কাউন্সিলর মুন্নি আদালতে যাননি, ক্ষমা চাইলেন ওসি নূর নবী-১৪ নভেম্বর শুনানি

ট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নিকে জামিন-অযোগ্য ধারায় জামিন দেওয়ার ঘটনায় গতকাল রবিবার আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর নবী। মহানগর হাকিম মুনতাসির মামুনের আদালতে ক্ষমা চাওয়ার পর আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মুন্নির জামিন পাওয়ার বিষয়টিও শুনানি হবে।
এদিকে গতকাল কাউন্সিলর মুনি্নর জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও তিনি মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থিত হননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি আসলে খুবই অসুস্থ। এই মুহূর্তে আমার আদালতে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই।'


কাউন্সিলর মুন্নিকে জামিন দেওয়ার যুক্তি তুলে ধরে ওসি নূর নবী আদালতে বলেন, 'গ্রেপ্তারের পর মুনি্ন মাইগ্রেনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। জরুরি চিকিৎসার জন্য মানবিক কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যেকোনো শর্তে জামিন চাইলে মুনি্নকে জামিন দেওয়া হয়।' তিনি জানান, ২৮ অক্টোবর সরকারি ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ভুল করে মুনি্নকে ওই দিন আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক রায় না দিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর বায়েজিদ থানা এলাকায় জেলা পরিষদের প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের নিজস্ব জায়গায় একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই জমির কিছু অংশ মুন্নির আগে থেকেই দখল করে দোকান বানিয়ে ভাড়া দিয়েছিলেন। আদালতের রায় নিয়ে জেলা পরিষদ ওই দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের লোকজনের সঙ্গে মুনি্ন বাগ্বিতণ্ডায় লিপ্ত হন। ব্যাপারটি একপর্যায়ে সংঘর্ষের দিকে গড়ায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও মুনি্নর লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মুন্নি, তাঁর স্বামী আবদুল কাইয়ুম এবং অপর ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে রাতে দ্রুত বিচার আইনে পুলিশ একটি মামলা করে। ঘটনার পর মুন্নি ও তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ হাসনীসহ রাজনৈতিক নেতারা গিয়ে মুনি্নকে থানা থেকে রাত ১১টায় জামিনে নিয়ে আসেন। জেলা পরিষদের দায়ের করা মামলা জামিন অযোগ্য ধারায় হওয়া সত্ত্বেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর নবী এই জামিন দেন এবং শুক্রবার মুন্নিকে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে বলেন।

No comments

Powered by Blogger.