মিডিয়ার ভয়ে পিতার মৃত্যুর বিষয়টি আড়াল করছেন শাবনূর

স্টাফ রিপোর্টার: গত ১৮ই ডিসেম্বর সিলেটে বাসে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিটি শাবনূরের পিতা কাজী নাসির- এটা ঘটনার পরপরই শাবনূর ও তার পরিবার জানতে পারে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। অবশ্য গত ১লা জানুয়ারি দৈনিক মানবজমিনে বিষয়টি ছাপা হওয়ার পর জানাজানি হয়ে যায়। শাবনূর কিংবা তার পরিবার সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। কিন্তু তাদের দু’-একজন ঘনিষ্ঠ মানুষ শাবনূরের পিতার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, শাবনূরের পরিবার মিডিয়ার ভয়ে বিষয়টি আড়াল করতে চাইছে। শাবনূর তার ঘনিষ্ঠজনদের বলেছেন, আমরা দেখতে গেলেই মিডিয়া আমাদের পিছু নেবে। নানা কথা খুঁজে বের করবে। এ কারণে শাবনূর এবং তার পরিবার জেনেও না জানার ভান করছে। তবে নিহত ব্যক্তিটি যে শাবনূরের পিতা কাজী নাসির এটা তারা স্বীকার করেছেন। তবে শাবনূর ডিএনএ টেস্টের পর নিশ্চিত হতে চান বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। শাবনূরের পিতা কাজী নাসিরের সঙ্গে মা আমেনা বেগম মিলির ডিভোর্স হয় ১৫ বছর আগে। ডিভোর্সের আগে শাবনূর চেষ্টা করেছিলেন পিতা-মাতাকে মিল করাতে। এর জন্য তিনি চিত্রনায়ক হেলাল খানের এক অনুষ্ঠান করতে পিতা-মাতাকে লন্ডনও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও সমঝোতা না হওয়ায় শাবনূর তার পিতা কাজী নাসিরকে লন্ডনে রেখে আসেন। বাংলা একাডেমীর লোকশিল্প বিভাগে চাকরি করা কাজী নাসির ৬ মাস লন্ডনে থেকে গান শিখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে এসে বগুড়ায় জ্যোৎস্না বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে সন্তানও হয়। এদিকে শাবনূরের মাও শাজাহান চৌধুরী নামে এক চলচ্চিত্র প্রযোজককে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালে কাজী নাসির রমনা থানায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কন্যা শাবনূরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যা ওই সময়ে ‘মানবজমিন’-এ প্রকাশিত হয়। পরে শাবনূর বিষয়টি ম্যানেজ করেন। তারপর থেকে শাবনূরের পরিবারের সঙ্গে কাজী নাসিরের কোন যোগাযোগ ছিল না। ১৮ই ডিসেম্বর সিলেটে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত শাবনূরও তার পিতার কোন খোঁজ-খবর রাখতেন না বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.