পদ্মা সেতু-প্রয়োজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান by মইনুল ইসলাম

পদ্মা সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কিছু ব্যক্তির দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অকাট্য প্রমাণ পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক গত ৩০ জুন ২০১২ তারিখে ওই সেতু নির্মাণে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলার অর্থায়নের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে।


এর অব্যবহিত পর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক তাদের অর্থায়ন চুক্তিও বাতিল ঘোষণা করেছে। জাপানের জাইকা তাদের ৪১ কোটি ডলার অর্থায়ন চুক্তি বাতিল না করলেও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতির ওই অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, তা পর্যবেক্ষণ করছে জাপান। অর্থাৎ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সত্যিকার অর্থে কার্যকর প্রতিবিধানের পদক্ষেপ নিলেই কেবল জাইকার ৪১ কোটি ডলার পাওয়ার ইতিবাচক সম্ভাবনা থাকবে। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ১৪ কোটি ডলার নিয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওপরের সংবাদগুলো পুরোনো, বিষয়টিও ইতিমধ্যে বহুল চর্চিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গত ২০১১ সালের অক্টোবর থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপক অস্বীকার করে সমস্যা সমাধানের পথে না গিয়ে এটিকে বর্তমান ‘চরম সংকটে’ রূপান্তরিত করেছেন। এহেন জেদাজেদির আদতেই কি কোনো দরকার ছিল? বলা প্রয়োজন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন চুক্তি বাতিল ঘোষণার পর পর প্রধানমন্ত্রী ৪ জুলাই সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আমি তাকে স্বাগত জানিয়েছি।
আমি ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রস্তাবনার’ একজন সমর্থক। তাই, দেশের বিভিন্ন মহলের বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবকে ‘বাগাড়ম্বর’ ‘আবেগপ্রবণ উচ্ছ্বাস,’ ‘বাস্তবায়ন-দুঃসাধ্য’, ‘রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা’ ইত্যাকার বিশেষণে অভিহিত করে সরকারকে নিরুৎসাহী করার যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তাদের প্রতি একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্যই এ নিবন্ধটি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রথমেই নিবন্ধের শিরোনামে উল্লিখিত ‘প্রয়োজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান’—এ বিষয়টিকে সামনে আনতে চাই। এসএনসি-লাভালিন একটি কানাডীয় কোম্পানি, যাদের বিশ্বখ্যাতি রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের পুলিশ কর্তৃপক্ষ ‘দুর্নীতির (ঘুষের) প্রস্তাব প্রদান’ এবং ওই প্রস্তাবের বাংলাদেশি ভবিষ্যৎ সুবিধাভোগী ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। ওই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে লাভালিন কোম্পানির দুজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে এবং লাভালিন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছে। পত্রপত্রিকায় এটাও প্রকাশ হয়েছে যে ২০১৩ সালের কোনো একসময় মামলার বিচার শুরু হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন বসবাস করায় কানাডার আইন-কানুন সম্পর্কে আমি অবহিত। অতএব, কানাডা সরকারের দুর্নীতি সম্পর্কে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি জানি বলেই তাদের উপরিউল্লিখিত পদক্ষেপগুলোর যৌক্তিকতা, সত্যতা ও শুদ্ধতা সম্পর্কে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপগুলোয় এবং ওই সম্পর্কিত বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়ায় অনেকগুলো অতিপ্রতিক্রিয়া বা বাড়াবাড়ি ধরা পড়েছে, যেগুলো স্বাভাবিক মনে হয়নি। এগুলো ব্যাখ্যা করছি।
১. তদানীন্তন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ২০০৯ সালে মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে লাভালিন-সম্পর্কিত দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের আগের ৩৩ মাসে বেশ কয়েকবার পত্রপত্রিকার খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, ঢাকার প্রস্তাবিত উড়ালসড়কসহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির পক্ষে তদবির চালানোর জন্য। ওই ৩৩ মাসের পত্রপত্রিকায় তাঁর এসব কীর্তি-কাহিনির বর্ণনা ছড়িয়ে রয়েছে। বিশেষত, বেশ কয়েকটি চীনা কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য তার লবি যে ক্ষমতাসীন জোটের ভেতরে টানাপোড়েন ও অন্তঃকলহের সৃষ্টি করেছে, তা ওয়াকিবহাল মহলের অজানা নয়। তাই বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের প্রধান টার্গেট যখন জনাব আবুল হোসেনই হলেন, তখন তাঁকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে অন্য আরেকটি মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়াটা তাঁকে অভিযোগ থেকে আড়াল করার অপপ্রয়াস হিসেবেই প্রতীয়মান হওয়াই কি স্বাভাবিক নয়? এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক পদক্ষেপ ছিল, তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা এবং অভিযোগটির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ব্যবস্থা করা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে ‘দুর্নীতি হয়নি’ মর্মে যে সাফাই সার্টিফিকেট দিয়েছে, তার ফলে দুদকের বিশ্বাসযোগ্যতা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন বিচার বিভাগীয় তদন্ত করেও ক্ষতিপূরণ সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের বিকল্প ছিল না। অবশেষে তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় দেশের যে ক্ষতি হলো, তার দায় কে নেবে?
