যুক্তরাজ্যে ১০ লাখ লোক জানেই না তারা কিডনি রোগে ভুগছে

যুক্তরাজ্যে কিডনির দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় যে খরচ হয় তা দেশটির মানুষের স্তন, ফুসফুস, মলাশয় ও ত্বকের ক্যানসারের চিকিৎসায় সম্মিলিত ব্যয়ের চেয়েও বেশি। এ ছাড়া দেশটির প্রায় ১০ লাখ লোক কিডনির সমস্যায় ভুগলেও নিজেদের কিডনি রোগের অস্তিত্ব সম্পর্কে তারা জানে না।


দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) বিভাগের কিডনি কেয়ারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়।
চিকিৎসা-সাময়িকী নেফ্রোলজি ডায়ালাইসিস ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসায় বার্ষিক ব্যয় ১৪০ কোটি বিলিয়ন পাউন্ড। দেশটিতে প্রায় ১৮ লাখ মানুষের কিডনি রক্তের বর্জ্য নিষ্কাশনে কম কার্যকর বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিজেদের অজান্তে কিডনির অসুখ বয়ে বেড়াচ্ছে। অর্থাৎ কিডনির সমস্যার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কোনো চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে না। ফলে তাদের কিডনিতে ব্যয়বহুল ডায়ালাইসিস বা সংযোজনের প্রয়োজন এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। কিডনির রোগে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিলে স্ট্রোক বা হূদেরাগের ঝুঁকিও কমে। ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনকারী রোগীর সংখ্যা যুক্তরাজ্যে ২০০২ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া কিডনির বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মোট সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০৯-১০ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও জানতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রায় ২৯ হাজার মানুষকে সময়মতো কিডনির চিকিৎসা দেওয়া হলে এনএইচএসের বার্ষিক সাশ্রয় হতো এক কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড।
কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ সময়মতো নির্ণয় না হলে জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে বলে এনএইচএসের কিডনি বিভাগের পরিচালক বেভারলি ম্যাথুস মনে করেন। এ ছাড়া কিডনি বিশেষজ্ঞ ডোনাল ও’ডোনোফ বলেন, কিডনির রোগ সময়মতো চিহ্নিত না হলে মানুষকে বড় মাশুল দিতে হয়। ডেইলি মেইল।

No comments

Powered by Blogger.