পক্ষাঘাতের আশঙ্কা জারদারির-'শিগগিরই দেশে ফিরব'

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) আক্রান্ত হয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। বর্তমানে দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন জারদারি শিগগিরই দেশে ফিরছেন না। উচ্চ চিকিৎসার জন্য তাকে দুবাই থেকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। দুবাইভিত্তিক গালফ নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জারদারির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেন, আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।


শিগগিরই তার দেশে ফেরা হচ্ছে না। লন্ডনে তাকে দুই সপ্তাহ থাকতে হতে পারে। তবে এ খবর নাকচ করে দিয়ে জারদারি পিটিভিকে বলেন আমি সুস্থ। শিগগিরই দেশে ফিরব। খবর : জিনিউজ, এনডিটিভি।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ জানিয়েছে, স্ট্রোকের কারণে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণসহ মুখমণ্ডলের বেশকিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। যদিও তার শারীরিক অবস্থা এখন বিপদমুক্ত। তার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। ধারাবাহিক চিকিৎসার ফলে তিনি আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন বলেও গণমাধ্যমটি জানায়।
দুবাইয়ে চিকিৎসা চলাকালীন তার এই স্ট্রোক হয়েছে। তবে জারদারির পার্টি এবং সরকারি কর্তৃপক্ষ তার স্ট্রোকের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। জারদারির মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, জারদারির অবস্থা এখন স্থিতিশীল, বিপদমুক্ত। তবে লন্ডনে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুবাইয়ে নিযুক্ত পাক দূতাবাসও জানাতে পারছে না জারদারি কবে দেশে ফিরতে পারবেন। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, দুবাই যাওয়ার আগে পাকিস্তানের একটি সামরিক হাসপাতালে একজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে জারদারি কঠোর ভাষায় কথা বলেছেন। পত্রিকাটি বলেছে, সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানিকেই ওই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডাক্তাররা আসিফ আলি জারদারিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
সূত্র জানিয়েছে, চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেও তাকে পরিপূর্ণ বিশ্রামের উপদেশ দিতে পারেন চিকিৎসকরা।
পাকিস্তানি এক শীর্ষ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে ছাড়া পাকিস্তানে ফিরতে পারছেন না জরদারি।
ফিরলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ আনুযায়ী রাজনৈতিক কার্যক্রমের বাইরে থাকতে পারেন।

জারদারির দুবাই যাওয়ার বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, হার্টের চিকিৎসার জন্য প্রেসিডেন্ট দুবাই গেছেন এবং ডাক্তাররা বললেই তিনি দেশে ফিরে আবার দায়িত্ব পালন শুরু করবেন। গিলানি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। বরং সরকারই তাকে দুবাই যাওয়ার অনুরোধ করেছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদের সভায় গিলানি এসব কথা জানান।

No comments

Powered by Blogger.