২. বিশ্বব্যাংক তাদের মনোনীত একটি প্যানেল দিয়ে তদন্তের যে প্রস্তাব দিয়েছে আমরা মনে করি তা সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনকারী ও অপমানজনক। ভারত ও চীনেও বিশ্বব্যাংক অর্থায়িত প্রকল্পে আরও অনেক গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নিকট অতীতে, কিন্তু বিশ্বব্যাংকের এ ধরণের শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার নজির একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের এহেন ‘দাদাগিরি’র আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।
৩. অভিযোগ উত্থাপনের পর এসএনসি-লাভালিনকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংককে প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। বিশ্বব্যাংক ওই প্রস্তাবে কর্ণপাত না করে নয় মাস চিঠি চালাচালি করে ২০১২ সালের শুষ্ক মৌসুমটা বরবাদ করে গত ৩০ জুন তারিখে অর্থায়ন প্রস্তাবটা বাতিল করে দিল। প্রশ্ন ওঠে, বিশ্বব্যাংক প্রকৃত প্রস্তাবে এই প্রকল্পটা ভণ্ডুল করার জন্যই আগ বাড়িয়ে প্রকল্পের ‘লিড পার্টনার’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল কি না, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে পেছনে ঠেলে দিয়ে ? এতে এডিবি মনঃক্ষুণ্ন হয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তাঁর প্রভাব খাটিয়ে বিশ্বব্যাংককে প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ লাভের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরপর বিশ্বব্যাংক নানা ছলচাতুরী করে বারবার প্রকল্প বাস্তবায়নপ্রক্রিয়াকে বিলম্ব করেছে, যার সর্বশেষ প্রয়াস বর্তমান অধ্যায়। অতএব, প্রকল্পটি ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্য নিয়েই বিশ্বব্যাংক জবরদস্তি করে প্রকল্পে ঢুকে পড়েছিল কি না, তা গভীরভাবে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
২০০৭ সালের ১৬০ কোটি ডলারের প্রকল্পকে টানতে টানতে ২৯০ কোটি ডলারের ব্যয়বহুল প্রকল্পে পরিণত করার বিষয়টাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জরুরি মনে করি। বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ সরকার চেয়েছিল ৬০ কোটি ডলার, কিন্তু একদিকে বিশ্বব্যাংক প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েছে, অন্যদিকে স্বতঃপ্রণোদত হয়ে নিজেদের অর্থায়ন দ্বিগুণ করে ১২০ কোটি ডলারে বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের এহেন উদারতায় খুশিতে গদগদ হয়েছে প্রকল্পের ‘মেদ’ থেকে ‘সুবিধা’ পাওয়ার লোভে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এত দীর্ঘ বিলম্ব সত্ত্বেও এখনো পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রকৃত খরচ ২০০ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা যাবে কম প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোকে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলে। প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, প্রফেসর শফিউল্লাহ, প্রফেসর আইনুন নিশাত প্রমুখ সৎ, দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এ বিষয়ে সরকারকে নিশ্চয়ই সহায়তা করতে পারেন।