ময়মনসিংহেঃ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতরা গ্রেফতার না হলে আন্দোলন

ময়মনসিংহে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও কর্মচারী দোকানপাট বন্ধ করে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
খ- খ- মিছিল এক সময় বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে পরিণত হয়। মিছিলকারীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডাকাতদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানান। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্বে দেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আমিনুল হক শামীম, ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি ও ময়মনসিংহ পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ মুসলেম উদ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা, আনিসুজ্জামান খান মিঠু, মতিউর রহমান রবিন, শঙ্কর সাহাসহ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী সমিতির নেতারা। ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ২টা পর্যন্ত শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকে। এদিকে জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মালিক এম হোসেন বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছে।
গত সোমবার রাতে ১০ থেকে ১২টি ককটেল ফাটিয়ে গাঙ্গিনারপাড় ইম্পেরিয়াল সুপার মার্কেটের আলিম জুয়েলার্স থেকে ডাকাতরা প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ১৫০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনার সময় ঘটনাস্থল আলিম জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৪শ' গজ দূরে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে শহরের দুর্গাবাড়ী রোডে 'জাগো ময়মনসিংহ' ব্যানারে গণজাগরণ মঞ্চে অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুর্গাবাড়ী গণজাগরণ মঞ্চে মাইকে ও কিছু মিডিয়াতে জামায়াত-শিবির আক্রমণ করেছে বলে প্রচারণা শুরু হয়। রাতে ডাকাতির ঘটনার পর পর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক জামায়াত-শিবিরবিরোধীরা একটি লাঠি মিছিল করে। জামায়াত-শিবির ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সন্দেহে তারা জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান শহরের ছোট বাজারের ইসলামী ব্যাংকে, সারদা ঘোষ রোডের স্বদেশ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মপল্লী রোডে একটি ছাত্রশিবিরের মেসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে গাঙ্গিনারপাড় ইম্পেরিয়াল সুপার মার্কেটের আলিম জুয়েলার্সে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মার্কেটের নাইট গার্ডসহ ৮ জন আহত হয়। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপর আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ প্রাণ ভয়ে ছুটাছুটি শুরু করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই শহর ফাঁকা হয়ে যায়। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
পুলিশ সুপার মইনুল হক ককটেল ফাটিয়ে ও অস্ত্রের মুখে জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে স্বীকার করে ডাকাতির ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করার আহ্বান জানান।

No comments

Powered by Blogger.