ভুয়া চিকিৎসক ও প্যাথলজিস্ট-এমন ভয়ঙ্কর প্রতারণা বন্ধ হবে কবে?

প্যাথলজির ডিগ্রি তো দূরের কথা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নূ্যনতম ডিগ্রি নেই এমন ব্যক্তি সেজে বসেছেন প্যাথলজিস্ট। ইউনানি মেডিকেল কলেজের স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরিচয় দিচ্ছেন কখনও কার্ডিওলজিস্টের, কখনও শিশু ও গাইনি বিশেষজ্ঞের। এমন নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে র‌্যাবের অভিযানে।


ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অভিযানে ভুয়া বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও প্যাথলজিস্ট শাস্তিও পেয়েছেন। চিকিৎসা সেবা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের অভিযান প্রশংসনীয়। এমন আরও অভিযানের প্রত্যাশা রয়েছে জনমনে। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে যেভাবে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠছে তাতে চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য হতে পারত। কিন্তু বাস্তবে বিপরীত চিত্রটাই ফুটে উঠছে। অনেক ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। চিকিৎসা সেবার নূ্যনতম ব্যবস্থা করতে না পারলেও বাহারি সাইনবোর্ড দিয়ে তারা প্রতারণা করছে রোগীদের। সারিয়ে তোলার বদলে সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার সরঞ্জাম নেই, টেকনিশিয়ান নেই অথচ বাহারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এমনভাবে গড়ে উঠছে ক্লিনিকগুলোও। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শুধু প্রতারকদের জেল-জরিমানাও যথেষ্ট নয়_ প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে এসব ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতারও যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেছে নেওয়ার আগে ভালো করে খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। আর বৈধ ও স্বনামধন্য ডাক্তারদের সচেতন হতে হবে, যাতে তাদের রেফারেন্স নিয়ে কোনো রোগী ভুয়া পরীক্ষাগারে গিয়ে প্রতারিত না হয়।

No comments

Powered by Blogger.