পেনিয়া নিয়েতো মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট

এনরিক পেনিয়া নিয়েতো (৪৫) মেক্সিকোর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০ বছরেরও বেশি সময় মেক্সিকো শাসনকারী দল ইনস্টিটিউশনাল রেভল্যুশনারি পার্টি (পিআরআই) আবারও ক্ষমতায় ফিরল। গত রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নিয়েতো।


তবে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঁন্দ্রেস মানুয়েল লোপেস ওব্রাদর পরাজয় মেনে নেননি।
প্রেসিডেন্ট ছাড়াও নতুন কংগ্রেস এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের গভর্নরও নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে গত রবিবার। অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার আশঙ্কায় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই পিআরআই-এর সদর দপ্তরে উল্লাস শুরু করে দলের কর্মী ও সমর্থকরা। পেনিয়া নিয়েতো ঘোষণা করেন, 'আমরা সবাই নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। মেক্সিকো জয়ী হয়েছে।' তিনি পিআরআই-কে দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ দেওয়ার জন্য মেক্সিকোর জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর প্রশাসনের 'শাসনপদ্ধতি হবে নতুন ধরনের'। তাঁর নির্বাচনী প্রচারেরও মূল ইস্যু ছিল অর্থনীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। জয়ের পর নিয়েতো বলেন, 'সংঘবদ্ধ অপরাধের সঙ্গে কোনো আপস নয়।' আগামী ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
মেক্সিকোর সাড়ে সাত হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ফলের ওপর ভিত্তি করে দেশটির ইলেক্টরাল অথোরিটি এই ফল প্রকাশ করে। রবিবারের নির্বাচনে আট কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
২০০০ সালে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার আগে ৭১ বছর মেক্সিকো শাসন করেছিল পিআরআই। কিন্তু অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে দলটির জনপ্রিয়তায় ধস নামে।
নিয়েতো ইতিমধ্যেই মেক্সিকো রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সেই ভাবমূর্তি এবং নির্বাচনী প্রচার তাঁর দলের পূর্ববর্তী নেতিবাচক ভাবমূর্তিতে পরিবর্তন আনে। গভর্নর থাকাকালে তিনি জনকল্যাণকর কাজ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।
মেক্সিকোর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফেলিপ কালদেরন নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় নিয়েতোকে অভিনন্দন জানান। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এবারের নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি।
নিয়েতোর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী পার্টি অব দ্য ডেমক্রেটিক রেভল্যুশনের (পিআরডি) লোপেস ওব্রাদর ৩১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে তিনি এখনো পর্যন্ত পিআরআই-এর জয় স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, 'শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.