মাদকসহ অপরাধীচক্রের সাত সদস্য গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিরপুর, সাভার ও চট্টগ্রাম এলাকায় পৃথক অভিযানে কোটি টাকার মাদকদ্রব্য এবং একটি পাজেরো জিপসহ অপরাধীচক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাইফুল ইসলাম লিটন (২৯), সেলিম মিয়া (৩০), নাসির উদ্দিন (৪০), সেন্টু (২৫) ও রাজিব (২৫), মাহফুজুর রহমান ( ৩১) ও আজম (৩৫)। গত দুই দিনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।\ গতকাল শুক্রবার সকালে মিরপুরে র‌্যাব-৪-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে


গ্রেপ্তারকৃতদের হাজির করা হয়। এ সময় র‌্যাব জানায়, তাদের কাছ থেকে এক কেজি ৬০ গ্রাম হেরোইন, ৭০ লাখ টাকার এক কেজি কোকেন ও ৭০ লাখ টাকার একটি বিলাসবহুল পাজেরো জিপ উদ্ধার করা হয়েছে।
র‌্যাব-৪-এর পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা অপরাধীচক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে এরা নানা ধরনের অপরাধকর্ম চালিয়ে আসছিল।
র‌্যাব-৪-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর) তাহসীন সালেহীন রানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সোহাগ পরিবহন নামের একটি বাসে খুলনা থেকে ঢাকায় হেরোইন আনা হচ্ছে। এরপর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সোহাগ পরিবহন থেকে এক কেজি ৬০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাসটির সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম ওরফে লিটন ও হেলপার সেলিম মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে নাসির কোকেন বিক্রেতা, বাকি দুজন ক্রেতা। এরপর আলাদা অভিযানে সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন এবং তার সহযোগী সেন্টু ও রাজিবকে এক কেজি কোকেনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ পরিবহনের দুই কর্মী র‌্যাবকে জানায়, তারা একটি মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। চট্টগ্রাম থেকে আসা সোহাগ পরিবহনের ওই বাসটিতে ৩৮ জন যাত্রী আসার কথা থাকলেও যাত্রী ছিল ৩৭ জন। বাসের খালি আসনটিতে হেরোইনের ব্যাগটি ছিল। হেরোইন আনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব সূত্র আরো জানায়, আরেকটি অভিযানে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, ব্লক-ডি, রোড-১৭, প্লট-১/১-এর নিউ এসএস অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ থেকে একটি বিলাসবহুল পাজেরো গাড়ি মালিকানাবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় গাড়িটির রং পরিবর্তন করা হচ্ছিল। এ সময় গ্যারেজের মালিক মাহফুজুর রহমানকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি অবৈধ উপায়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর শেখ মুজিব রোডের দেওয়ানহাট এলাকার জনৈক আজমের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে গাড়িটি কিনে নেন। ধারণা করা হয়, এটি একটি চোরাই গাড়ি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাড়ি চোর ও রং পরিবর্তনের মূল হোতা আজমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.