৫০ হাজার টন গমসহ সাতটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

০ হাজার টন গম ও ১৪ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ সাতটি দরপ্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, মন্ত্রিপরিষদ-সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ


সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব নূরুল করিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নূরুল করিম জানান, দেশে গমের মজুদ বাড়াতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে। প্রতি টন ২৮৭ দশমিক ৭৭ ডলার হিসেবে এতে সরকারের খরচ হবে ১১৭ কোটি ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। মেসার্স রোকেয়া অটো ফ্লাওয়ার নামের একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মংলা বন্দরের মাধ্যমে এ গম আমদানি করবে।
এ ছাড়া সারের মজুদ বাড়াতে সংযুক্ত আরব-আমিরাত থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ১৪ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকারের খরচ হবে ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বৈঠকে অন্য প্রস্তাবের মধ্যে জাপানি ঋণ মওকুফ তহবিলের (জেডিসিএফ) অর্থায়নে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অধীনে দুটি গ্রুপে সেতু, ওয়ারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৩৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সিকহো-পিবিএল-জয়েন্ট ভেঞ্চার ও গ্যানন ডানকার্লি অ্যান্ড কোং নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশোধিত দরে তা বাস্তবায়ন করবে।
অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: শেরেবাংলা নগরে বিনিয়োগ বোর্ডের ১৪তলা নিজস্ব ভবন নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগ, ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ এবং চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলে সেতু সংস্কার।
প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ বোর্ডের ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলে বিভিন্ন সেতু সংস্কারের তিনটি প্যাকেজে ঠিকাদার নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এতে খরচ হবে ৫৯৯ কোটি টাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদী ড্রেজিংয়ের আওতায় ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের খরচ হবে ২২০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আনন্দ শিপইয়ার্ড ও এলিকট নামের যৌথ প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটিকে। এতে খরচ হবে ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

No comments

Powered by Blogger.