জেডিসি পরীক্ষা ফেলে আলেয়াকে বসতে হচ্ছে বিয়ের পিঁড়িতে by শিউলি শবনম,

রেজিস্ট্রেশনের তারিখ অনুযায়ী আলেয়া ইয়াসমিনের বয়স ১৪ বছর। চট্টগ্রামের আহমদিয়া সুনি্নয়া মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সে। আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে শুরু হওয়া জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষার দিনই অভিভাবকরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। আলেয়ার সম্মতি না থাকলেও জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা।আলেয়ার শিক্ষকরা জানান, পরীক্ষা দিতে না দিয়ে আলেয়াকে তার অভিভাবকরা গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে আটকে রেখেছেন।


সুনি্নয়া মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি আলেয়াকে তার খালার বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনেই তার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যায় না। তবে আলেয়ার অভিভাবকরা জোর করে তাকে বিয়ে দিচ্ছে। আলেয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের কাছে ফোন করে কান্নাকাটিও করছে।' তিনি আরো বলেন, এই বিয়ে বন্ধের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ এবং পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসার অভিযোগ পাওয়ার পর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আলেয়াদের হামজারবাগ বাসায় গিয়ে কাউকে পায়নি এবং তারা গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে চলে গেছে বলে জানতে পারে। এ বিষয়ে আলেয়াদের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'শিক্ষকদের দেওয়া ঠিকানা নিয়ে আমরা পূর্ব মাইজপাড়ার আমতলী গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে আলেয়ার বাবা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নামে কেউ নেই। এই অবস্থায় তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে খুঁজে বের করার জন্য কোনো লোক দেন, তাহলে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হয়।'

No comments

Powered by Blogger.