শিবিরের সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশের ফাঁকা গুলি

পুলিশের ছোড়া ফাঁকা গুলির মুহূর্মুহু শব্দে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজধানীর পল্টন এলাকা। জামায়াত-শিবির ঘোষিত বুধবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা ও মিছিল-সমাবেশ
ঠেকাতে পুলিশ শত শত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ছে বলে জানা গেছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার গুলিবিদ্ধ আবু তাহের, মোঃ হাফিজ, মোঃ নবী ও মোঃ সৌরভ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধরা নিজেদের পথচারী বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, ফকিরেরপুল, আরামবাগ ও মতিঝিল এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ-ৠাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এর আগে মতিঝিল এলাকায় শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টাকালে পুলিশের ধাওয়ায় পালিয়ে যান শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে শিবির কর্মীরা ফকিরেরপুল ও আরামবাগের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে ফের নাশকতা চালাতে পারেন বলেও ধারণা করছে পুলিশ। এ কারণে বিভিন্ন গলিতে পুলিশি তল্লাশি চলছে।

মতিঝিল, পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে শিবির ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে অফিসপাড়া মতিঝিলগামী লোকজন পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। তারা পল্টন, ফকিরেরপুল, আরামবাগ, দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে ও বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।  অফিসগামীরা মতিঝিলের তাদের অফিসে যেতে না পেরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

নাশকতার আশঙ্কায় বুধবার ভোর থেকেই এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবির কর্মী সন্দেহে শতাধিক জনকে আটক করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হায়াতুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সকালে মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৮টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় শিবিরের এক থেকে দেড়শ’ নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। এ সময় মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

No comments

Powered by Blogger.