পৌষের পিঠা-পুলি

পৌষ চলে এসেছে। খেজুরের গুড় আর রস দিয়ে পিঠা তৈরির সময় তো এখনই। দেখুন নাজমা হুদার দেওয়া কয়েক রকম পিঠা তৈরির প্রণালি। গাজর-কপির পাটিসাপটা উপকরণ: চালের গুঁড়া সিকি কাপ, ময়দা ১ কাপ, খেজুরের রস ১ কাপ। সব দিয়ে গোলা তৈরি করতে হবে। গাজরকুচি ১ মুঠো, ফুলকপি ১ মুঠো, নারকেলের কোরা ২ মুঠো, চিনি ১ কাপ। জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে। প্রণালি: প্যানে সামান্য ঘি লাগিয়ে ১ হাতা করে গোলা দিয়ে পাটিসাপটা


রুটি বানিয়ে তার মধ্যে পুর দিয়ে ভাঁজ করে নামিয়ে নিতে হবে। এভাবে সব বানিয়ে সার্ভিং ডিশে রেখে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে ঘন করে পিঠার ওপর দিয়ে দিতে হবে। দুধপুলি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ৩০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, খেজুরের গুড় পৌনে এক কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, গুড় ১ কাপ।
প্রণালি: দুধ ও গুড় জ্বাল দিয়ে অল্প ঘন করতে হবে, নারকেল ও গুড় জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করতে হবে।
চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালো করে চেলে নিতে হবে, এবার ছোট ছোট লুচি কেটে গোল করে মাঝখানে পুর ভরে ছোট ছোট পুলি পিঠা তৈরি করতে হবে। চুলায় দুধ থাকা অবস্থায় পিঠা দিয়ে অল্প জ্বাল দিয়ে পিঠা সেদ্ধ হলে নামিয়ে গরম অবস্থায় পরিবেশন করুন। ঠান্ডা করেও খাওয়া যায়।

রসবড়া
উপকরণ: কলাইয়ের ডাল ১ কাপ, চালের গুঁড়া আধা কাপ, নারকেল কোরানো ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, ২টি এলাচ গুঁড়া, ভাজার জন্য তেল।
শিরার জন্য: চিনি ১ কাপ, পানি ১ কাপ। জ্বাল দিয়ে শিরা তৈরি করে নিতে হবে।
পুরের জন্য: নারকেল ও চিনি জ্বাল দিয়ে পুর বানাতে হবে।
প্রণালি: ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ডালবাটার সঙ্গে মিলিয়ে খুব ভালো করে মাখাতে হবে। হাতে ১ টেবিল চামচ ঘি নিয়ে এর সঙ্গে মাখিয়ে রেখে দিতে হবে।
গোল গোল করে বড়ার মতো বানিয়ে মাঝখানে পুর ভরে ডুবো তেলে ভেজে শিরায় দিয়ে দু-তিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

মালপোয়া
উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, তেল (ভাজার জন্য), দই আধা কাপ, দুধ ২ লিটার, গুড় বা চিনি ১ কাপ, এলাচের গুঁড়া সিকি চা-চামচ।
প্রণালি: ময়দার সঙ্গে দই দিয়ে ফেটে অল্প পানি দিয়ে ঘন গোলা তৈরি করতে হবে।
দুধ জ্বাল দিয়ে চিনি মিলিয়ে ঘন করে নামিয়ে রাখতে হবে এবং ওপরে এলাচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিতে হবে। ময়দার গোলা গোল চামচে করে গরম তেলে ছেড়ে ভাজতে হবে। হালকা রং ধরলে নামিয়ে দুধে ছাড়তে হবে।

No comments

Powered by Blogger.