মিসরে চূড়ান্ত পর্বের ভোট গ্রহণ শুরু

মিসরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের তৃতীয় ও শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার এ দু'দিনে মোট নয়টি প্রদেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে প্রায় দেড় কোটি ভোটার তাদের ভোট দেবেন। খবর বিবিসি ও এএফপির। গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মোট তিন দফায় মিসরের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মতো তৃতীয় ও শেষ দফার নির্বাচনের ফলাফলেও দেশটির


ইসলামপন্থিরা আধিপত্য বজায় রাখবে। তৃতীয় দফা নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোটারদের সারিবদ্ধভাবে ভোট দিতে দেখা গেছে। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোথাও বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এক সময়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড ওই নির্বাচনের ফলাফলে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলে দাবি করেছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গণঅভ্যুত্থানের মুখে মিসরের দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটে। বিগত ৬০ বছরের মধ্যে দেশটিতে এ প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পার্র্লামেন্ট নির্বাচন শেষে আগামী জুনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
'হোসনি মোবারক অত্যাচারী নেতা' : মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে 'অত্যাচারী নেতা' বলে মন্তব্য করেছেন কেঁৗসুলিরা। মঙ্গলবার আদালতে শুনানির সময় তাকে অত্যাচারী নেতা বলে সম্বোধন করেন কেঁৗসুলি মোস্তাফা সুলাইমান। বিক্ষোভকারীদের হত্যা করার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে কায়রোর আদালতে মোবারকের বিচার চলছে। উল্লেখ্য, একই মামলায় তার দুই পুত্র আলা এবং গামালেরও বিচার চলছে।
শুনানির শুরুতেই আইনজীবী সুলাইমান বলেন, হোসনি মোবারক একজন অত্যাচারী নেতা ছিলেন। তিনি তার সন্তান গামালের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছিলেন, যে কারণে গামাল নিজে এবং তার আত্মীয়স্বজন দুর্নীতি করার সুযোগ পান। তারা দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
গতকালও হোসনি মোবারককে স্ট্রেচারে করে আদালতে হাজির করা হয়। একটি পুলিশ একাডেমীতে চলমান এ শুনানি উপলক্ষে কায়রোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মোবারক কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার আইনজীবী জানান, তিনি হৃদরোগ ও পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন।

No comments

Powered by Blogger.