কিমের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কাল-উনকে ক্ষমতাসীন দলের ‘প্রধান’ হিসেবে বর্ণনা

ত্তর কোরিয়া গতকাল সোমবার দেশটির নতুন নেতা কিম জং-উনকে রাষ্ট্রস্বীকৃত একমাত্র রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান হিসেবে বর্ণনা করেছে। প্রয়াত নেতা কিম জং-ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা গতকাল উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন সফর করেছেন। সফরকালে তিনি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।


এ ছাড়া কিম জং-ইলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি লি হি-হো। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত কিম দায়ে জংয়ের স্ত্রী হো গতকাল দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছান। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন হুন্দাই গ্রুপের প্রধান হায়ুন জং-ইয়ুন। তবে কাল বুধবার কিম জং-ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন না বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তাঁরা নতুন নেতা উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার প্রধান সংবাদপত্র রোডং সিনমান-এর নিবন্ধে গতকাল বলা হয়, ‘প্রিয় কমরেড কিম জং-উনের নেতৃত্বাধীন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিকে নিরাপদ রাখতে আসুন আমরা সবাই আমাদের জীবন বাজি রাখি।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৭ ডিসেম্বর বাবা কিম জং-ইলের মৃত্যুর পর ছেলে কিম জং-উনকে এর আগে ‘মহান উত্তরসূরি’ এবং সামরিক বাহিনীর ‘সর্বাধিনায়ক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী নতুন নেতা উন দেশটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের পত্রিকাটির ভাষ্য থেকে তা স্পষ্ট।
ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। সাধারণভাবে, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধানই দলের মহাসচিব হিসেবে বিবেচিত হন। প্রয়াত নেতা কিম জং-ইল এর আগে এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডংগুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিম ইয়ং-হায়ুনের মতে, উন যদিও দাপ্তরিকভাবে দলের মহাসচিবের পদে এখনো অধিষ্ঠিত হননি, তবে শিগগিরই তিনি এ পদটিসহ তাঁর বাবা যেসব পদে ছিলেন, সেসব পদ গ্রহণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দাপ্তরিকভাবে উনের বর্তমান সর্বোচ্চ পদ হচ্ছে ক্ষমতাসীন পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান। প্রয়াত নেতা কিম জং-ইল দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে কাল বুধবার প্রয়াত কিম জং-ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিমের মৃত্যুর ১১ দিন পার হলেও দেশটির ক্ষমতার ভার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন নেতৃত্বের কাছে অর্পিত না হওয়ায় এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিকেই গভীরভাবে নজর রাখবে বিশ্ববাসী। এএফপি, এপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.