তি? এই দুটো প্রশ্নের অবধারিত উত্তর আমাদের জানা আছে। মুশকিল, যা অবধারিত উত্তর, যা সত্যেরও পরিপূরক, তা আমরা মেনে চলি না কখনও কখনও। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভুল-ভ্রান্তি বা বিচ্যুতি নিয়ে স্বচ্ছন্দে আলোচনা হয়।
তাঁর জ্যৈষ্ঠপুত্র শেখ কামালের বিয়েতে তাঁর দুল্হীন সুলতানাকে স্বর্ণ-মুকুট দেয়া হয়েছিল বলে কিছু কিছু লোকের উষ্মা ও কিছু মিডিয়ার নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সুলতানার পরিবার কয়েক প্রজন্ম থেকে বিত্তশালী। তাদের পরিবারের বা বঙ্গবন্ধুর গুণগ্রাহীদের কেউ যদি দুলহীনকে উপহার হিসেবে সোনার মুকুট দিয়েই থাকেন, তবে সেটা অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক বা বেআইনী তো নয়। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সত্তর দশকের প্রথমার্ধে কোথাও কোথাও নিন্দা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে খুনী মোশতাক অবৈধ পন্থায় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি, তাঁর সম্পত্তি, সুলতানাকে তাঁর বিয়েতে দেয়া উপহার ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর তদন্ত এবং কিছু মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার বহু চেষ্টাই করেছিলেন। তাঁর করা শ্বেতপত্রেই কোন অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং তিনি যে কতটা সৎ, কতটা দুর্নীতির উর্ধে তার কিছু তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছিল, যা বিস্ময়কর বললেও কম বলা হয়। মুদ্রা ডিমনিডাইজড হওয়ার পরও তদন্তে দেখা গিয়েছিল মুজিবপতœী মহীয়সী ফজিলাতুন নেসার কাছে ৫০ হাজার পুরনো টাকা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মুদ্রা বা টাকা ডিমনিটাইজড করার যে গুপ্ত সংবাদ, যা শুধু জানার কথা রাষ্ট্রের কর্ণধার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরের, যা বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পতœীকেও ফাঁস করেননি!
এরপরও বলি, যাঁরা দেশের সম্পদতুল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব,Ñ তাঁরাও আইনের বা দেশের উর্ধে নন। রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার। ‘আওয়ার গ্রেট লিডার’ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার একটি ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। সেই ঘোষণা শুনে সারা জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব-গুণ এবং বীরত্বের বিবেচনায় প্রবাসী মুজিবনগর সরকার চারটি ফোর্স বা বাহিনী গঠন করেছিল। তার একটি ছিল ‘জেড ফোর্স’ বা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। দেশ উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়াউর রহমান, কোন ভুল নেই তাতে। কোন কোন ক্ষেত্রে তো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের প্রেসিডেন্সির বিপক্ষেও তো নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে পাকিস্তানীকরণের প্রক্রিয়া তিনিই শুরু করেছিলেন। এই সবের আলোচনা কি হয় না? বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরউত্তম খেতাবধারী) এবং দেশোন্নয়নের অন্যতম কারিগর সেই জিয়াউর রহমান সম্পর্কেও তো নানা অভিযোগ উত্থিত হয়েছে, তদন্ত হয়েছে, নিন্দা-সমালোচনা হয়েছে। এখনও হচ্ছে। দেশ ও জাতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে তিনি নন্দিত ও নিন্দিত, দুই-ই হয়েছেন।
এবং এটাই স্বাভাবিক। ব্যক্তি যত বড়ই হোক তিনি আইন ও দেশের উর্ধে নন। তাঁর কাজকর্মের কোন সম্ভাব্য ত্রুটি-বিচ্যুতির তদন্ত হলে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে না। জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফাদার ফিগার। গোটা মার্কিনী জাতির কাছে তিনি অশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। দেশ ও জাতির সম্মানের প্রতীক। এহেন কালোত্তীর্ণ এক মহৎ ব্যক্তির বিপক্ষেও আশির দশকে কিছু প্রাচীন নথিপত্রের জের ধরে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল এবং তদন্ত ও বিচারে সেই দুর্নীতি বা অনিয়ম যা-ই বলা যাক, প্রমাণিত বলেও সাব্যস্ত হয়েছে।
