প্যাটিনসন ১৪-৩-৪৩-৪-ভয়েই ভাঙন ভারতের!

ইকেটে কোনো জুজু নেই। সারা দিনই চকচকে রোদ সিডনিতে। ব্যাটিং লাইনআপে বিখ্যাত সব নাম। তার পরও কেন টানা দ্বিতীয় ইনিংসে দুই শর নিচে গুটিয়ে গেল ভারত? ধ্বংসযজ্ঞের মূল নায়ক জেমস প্যাটিনসনের ধারণা, উইকেটে জুজু না থাকলেও জুজু আছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মনে। ভয়েই এমন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ!
‘ভয়’টা সাধারণত আসে বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে। তবে প্যাটিনসনের কাছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভয়ের ব্যাখ্যাটা


অন্য রকম, ‘আমার ধারণা, আমরা যেভাবে বোলিং করছি, যে জায়গায় বল রাখছি, ওরা সম্ভবত ভয় পেয়ে গেছে। কারণ, আমরা ওদের মোটেও বাজে বল দিচ্ছি না। এই ব্যাপারটা হয়তো ওদের মাথায় ঢুকে গেছে যে রান করব কীভাবে। আমাদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং থেকেই ওদের এই ভয়টা এসেছে।’
এটা সত্যি হলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য আরও দুঃসময় অপেক্ষা করছে। প্রতিদিনই মনে হচ্ছে নিজেকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছেন প্যাটিনসন। বাড়ছে তাঁকে নিয়ে মুগ্ধতাও। পূর্বসূরিদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েই যাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী পেসার।
প্যাটিনসনের মতোই সাড়া জাগানো অভিষেক হয়েছিল ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের, অভিষেক টেস্টেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। সাবেক এই সুইং বোলার প্যাটিনসনের মধ্যে দেখছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, ‘পাট্টো (প্যাটিনসন) আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। নিখুঁত বাউন্সার ছুড়তে পারে, ১৯১ সেমি উচ্চতা থেকে ব্যাটসম্যানদের জন্য অস্বস্তিকরভাবে বল তুলতে পারে, গতিও অনেক। বয়স মাত্র ২১, সঙ্গে শারীরিক যে সক্ষমতা—সব মিলিয়ে বোলিং আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও।’
এই বয়সেই প্যাটিনসনকে দারুণ পরিণত মনে হচ্ছে আরেক সাবেক পেসার জিওফ লসনের, ‘দারুণ বোলিং করছে ও, গতি কখনো কখনো ১৫০ কিমি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নিজের জন্য এটা বোঝা ওর প্রয়োজন ছিল যে জন্মগতভাবেই ও আক্রমণাত্মক বোলার, আমার ধারণা ও সেটা বুঝতে পেরেছেও।’
ধারাভাষ্যকার হিসেবে এই সিরিজে আছেন ওয়াসিম আকরাম। তবে এই ফাস্ট বোলিং গ্রেট নাকি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন প্যাটিনসনের সম্ভাবনা, ‘আমি বেশ আগেই ওকে দেখেছিলাম, সম্ভবত দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা ম্যাচে। ও যে বিশেষ এক প্রতিভা, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম। দুদিকেই বল সুইং করাতে পারে, গতি ভালো, শক্ত-সামর্থ্য, সবচেয়ে বড় কথা খুব দ্রুত শিখছে। গ্রেট হওয়ার সব উপাদানই ওর মধ্যে আছে।’ ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.