আন্তর্জাতিক : কিম জং ইল-উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ কী? by শ্রাবণ সরকার

জীবদ্দশায়ও যেমন রহস্যঘেরা ছিলেন তিনি, তাঁর মৃত্যুতেও কুয়াশা কাটেনি এতটুকু। তিনি উত্তর কোরিয়ার সদ্য প্রয়াত নেতা কিম জং ইল। গত ১৭ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যুর দুই দিন পর ১৯ ডিসেম্বর দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের কল্যাণে সে খবর জানতে পারে বিশ্ব। মৃত্যুর খবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও উত্তর কোরীয়দের এই কালক্ষেপণ ইলকে নিয়ে বরং বিরাজমান রহস্যকে আরো রহস্যময় করে তুলেছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু


হয়েছে নতুন করে হিসাব-নিকাশ। যত দোষ 'সমাজতন্ত্র' ঘোষ! সমাজতান্ত্রিক একটু-আধটু গন্ধই পুঁজিবাদকে পেরেশান করে তোলে। আর এর ওপর যদি সেই গন্ধের উৎপত্তিস্থল হয় পর্দাঘেরা, বাইরে থেকে শত চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা না যায়, তবে তো কথাই নেই_পুঁজিবাদীদের ঘুম হারাম! এই 'গন্ধ' ও 'বন্ধ'_দুটিই উত্তর কোরিয়ার স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য।
কমিউনিস্ট ও 'মুক্ত' দুনিয়ার ঠাণ্ডা লড়াইয়ের শুরুতেই ভাগ হয়ে যায় কোরীয় উপদ্বীপ। পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে টানাপড়েনের ফলে বহির্বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া ও এর জনগণ। বিশ্বের অন্যতম গোপন দেশের খেতাবটিও উত্তর কোরিয়ার জন্যই বরাদ্দ। তাই সে দেশের একনায়ক কিম জং ইলকে নিয়েও জল্পনা-কল্পনা আর গালগল্পের শেষ নেই। পশ্চিমা 'প্রযোজনায়' তৈরি এসব কল্পকাহিনীতে রংচং আছে সত্য, তবে ডাহা মিথ্যাও হয়তো বলা যাবে না।

দোষের ফিরিস্তি
উত্তর কোরিয়ার নানা কর্মকাণ্ডে বারবার দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে দেখা দিয়েছে সংঘাত। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরির তীব্র বিরোধী ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা। অন্য দেশের সঙ্গে পরমাণু প্রযুক্তির অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগও আছে কিম জং ইল সরকারের বিরুদ্ধে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বদলে পাকিস্তানের কাছ থেকে পরমাণু প্রযুক্তি হাতে পেয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত শতকের আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি গ্রহণ করে বলেও সন্দেহ করা হয়।
তবে উত্তর কোরিয়াকে কোনোমতেই পরমাণু অস্ত্রধর হতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। কিন্তু বিশ্লেষকদের মত হলো, আলোচনা প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করে আন্তর্জাতিক চাপ এড়িয়ে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ইলের। পুরনো ইয়ংবিয়ন পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রচুর পরমাণু জ্বালানি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের আমলেও এভাবেই মার্কিন চাপ পাশ কাটিয়ে যান ইল।
নব্বইয়ের দশকে 'রাষ্ট্রের অবহেলায়' দুর্ভিক্ষে প্রাণ দিতে হয় বহু দেশবাসীকে। এক হিসাব অনুযায়ী অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ মারা যায়। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ইল তাঁর দেশে বিদেশি সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেননি। এমনকি সেই দুর্যোগ-দুুর্বিপাকপীড়িত মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও আগের মতোই সামরিক খাতে বরাদ্দ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হিসাবে দেশটিতে প্রায় ১২ লাখ সেনা সদস্য রয়েছেন। সে অনুযায়ী বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার।
২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায়। একই ধরনের আরেকটি পরীক্ষা চালানো হয় ২০০৯ সালে। ফলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ। মূলত পরমাণু ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়া পুরোপুরি একঘরে হয়ে পড়ে।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৮৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানে বিস্ফোরণ ঘটায় উত্তর কোরিয়ার 'গুপ্তচর' বাহিনী। তখন থেকেই তাদের নাম রয়েছে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা দেশগুলোর মার্কিন 'কালো তালিকায়'।

