সেনা না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল রবিবার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ১৩ নভেম্বরের পর নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপনের জন্য রিট আবেদনকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, 'আজ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তাই এই মুহূর্তে আমরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।'পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই ছুটি শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত খুলবে। তবে দেশের জরুরি মামলা নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।


এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার সরকারি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের অবকাশকালীন বেঞ্চে গতকাল রিট আবেদনটি করা হয়।
অ্যাডভোকেট রেদওয়ান আহমেদ, অ্যাডভোকেট রেদওয়ান-ই-খুদা ও জাভেদ ইসলাম রিট আবেদনটি দাখিল করেন। তাঁদের পক্ষে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট শোয়েব উদ্দিন খান। এতে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাসচিব, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, নির্বাচন কমিশনসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ১২০, ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রতিটি বিভাগ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করতে বাধ্য। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এ জন্য ইসি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দিলেও সরকার তা করেনি। সেনা মোতায়েন না হওয়ার কারণে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন বর্জন করেছেন। সংবিধান সমুন্নত রাখতে ভবিষ্যতে ইসিকে যেন সব ধরনের সহায়তা করা হয় তারও নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে।
এর আগে গত শনিবার বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাসচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে লিগ্যাল নোটিশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.