সারা দেশে এগিয়ে ঝালকাঠি-ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৮

বতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ফলাফলের দিক থেকে ৬৪টি জেলায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ঝালকাঠি। সর্বনিম্ন পাসের হার মৌলভীবাজার জেলায়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর জানায়, এ বছর ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দুই লাখ ৭২ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী। সব বিষয়ে পাস করেছে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের


মধ্যে ছাত্রী এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৭১ জন এবং ছাত্র এক লাখ ২৫ হাজার ৬০০ জন। ছাত্রীর সংখ্যা বেশি হলেও গড় পাসের দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে আছে। ছাত্রদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৫১ এবং ছাত্রীদের ৯০ দশমিক ২৩। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৫০ জন, যা মোট কৃতকার্যের দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সর্বোচ্চ পাসের বিবেচনায় বরিশাল বিভাগ এগিয়ে আছে (পাসের হার ৯৪ দশমিক ৬৫)। পাসের হার সর্বোচ্চ ঝালকাঠিতে (৯৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ), আর সর্বনিম্ন মৌলভীবাজারে (পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ)। মোট ৫৪টি জেলায় শত ভাগ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। সবচেয়ে কম পাস করেছে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায়। এ উপজেলায় পাসের হার ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে সারা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঢাকার ডেমরা থানার দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা। দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (এমএ) মাদ্রাসা ও তৃতীয় স্থানে ঢাকা জেলার ক্যান্টনমেন্ট থানার তানযীমুল উম্মাহ ক্যাডেট দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।
প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ছয়টি বিষয়ে ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ছাত্রছাত্রী (৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ) পাস করেছে কোরআন ও আকাইদ ফিকহ বিষয়ে, সবচেয়ে কম পাস করেছে ইংরেজিতে (৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ)।
সারা দেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৪৯৮ জন ছাত্রছাত্রী ডিআরভুক্ত হয় এবং পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪১৮ জন। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯৭ জন। পাসের হার ৯৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

No comments

Powered by Blogger.