২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-বাবরসহ পাঁচজনের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিশেষ এজলাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনের পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে আবেদনের শুনানি হয়েছে। অব্যাহতি চাওয়া অন্যরা হলেন মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মুহিবুল্লাহ, ইয়াহিয়া ও আবদুল হান্নান সাবি্বর। এর আগে খোদা বঙ্, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাইফুল ইসলাম ডিউক ও মাওলানা আবু তাহেরের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি শেষ হয়।গতকাল রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন পাঁচজনের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।


শুনানি শুরুর আগে সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কর্মীদের এজলাসে ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংবাদকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
গতকাল লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে সিনিয়র আইনজীবী টি এম আকবর বলেন, বাবরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলার এজাহারে ৬১ জন সাক্ষির জবানবন্দি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মুফতি আবদুল হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও বাবর সম্পর্কে কোনো বক্তব্য নেই। এ মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সঠিক নয় বরং চক্রান্ত করে এই মামলায় তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই মামলার দায় থেকে বাবরকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান আদালতকে জানান, এই মামলায় বাবরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়নি। মাওলানা আবদুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গোলাম মহম্মদ। শুনানিতে তিনি বলেন, চারবারে মোট ৬০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সালাম ২১ আগস্টের মামলায় নিজেকে জড়িয়ে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এ ছাড়া মুহিবুল্লাহর পক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ মো. লুৎফর রহমান এবং ইয়াহিয়া ও সাবি্বরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ঈদি আমিন।
গতকাল কারাবন্দি ৩২ আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। এ জন্য অতিরিক্ত র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মামলার একমাত্র জামিনে থাকা আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.