শোক নয়, উদ্বেগের প্রশ্ন!
এই পরমাণু অস্ত্রধর ও সমাজতান্ত্রিক উত্তর কোরিয়ার নেতা ইলের মৃত্যুর খবরে তাই রীতিমতো উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। ওয়াশিংটন ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র সিউলের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হচ্ছে, কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তাঁর কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবে কি না। তাঁর ছেলে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত মুখ কিম জং উনের হাতে দেশ পরিচালনার ভার অর্পণের পরিণতি কী হতে পারে।
পাশাপাশি আরো কয়েকটি অমীমাংসিত অথচ বহুল আলোচিত বিষয়ের ওপর নতুন করে আলো ফেলেছে ইলের মৃত্যু। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ববহ বিষয়টি হলো দুই কোরিয়ার একত্রীকরণের প্রশ্নটি। যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্রদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সংকট নিয়ে নতুন করে সংলাপের প্রচেষ্টাও বিঘি্নত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তরাধিকারী প্রশ্নে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

কিম জং ইলের আমল
সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উত্তর কোরিয়ার দুয়ার বহির্বিশ্বের জন্য বন্ধ রাখায় জং ইলের নেতৃত্ব সম্পর্কেও কার্যত স্পষ্ট কোনো অবয়ব বিশ্ববাসীর সামনে ফুটে ওঠেনি। তবে রুদ্ধদ্বারের ফাঁকফোকর গলে যতটা আলো 'দুই ভুবনের' মধ্যে যাওয়া-আসা করেছে, এর ভিত্তিতে চিত্রায়িত চেহারাটা এ রকম_রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মের স্বীকৃতিহীন দেশটির অভ্যন্তরে রীতিমতো 'দেবতুল্য' নেতা ছিলেন ইল।
বলাই বাহুল্য, পক্ষান্তরে বহির্বিশ্বের প্রায় সব অংশেই ইলের পরিচয় ছিল মূলত নেতিবাচক ভাবধারার। পশ্চিমারা তাঁকে চিত্রায়ণ করে 'খেয়ালি', 'বিপজ্জনক', 'বদমেজাজি স্বৈরশাসক, 'জালিম একনায়ক' ইত্যাদি রূপে। তবে প্রকাশ্যে একমাত্র চীনের সঙ্গে কিছুটা ভালো সম্পর্ক ছিল ইলের। এ ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতির বিশেষণ-ভাগ্য এতটা মন্দ ছিল না। তবে প্রয়োজনে তাদের চাপও উপেক্ষা করেছেন তিনি।
১৯৯৪ সালে বাবা কিম ইল সাংয়ের মৃত্যুর পর দেশের ক্ষমতার রাশ হাতে নিয়েছিলেন ইল। সাংকে কোরিয়ার জনক, মহান নেতা ও চিরন্তন প্রেসিডেন্ট অভিহিত করা হয়। এ কারণে ইল কখনোই প্রেসিডেন্টের পদ নেননি। এটি ছিল তাঁর বাবার জন্যই সংরক্ষিত। ক্ষমতার ছড়ি হাতে নিয়ে তিনিও বাবার গৃহীত 'সামরিক বাহিনীই প্রথম' নীতিতে দেশ পরিচালনা করেন। পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র গড়তে উদ্যোগী ছিলেন তিনি। এসব কারণে তাঁর আমলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আগের চেয়েও হতশ্রী দশা হয় উত্তর কোরিয়ার।
সমালোচকদের মতে, বাবার মতোই কঠোর হাতে বিরোধীদের দমন করেছেন ইল। ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা কমিটি ফর হিউম্যান রাইটসের হিসাবে উত্তর কোরিয়ার কারাগারে প্রায় দুই লাখ রাজবন্দি আছে।
আশা ও আশঙ্কা
দুই কোরিয়ার একত্রীকরণের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তথ্যাভিজ্ঞরা রীতিমতো দ্বিধাবিভক্ত। কেউ কেউ মনে করেন, ইলের মৃত্যু দুই দেশের একত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে বিপক্ষের মতও বেশ জোরালো। এই দলের সাফ কথা, দুই কোরিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য, জনসংখ্যার অনুপাতের ফারাক এবং সর্বোপরি উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের লালিত একগুঁয়ে মনোভাব একত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে বড় প্রতিবন্ধকতা।
