বিস্ময়কর সাফল্য -প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭.২৬ শতাংশ by সাবি্বর নেওয়াজ

মেধার চমকে চমকিত দেশ। বড়দের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বরং অদম্য মেধার দৌড়ে অনায়াসেই শীর্ষস্থান অধিকার করে নিয়েছে দেশের ২১ লাখ সোনামণি। শৈশব পেরোনোর আগেই জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পঞ্চম শ্রেণী পড়ূয়া লাখ লাখ শিশু। তাদের মেধার চমকে চমকিত পুরো বাংলাদেশ। বিস্ময়কর সাফল্যে ভেঙে গেছে পাবলিক পরীক্ষার অতীতের সব রেকর্ড।


গতকাল সোমবার প্রকাশিত চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে, ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ শিশু অংশ নিয়ে ২১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৯ জনই উত্তীর্ণ হয়েছে। শতভাগ শিশুর মধ্যে ৯৭ দশমিক ২৬ ভাগ শিশু উত্তীর্ণ হয়েছে। গতবার এ হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৪ ভাগ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। আর সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। অতীতে আর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এ সংখ্যাকে ছুঁতে পারেনি। সারাদেশে প্রথম হয়েছে রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ায় গতকাল দেশের ৮৭ হাজার ৮৩২টি বিদ্যালয়ে আনন্দের বান ডেকে যায়। কচিমুখের মিষ্টি হাসিতে আলোকিত হয়ে ওঠে হাজারো স্কুল প্রাঙ্গণ।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফল তুলে দেওয়া হয়। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন, প্রতিমন্ত্রী মোঃ মোতাহার হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। ফল দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। গত ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বর সারাদেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি বিষয়ে
১০০ নম্বর করে মোট ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। দেশের বাইরে আটটিসহ মোট ৬ হাজার ১৭৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত দু'বার সনাতন পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হলেও এবার তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়। ফলের ভিত্তিতে ৫৫ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এবার প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া হবে।
গতকাল সকাল থেকেই সারাদেশের স্কুলগুলোতে আসতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। দুরুদুরু বুকে ফল জানতে অপেক্ষা করছিল তারা। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের হিল্লোল বয়ে যায় প্রতিটি স্কুলে। শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও মেতে ওঠেন তাদের সঙ্গে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ মোতাহার হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আফছারুল আমীন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকে মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ লাখ ২৫ হাজার ৮৬৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৯ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ৫০ হাজার ৩৪০ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। গড় পাসের হারের দিক থেকে ছেলেরাই এগিয়ে। শীর্ষ ২০টি স্কুলের গৌরব অর্জন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭টি রাজধানীর নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনটি প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাইরের। এ ছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে শীর্ষ দশে স্থান পাওয়া স্কুলগুলোর বেশিরভাগই বিভাগীয় ও জেলা সদরে অবস্থিত। পিছিয়ে পড়েছে মফস্বলের স্কুলগুলো।
উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৩ জন। জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর নিচে পেয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪২০ জন। জিপিএ-৩ দমমিক ৫ থেকে ৪-এর নিচে পেয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৩২ জন। জিপিএ-৩ থেকে ৩ দশমিক ৫-এর নিচে পেয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৩ জন। জিপিএ-২ থেকে ৩-এর নিচে পেয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৪৫ জন।
প্রাথমিক সমাপনীতে সর্বোচ্চ পাসের হারের দিক থেকে দেশের সাত বিভাগের মধ্যে বরিশাল (পাসের হার ৯৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ) সর্বোচ্চ। আর ৬৪ জেলার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ (৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ) শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড় ও চাঁদপুর জেলা। এ দু'জেলায় পাসের হার ৯৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন পাসের হার হবিগঞ্জ জেলায়, ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। দেশের ৫০৩টি উপজেলার মধ্যে সর্বনিম্ন ফল করেছে এ জেলার বানিয়াচং উপজেলা। এ উপজেলায় পাসের হার মাত্র ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ফল প্রকাশের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্ত্রী আফছারুল আমীন সমকালকে বলেন, এবারের ফলে খুশি না হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ছোট সোনামণিরা নিজ প্রচেষ্টাতেই এ ফল অর্জন করেছে। আমরা সরকারের তরফ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানাই। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করার জন্য তাদের জন্য দোয়া কামনা করেন মন্ত্রী।
এবারের ভালো ফলের কারণ জানতে চাওয়া হলে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনজু আরা বেগম সমকালকে বলেন, গত দুটি পরীক্ষার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে আগেভাগেই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। দু'বছরে শিক্ষার্থী নিজে পরীক্ষা সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছে। অভিভাবকরাও সচেতন হয়ে গাইড করেছেন। এ ছাড়া গণিত, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয়েও পরীক্ষার্থীরা ভালো করেছে। সবমিলিয়ে এই ভালো ফল। তিনি বলেন, গত দু'বার বিভাগওয়ারি ফল প্রকাশ হয়েছে। এবার গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করায় পরীক্ষকরা অনেকটা উদারভাবে নম্বর দিয়ে থাকতে পারেন। তাও অবশ্যই শিক্ষার্থীদের মেধার আলোকে হয়েছে।
