রান্না প্রতিযোগিতা by শর্মিলা সিনড্রেলা

সারি বেঁধে ১০ জন রান্না করছেন মনোযোগ দিয়ে। নিজের মাথায় সেরা রাঁধুনির মুকুটটি দেখতে পাওয়ার ইচ্ছা সবার। ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে হয়ে গেল মনিটর সেরা রন্ধনশিল্পী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। অনুষ্ঠান শেষে মনিটরের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ কামাল বলেন, ‘প্রাথমিক পর্বে আমরা বাংলাদেশি খাবারের দুটি রেসিপি চেয়েছিলাম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও ই-মেইলে অনেক অনেক রেসিপি জমা পড়তে থাকে।
আমাদের বিচারকেরা রেসিপি দেখে তার নতুনত্ব এবং পুষ্টিমানের ওপর ভিত্তি করে ১০ জনকে নির্বাচন করেন। তার মধ্য থেকে ১৮ তারিখ বেছে নেওয়া হলো সেরা একজন রাঁধুনিকে।’
বিকেল থেকে শুরু করে সবাই রান্না শেষ করেন সন্ধ্যা নাগাদ। এরপর বিচারকেরা এসে সেসব চেখে দেখে নম্বর দেন। বিচারক হিসেবে ছিলেন সিদ্দিকা কবীর, কল্পনা রহমান, নাজমা আক্তার চৌধুরী, রওশন আরা বেগম, শাহিদা আক্তার, নূর আয়েশা চাকলাদার, আসমা আলী ও তাহেরা ওয়াহিদ। সেদিন সেরা রন্ধনশিল্পীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
সেরা রাঁধুনি নির্বাচিত হন ফরিদা পারভীন। তাঁর রান্না করা নবাবি খিচুড়ি এবং পুডিং মন কেড়ে নেয় সবার। তিনি পুরস্কার হিসেবে পান ক্রেস্ট, ১০ হাজার টাকা, ঢাকা-দুবাই-ঢাকা বিমান টিকিট, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং নানা উপহার। আর দ্বিতীয় হন মাসুমা আলী। তাঁর রান্না করা টফুর মোতি পোলাও এবং সবজির কাঠি কাবাব সবার জিবেই জল এনেছিল। তিনি পান ক্রেস্ট, ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা বিমান টিকিট, ডিভিডি প্লেয়ার ও উপহার। স্টিম ফিশ বার এবং বেগুন আলুর টিকিয়া বানিয়ে তৃতীয় হন শারমিন রহমান। তিনি পান ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা বিমান টিকিট, ক্রেস্ট, ডিভিডি প্লেয়ার এবং উপহার।

No comments

Powered by Blogger.