ঈদ শপিংয়ের সাত সতেরো by রুবা রহমান

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে কেনাকাটা, নতুন জামা, নতুন জুতা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর নতুন চাঁদ দেখা আর ঈদের দিন নতুন জামা জুতা, আনুসঙ্গিকের সঙ্গে ঈদের সালামী টা তো আছেই। সবাই যেন এই দিনটার জন্যই চেয়ে থাকে।


আর যদি হয় তরুণ তরুণী তবে তো কথাই নেই। তরুণ, তরুণীদের ঈদের ব্যস্ততা কেনা কাটা যেন একটু বেশী সবার নজর কাড়ে।
রাজধানী জুড়ে অসংখ্য মার্কেট, শপিং মল ও দেশীয় বুটিক হাউজ গুলোর ব্যস্ততা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। তরুণ প্রজম্ম শেষ সময় রাঝধানীর নানা মার্কেট থেকে নিজেদের পছন্দের জিনিস তুলে নিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। দেকানিরা এই সময়টাতে মার্কেট ও দোকান গুলোতে নানা রকম মূল্য ছাড় ও আকর্ষনীয় উপহার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং সাজিয়েছেন যে যার সাধ্য মতো। ডি,সি,সি মার্কেট, গুলশান-১ ও ২ বসুন্ধারা সিটি, বনানী সুপার মার্কেট, পিংসিটি, নাভানা টাওয়ার, আড়ং, কুমুদিনী, রাইফেল স্কোয়ার, ভাসাবি, শপার্স ওয়ার্ল্ড, নিউ মার্কেট ও এলিফেন্ট রোডের নানা মার্কেট সহ অনেক পোশাকের শো-রুম তরুণ তরুণীদের জন্য দেশী ও বিদেশী পোশাক-আশাক ক্রেতার রুচী ও সময় কে প্রাধান্য দিয়েই দোকান গুলোকে সাজানো হয়েছে।

আমাদের দেশীয় বুটিক হাউস গুলোও পিছিয়ে নেই। কিছু বুটিক হাউজ আন-কমন ওয়ান পিস আইটেম করেন। দাম কিছুটা বেশি হলেও তরুণ প্রজম্মের কাছে আন-কমন হিসেবে এর চাহিদা ব্যপক। এক দোকানের তরুণ দের একটি দল দেখে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা তাদের পছন্দের পোশাক হিসাবে উল্লেখ করেন ভারতিয় টিভি সিরিয়াল ও হলিউটের নতুন ছবির নায়ক-নায়িকাদের পোশাকটি তারা খুচ্ছেন। এক তরুণ জানালেন পাঞ্জাবী পছন্দ হয়েছে কিন্তু দাম টি একটু বেশি মনে হচ্ছে। কয়েকজন তরুণ দল বেধে নানা দোকানে ঘোরা ঘুরি করতে দেখে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ভিড়ের কারণে পছন্দের জিনিসটি খুজে পেতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। তাই তারা ঠিক করেছেন একদম চাঁদ রতের দিন তারা কেনা কাটা করবেন। তরুণীরা শেষ মুহুত্বে দরজি বাড়ী ছুটছেন পছন্দের পোশাকটিকে সঠিক মাপে পাবার জন্য। এক দল তরুণী জানায় নিজে পছন্দ করে কাপড় কিনে নিজের ডিজাইনে পোশাক তৈরিতে আলাদা আনন্দ। এতে ঈদের আনন্দ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ইউল্যাবের এক দল শিক্ষার্থি জানান তাদের ঈদের পোশাক কেনা হয়েছে এখন তারা এর সঙ্গে মিলিয়ে অন্যান্য জিনিস খুজছেন।
শপিং মলগুলোর দিকে লক্ষ্য করলেও চোখে পড়ে কেউ ছুটছেন, কেউ তালিকা মিলাচ্ছেন, কেউবা রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউ কেউ আনন্দটা ভাগ করছেন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে, কেউ বা পছন্দের পণ্য কিনতে পাড়ায় ক্লান্তি ভূলে গিয়েছেন।
শুক্রবারে সাধারণ দিনের চেয়ে ভিড়টা একটু বেশীই ছিল। দোকানীরা জানান, মার্কেট জমে উঠেছেন, ক্রতারা আসতে শুরু করেছেন দল বেধে, বিক্রি ভাল তাই তাদের মুখেও হাসি। দাম প্রসঙ্গে কয়েক জন বিক্রেতা বলেন তরুণ প্রজম্মের পছন্দের পণ্যটি তারা রাখার চেষ্টা করেছেন, আর ক্রেতারাও জিনিস পছন্দ হলে দাম নিয়ে খুব একটা ভাবেনা। তরুণ প্রজম্মের ভিড় যে সব দোকানে বেশি লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে রয়েছে, ভাসাবি, মায়াসির, পিংকসিটি, শপার্স ওয়ার্ল্ড, খান ব্রাদার্স, আড়ং ইয়োলো, ওটু, ওয়েষ্টটেক্স, বিগবস প্রভিতি। এস দোকানে হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ টাকার পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের পোশাক কেনার সঙ্গে আজ যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। শপিং মল গুলো মুখর ইলেক্ট্রনিস্ক ঈদ ধামাকা নিয়ে। অনেকে পোশাক ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে কিনছেন ল্যাপটপ, ডিজিটাল ক্যমেরা, মডেম সহ নানা রকম বিনোদন উপকরন।
সর্বোপরি এটা বলতেই হয় যে তরুণ-তরুণীরা শেষ মুহুত্ত্বের ঈদ কেনা-কাটার আনন্দে মুখরিত। ঈদ বয়ে আনুক ধনি গরিব সবার জন্য আনন্দ।

No comments

Powered by Blogger.