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন প্রস্তাব ২০১১ সালের অক্টোবরে স্থগিত হওয়ার অব্যবহিত পর মালয়েশিয়ার অর্থায়ন প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যে ‘দর কষাকষি খেলা’ চালিয়ে গেছে, সেটা নেহাতই চালাকির খেলা, তাসখেলায় যেটাকে ধাপ্পা বা ব্লাফ বলা হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি জাইকা, আইডিবি কেউ এতে খুশি হয়নি। বলা বাহুল্য, ওটি যে নেহাতই ‘শূন্যগর্ভ ধাপ্পা’, সেটা ধরিয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু’ নিয়ে বর্তমানে যে প্রচার প্রোপাগান্ডার জোয়ার তোলা হয়েছে, এটাকেও আরেকটা দর কষাকষির খেলা হিসেবেই ধরে নেওয়া যায়। নয়তো প্রধানমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রীর কথাবার্তায় প্রায়ই গরমিল দেখা যাচ্ছে কেন? কথায় বলে ‘আমি বলি কী, আর আমার সারেঙ্গী বলে কী?’
আমি মনে করি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ কষ্টকর হলেও সম্ভব। একটি জাতি চিরকাল পরনির্ভরতার পঙ্কে নিমজ্জিত থাকতে পারে না। যতই কষ্টকর হোক, কোনো একপর্যায়ে কোমর সোজা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হয়। কিন্তু সারা জীবন বৈদেশিক খয়রাত নিয়ে কাজ-কারবার করতে করতে আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের মতো আমলা বিশেষজ্ঞরা ওই কঠিন পথে যেতে স্বাভাবিকভাবেই অনীহ। দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশের জ্ঞানের ভাণ্ডার দখল করে রয়েছে বৈদেশিক সাহায্যের অপরিহার্যতার বিষয়টি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকল্প সম্ভাব্যতা বা সম্পাদনযোগ্যতা (প্রজেক্ট ফিজিবিলিটি) শুধু সুদের হার ১ শতাংশ না ৪-৫ শতাংশ, তার ওপর নির্ভর করে না। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু থেকে ওইটুকু আমরা শিখলাম না! যমুনা সেতু পুরো উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিকে এবং দেশের অর্থনীতিকেও গত ১৫ বছরে কী বিপুলভাবে বদলে দিয়েছে, তা আমরা বুঝতে চাইছি না কেন? বাংলাদশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কীভাবে ধুঁকছে বঞ্চনার শিকার হয়ে, তা দেখেও না দেখার ভান করছি কেন? দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে মনস্থির করুন। কালবিলম্ব না করে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যান। সব শর্ত মেনে নেওয়ার পরও বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
সে কারণেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার চিন্তা বাদ দেওয়া যাবে না। তবে সেজন্য প্রয়োজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান’। পদ্মা সেতুর অর্থায়নের ব্যাপারে দেশের ভেতরে ও বাইরে যে প্রবল উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে, তাকে অপমাণ করা যাবে না। চার বছর মেয়াদের সেতু প্রকল্পে ২৪ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিজস্ব ‘টাকার অর্থায়ন’, বাকি ২০০ কোটি ডলারের অর্থায়ন বৈদেশিক মুদ্রায় করতে হবে। বাংলাদেশের এক কোটি প্রবাসী জনগোষ্ঠী তাঁদের প্রেরিতে অর্থের বিশাল অংশ ‘হুন্ডি’ প্রক্রিয়ায় দেশে পাঠিয়ে থাকেন। প্রবাসীদের যদি আস্থায় নিয়ে আসা যায় যে তাঁদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক রেমিট্যান্স দুর্নীতির অর্থনীতি ও রাজনীতির রাঘব-বোয়ালদের পেটে যাবে না, তাহলে চার বছরে ওই ২০০ কোটি ডলার জোগাড় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
 ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।

No comments

Powered by Blogger.