দেশ-বিদেশের এমন আরও কালোত্তীর্ণ ও বরেণ্য ব্যক্তির নামোল্লেখ করা যায় যাঁরা তাঁদের জীবৎকালে কিংবা মৃত্যুর পর, দুর্নীতি, অতিরিক্ত নারী আসক্তি কিংবা দেশের কোন ক্ষতিকারক কাজের জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের বিপক্ষে আইনমাফিক তদন্ত ও বিচার হয়েছে। বিচারে কেউ দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন, কেউবা নির্দোষ হিসাবে গণ্য হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী প্রেসিডেন্টদের একজন জন এফ কেনেডির বিপক্ষেও অতিরিক্ত নারী আসক্তির অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। জ্যাকুলিনের মতো অসাধারণ সুন্দরী স্ত্রী থাকতেও তাঁর সঙ্গে হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও সর্বকালের সেরা যৌন আবেদনময়ী নারী মারলিন মনরোর ছিল গোপনে গোপনে দীর্ঘস্থায়ী এক অবৈধ সম্পর্ক। এই সত্যের যথার্থতা তদন্ত করতেও কুন্ঠিত হননি মার্কিনী আইনের পরিচালকবৃন্দ। সেটা শুধু এই কারণে যে যত বড় বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বই হোন, সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে, তিনি বা তাঁরা দেশ, জাতি বা আইনের উর্ধে নয়।
আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে এমন একজন বরেণ্য ব্যক্তি রয়েছেন যিনি সারাবিশ্বের প্রায় সর্বত্র শ্রদ্ধার পাত্র হিসাবে গণ্য। জাতি হিসাবে, নাগরিক হিসাবে আমরাও তাঁর জন্য গর্ববোধ করি। উন্নয়নশীল দেশেও যে একজন সেরা চিন্তাবিদ থাকতে পারেন, দেশ গঠনে যার ভূমিকা অনন্যÑ যিনি তাঁর কর্ম, সাংগঠনিক শক্তি এবং সৃষ্টিশীল চিন্তার দ্বারা সারাবিশ্বে চমক সৃষ্টি করতে পারেন, তাঁর বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এবং সেটা তিনি পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিশ্ব জয় করার মতো একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি ‘শান্তি’তে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে।
এমন একজন সম্মানিত ও বরেণ্য ব্যক্তির কোন কাজের বিপক্ষে অনিয়ম ও বিচ্যুতির অভিযোগ উঠেছে সরকারী তরফে। আইনমাফিক সেসব অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের এই ভূমিকাকে কোন কোন মিডিয়া, ঐসব মিডিয়াকেন্দ্রিক সুশীল সমাজের কেউ কেউ, কোন কোন রাজনীতিক এমনকি বিদেশের একটা বিশেষ গোষ্ঠী খুবই নিন্দনীয়, আপত্তিজনক এবং বিদ্বেষপূর্ণ বলে মনে করেন। কেন করেন, সেটা তাঁরাই জানেন। তবে আমরা একজন বিশ্বজয়ী নোবেল লরিয়েটের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখেও বলতে পারি, ব্যক্তির চেয়ে আইন বড়। ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। ইসলামে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এবং তাঁর রোশনী, শেষ নবী, মানুষ ও মানবতার সেরা বন্ধু হজরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া মানবকুলের কেউই সমালোচনা বা কোরানের বিধান ও দেশীয় আইনের উর্ধে নন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন ব্যক্তি। দোষে-গুণে মিলিয়েই একজন হবেন। ভুল ও বিচ্যুতির উর্ধে তো কেউ হয় না। তাঁর কাজকর্মের সম্ভাব্য অনিয়ম বা ত্রুটি-বিচ্যুতির বিপক্ষে দেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত একটি সরকার আইনী তদন্তের নির্দেশ দিলে মাথায় এমন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার কি আছে? নোবেল পুরস্কার বিজয় তো ব্যক্তির সম্ভাব্য ত্রুটি-বিচ্যুতি তদন্ত না করার কোন অজুহাত হতে পারে না। ড. ইউনূস তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাবাধীন মিডিয়া এবং ব্যক্তিবর্গ এমন ‘গেল, গেল’ রব তুলেছেন কেন? সেটা বুঝা কঠিন।
গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত সরকারী ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক এ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তবে দেশের প্রচলিত আইনের বাইরে তো ব্যাংকটি নয়। গ্রামীণ ব্যাংক আইনী সূত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুশাসনেরও আওতাধীন। এই ব্যাংকের সাবেক এমডি ড. ইউনূস দাবি করেছিলেন ব্যাংকের এমডি নির্বাচন এবং ব্যাংকের সর্বাঙ্গীণ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদই একমাত্র নিয়ন্ত্রক,Ñ সরকারের এখানে নাক-গলাবার কোন সুযোগ বা অবকাশ নেই। সরকার তা মনে করে না। সরকার মনে করে পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিক্রমে বা সুপারিশে (গ্রামীণ ব্যাংক) এমডি নির্বাচনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। ড. ইউনূসের বয়স তখন ৭০ বছর। ব্যাংক বিধি (যার আওতার বাইরে নয় গ্রামীণ ব্যাংক) অনুযায়ী তিনি আর এমডি পদে বহাল হতে পারেন না। গ্রামীণ ব্যাংকের এতদসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমোদনের অপেক্ষা করেনি। যে অনুমোদন ছিল গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য বাধ্যতামূলক। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংক ড. ইউনূসের ৭০ বছর বয়সে এমডি পদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে বেআইনী ঘোষণা করেছে। ড. ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৬ শতাংশের মালিক গরিব অংশীদারবৃন্দ। তাদের দ্বারা নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনা অনুমোদনেই এমডি নির্বাচিত করতে পারে।