তৃতীয় আরেক দল বিশ্লেষকের ভাষ্য, স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার কিছু নেই। প্রকৃতপক্ষে ইলের জীবনাবসান একটা দুঃসংবাদ। কারণ, এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক নতুন বিপজ্জনক অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারে। বক্তব্যের সপক্ষে তাঁদের যুক্তি, উত্তর কোরিয়া এখন আরো বেশি মারমুখী হতে পারে। তরুণ নেতা উন নিজের ক্ষমতা জাহির করার চেষ্টা করবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থাগুলোর দাবি সঠিক হলে এই দলভুক্ত বিশ্লেষকদের বক্তব্যের পালে তা হাওয়া দেয় বৈকি। দক্ষিণ কোরীয় সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর ঘোষণার দিনই উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। এ পরিস্থিতিতে ইলের মৃত্যুর পর সামরিক বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। 'চিরশত্রু' উত্তর কোরিয়াকে এখনো বিশ্বাস করতে রাজি নয় তারা। চীন অবশ্য জানিয়েছে, নতুন জামানাতেও পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে তারা। আর শান্তির পথে আসতে উত্তর কোরিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
কেউ কেউ বলছেন, ইলের মৃত্যুর ঘটনাটি সবাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এর মানে এই নয় যে উত্তর কোরিয়ার ধ্বংস প্রত্যাশা করেন তাঁরা। বিষয়টি হচ্ছে, ইলের মৃত্যুর পর দেশটিতে জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। কারণ উত্তরসূরি হিসেবে ইল তাঁর তৃতীয় ও ছোট ছেলে উনকে নির্বাচন করে গেছেন। এর বাইরেও সেনাবাহিনী কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, প্লুটোনিয়ামের নিয়ন্ত্রণ কে করবেন, এসব নিয়েও বিরোধের আশঙ্কা রয়েছে।
তবে কি এক হচ্ছে দুই কোরিয়া?
১৯৯০ সালে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি একত্র হয়েছে। তাই এ ঘটনাকে সফল নজির হিসেবে ধরে দুই কোরিয়ার একত্র হওয়ার পক্ষে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন। তবে তথ্যাভিজ্ঞরা দুই জার্মানির ও দুই কোরিয়ার মধ্যকার বেশ কিছু বাস্তবভিত্তিক ফারাকের কথা তুলে ধরছেন। যেমন_বার্লিন দেওয়ালের পতনের মাধ্যমে দুই জার্মানির এক হওয়ার সময় পূর্ব অংশের জনসংখ্যা ছিল পশ্চিম অংশের এক-চতুর্থাংশ। আর পূর্বের চেয়ে পশ্চিম অংশের মাথাপিছু আয় ছিল চার গুণ বেশি। পক্ষান্তরে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি, যা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় অর্ধেক। আর উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের মাথাপিছু আয় ১৭ গুণ বেশি।
তাই বলা হচ্ছে, দুই কোরিয়া একত্র হলে উত্তর অংশের লাখ লাখ লোকের গরিবি দূর হবে সত্য, তবে এর ফলে দক্ষিণের অর্থনীতি যে ধাক্কা খাবে তা পুষিয়ে নিতে এক দশক বা তারও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। তাই দুই জার্মানির এক হওয়ার মতো দ্রুততম পদ্ধতিতে দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ ঠিক হবে না। তবে কেউ কেউ মনে করেন, দুই কোরিয়া একত্র হলে আগামী তিন থেকে চার দশকের মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি এমনকি জাপানের অর্থনীতিকেও ডিঙিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একত্রীকরণের ফলে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে তা মোকাবিলা সম্ভব। আরেক দলের ভাবনা, চীন ও হংকংয়ের মতো ধাপে ধাপে এক হওয়া দুই কোরিয়ার জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে। ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডে ফিরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং বাকও এই শেষোক্ত পদ্ধতির পক্ষে। এ পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে উত্তর কোরিয়ার অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কথা। তবে এ ধরনের প্রস্তাব সদ্য প্রয়াত ইল 'অবমাননাকর' বিবেচনায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন তৃতীয় প্রজন্মের নতুন নৃপতি উন পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটবেন, নাকি ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকে কার্যত দুই কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটিয়ে নতুন দিগন্ত খুলে দেবেন, সে দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।

No comments

Powered by Blogger.