এবারের সমাপনী পরীক্ষা দেশের বাইরে সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, কাতারের দোহা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও রাসআলখাইমাহ, লিবিয়ার ত্রিপোলি, বাহরাইন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাসহ মোট আটটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্য বৃত্তিপ্রাপ্তদের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে উত্তীর্ণরাই কেবল ২০১২ সালে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে। তাদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে স্কুলে পেঁৗছে দেওয়া হবে।
সাড়ে ৬৮ হাজার স্কুলের সবাই পাস :প্রাথমিক সমাপনীতে দেশের ৬৮ হাজার ৬২৯টি স্কুলের সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে ২৯ হাজার ২৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৫ হাজার ৮২৭টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯৫টি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৫টি পরীক্ষণ বিদ্যালয়, ৯ হাজার ৯৯৭টি কিন্ডারগার্টেন এবং ১ হাজার ৬২২টি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়। এ ছাড়া ১ হাজার ৭৯৯টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ৬৪০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নিবন্ধিত নয়), ১ হাজার ১১৬টি উচ্চ বিদ্যালয়ে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্র্যাকের ৬ হাজার ২১০টি স্কুল, ৬৪৬টি আনন্দ স্কুল এবং ৪১টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবাই পাস করেছে।
৩৭১ স্কুলের সব ফেল : অন্যদিকে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি কিন্ডারগার্টেন, ১০৪টি এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, ১১টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নিবন্ধিত নয়) এবং ১৭৯টি আনন্দ স্কুল।
পাসের হারে পিছিয়ে নেই প্রতিবন্ধীরাও : ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাধারণ পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের (প্রতিবন্ধী) ফলও এবার চমকপ্রদ। সারাদেশে মোট ৪ হাজার ২৮৭ প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৪ হাজার ১৪৩ জন। প্রতিবন্ধীদের পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৪ ভাগ।
কঠিন বিষয়েও ভালো ফল : এবারের সমাপনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, ইংরেজি, গণিতের মতো বিষয়েও (সাবজেক্ট) ক্ষুদে পরীক্ষার্থীরা খুব ভালো ফল করতে পেরেছে। এতে পাসের হারেও তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পেরেছে। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পরীক্ষার মোট ছয়টি বিষয়ের মধ্যে ইংরেজিতে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৩ ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। ইংরেজিতে পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৮ ভাগ। গণিতে পাস করেছে ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৫ জন। এ বিষয়ে পাসের হার ৯৮ দশমিক ১৯ ভাগ। এ ছাড়া বাংলায় পাস করেছে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯৮ (৯৯ দশমিক ১৯ শতাংশ), পরিবেশ পরিচিতি সমাজে ২১ লাখ ৮২ হাজার ৩০২ (৯৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ), পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞানে ২১ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ (৯৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ) এবং ধর্ম বিষয়ে ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৪২১ জন (৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ) পাস করেছে।
পিটিআই সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কৃতিত্ব : ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে 'পিটিআই সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়'। এ বিদ্যালয়গুলোতে এবার পাসের হার সর্বোচ্চ, ৯৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক পরিচালিত বিদ্যালয় (৯৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ), তৃতীয় অবস্থানে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ), চতুর্থ অবস্থান উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯৮ দশমিক ১৭ শতাংশ), পঞ্চম অবস্থান কিন্ডারগার্টেনের (৯৮ শতাংশ), ষষ্ঠ অবস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (৯৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ), সপ্তমে রয়েছে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ), অষ্টমে কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ), নবম অবস্থান নন-রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (৯৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ), দশমে আছে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় (৯২ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ১১তম স্থানে রয়েছে এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় (৯১ দশমিক ৪৫ শতাংশ) এবং সবশেষে রয়েছে রস্ক প্রকল্প পরিচালিত আনন্দ স্কুল (৭৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ)।
ফল প্রকাশের পর তা দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল এবং মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে ফল সংগ্রহ করে। একই সঙ্গে এ ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও ফল প্রকাশের পর অসংখ্য অভিভাবক অভিযোগ করেন, ওয়েবসাইটটি তারা খুলতে পারছেন না। এ ছাড়া টেলিটক মোবাইল ফোন থেকেও ফল জানার ব্যবস্থা ছিল

No comments

Powered by Blogger.