ড. ইউনূস বলেছিলেন পারে, সরকার একটি আইনী অবস্থান নিয়ে বলেছিল, পারে না। ড. ইউনূস তাঁর মতের যথার্থতা প্রমাণে আইনের আশ্রয় নেন। হাইকোর্টে পরে সুপ্রীমকোর্টের রায় তাঁর বিপক্ষে যায়। বিষয়টির ওখানেই ইতি ঘটে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে এরপর ড. ইউনূস তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির ওপর যাতে সরকারের না হক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয়, যাতে প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে না যায় সেই আবেদন জানিয়েছেন সরকার ও জনগণের কাছে।
সেই আবেদন তিনি ন্যায্যভাবেই করতে পারেন। আমি তাকে সমর্থন করি। তবে তিনি না থাকলে ব্যাংকটি চলবে না, তাঁর বিহনে ব্যাংকের কাঠামো ও কার্যকরতা ধ্বংস হয়ে যাবে,Ñ এইরকম একটা যুক্তিহীন এবং হাস্যকর উচ্চারণ তো সমর্থন করা যায় না।
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ছাতার নিচে অনেক বিদেশী ছায়া শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের কাছ থেকে যেসব সুযোগসুবিধা ভোগ করে, এইসব বিদেশী ছায়া শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও সেসব সুযোগসুবিধা ভোগ করে। যেমন এইসব ছায়া প্রতিষ্ঠান সরকারকে ট্যাক্স দেয় না, ভ্যাট দেয় না, আন্তর্জাতিক অর্থ মানে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের মজুরি ভাতা দেয় না। এইসব অভিযোগ সত্য কি মিথ্যা সেটা যাচাই করার এবং তদন্ত করে দেখার নির্দেশ সরকার দিয়েছে। এর নাম কি ড. ইউনূসকে অসম্মান করা? এর নাম কি ড. ইউনূসের ব্যাপারে ঘাঁটাঘাঁটি করা? কিংবা গ্রামীণ ব্যাংকের চলমানতার ওপর সরকারী হস্তক্ষেপ?
ড. ইউনূসের এসব তদন্তে আপত্তি করার বা শঙ্কা প্রকাশের কি আছে? যদি তদন্তের ধারায় নির্দোষ হিসাবে অব্যাহতি পান তবে সেটাই বরং আমাদের সমাজ ও বিশ্বের কাছে ড. ইউনূসের সম্মান আরও বাড়িয়ে দেবে। তাঁর দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
অথচ আমরা দেখছি বাংলাদেশের কয়েকটি মিডিয়া, জুতো সেলাই থেকে চ-ীপাঠ করতে পারা কয়েকজন গুণধর ব্যক্তি, কিছু বিশিষ্ট রাজনীতিক ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকে থাকাকালীন কিছু সন্দেহজনক কাজকর্মের তদন্ত হওয়ার কথা শুনে একেবারে অস্থির হয়ে পড়েছেন। যেন নোবেল পুরস্কার জয় করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের উর্ধে, আইনের উর্ধে গেছেন।
এটা এক ধরনের অরাজক চিন্তার ফল বলে আমি মনে করি। ড. ইউনূসের দাবি, এই গরিব মানুষের ব্যাংকটির ৮৬ শতাংশের মালিক বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ। কথাটা কতদূর সত্য? ব্যাংকের ৮৬ শতাংশের মালিক দরিদ্র মানুষ কি তাদের শেয়ার-সার্টিফিকেট পেয়েছে? বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয়ের ডিভিডেন্ট বা লাভের ভাগ কি ৮৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পায়? এসব বিষয়ে তদন্ত হওয়ার নাম তো কাউকে হয়রানি করা বোঝায় না। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে নাকি রক্ষিত হয়নি, Ñএর সত্যাসত্য নির্ণয় করা, বিদেশী ছায়া শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রাপ্য সুযোগসুবিধা ভোগ করতে দেয়া আইনসঙ্গত, নাকি আইনসঙ্গত নয়, আইনী তদন্তে ও বিচারে সেটা নির্ণয় করা দেশের এবং দেশের জনগণের স্বার্থেই হওয়া জরুরী। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন,Ñ সুতরাং তাঁর সাত খুন মাফ এমনটা তো হতে পারে না।
আরব জাতীয়তাবাদী নেতা গামাল আবদুন নাসেরের বিরুদ্ধে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী আনোয়ার সাদাত, ইসরাইলের কসাই গোল্ডামায়ারকেও নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল এবং কি আশ্চর্য, সেটা শান্তিতে। তবে নোবেল পুরস্কার যত মহার্ঘ্যই হোক তা কোন ব্যক্তির আইনের উর্ধে থাকার অজুহাত হিসাবে গণ্য হতে পারে না। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার আশঙ্কা না থাকলে, ড. ইউনূসের কোন কোন অতীত কার্যাবলীর ওপর তদন্ত হচ্ছে,Ñ হোক না,Ñ এতে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার কি আছে! অত ভয়-শঙ্কারও তো কোন কারণ দেখি না!
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.