নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের তাণ্ডব


স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ। রোববার সাড়ে ৭টায় ছাত্রলীগ কর্মী মহসিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মাইক্রোবাস, ভিসি ও রেজিস্ট্রারের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। মহসিন তার বন্ধুদের নিয়ে মাইজদী শহরে ভ্রমণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষকদের আনা নেয়া করা মাইক্রোবাসটি দিতে বলে। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই তাণ্ডব চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মহসিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছে। সে সিএসসি ফাইনাল পর্বের ছাত্র। সন্ধ্যার পর মহসিনসহ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর জামানের কাছে শিক্ষকদের বহনকারী একমাত্র মাইক্রোবাসটি মাইজদীতে ভ্রমণের জন্য দিতে চাপ সৃষ্টি করে। শিক্ষকরা মহসিনকে গাড়ি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে ও তার অপর সাঙ্গপাঙ্গ  ক্ষিপ্ত হয়ে মাইক্রোবাস, ভিসি ও রেজিস্ট্রার অফিসসহ প্রশাসনিক ভবনের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র এলোপাতাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বাদী হয়ে ছাত্র মহসিন (২৩), মঞ্জুরুল আমিন (২২), সজিব (২০), ত্রিপাটি (২৩), সিহাব (২২), সুমন (২২), আমির হাসান (২২), বিনয় (২১), বাসু (২২) সহ ৮ জনকে  এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। ছাত্রলীগের কর্মী মহসিন ঘটনাটি অস্বীকার করে বলে, রোববার দুপুরে মাইজদীতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সজিবকে ছাত্রদলের কর্মীরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। তাকে মাইজদী গুডহিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনার জন্য শিক্ষকদের মাইক্রোবাসটি দেয়ার জন্য একাধিকবার বলার পরও রাজি হননি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. আনিছুর জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মহসিনসহ অপর আসামিরা মাইজদী শহরে ভ্রমণের জন্য শিক্ষকদের পরিবহন মাইক্রোবাসটি দেয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যার পর থেকে চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তাদেরকে মাইক্রোবাসটি দেয়ার অসম্মতি জানাইলে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে গতকাল বিকাল ২টা থেকে ভিসি’র সভাপতিত্বে প্রশাসনিক ভবনে জরুরি বৈঠক বসে। অপরদিকে ভিসি প্রফেসর একেএম সাইদুল হক চৌধুরী জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.