লাভালিনের প্রতিনিধি জিয়াউল হককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি জিয়াউল হককে গতকাল সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলি ও মির্জা জাহিদুল আলম তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।


লাভালিনেরবিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর দুদক তদন্তে নামে। এর আগে এ বিষয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও সরকারদলীয় হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটনের বড় ভাই নিঙ্ন চৌধুরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদদ। তদন্তের স্বার্থে লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করল দুদক।
জিয়াউল হক গতকাল সকাল ৯টা ১০ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে যান। ঘণ্টাখানেক কর্মকর্তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে গত ২৪ জুন জিয়াউল হককে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জিয়াউল হক তখন দেশের বাইরে থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন জিয়াউল হক। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে লাভালিনের বাংলাদেশি সাব-কন্ট্রাকটর বলে দাবি করে জানান, তিনি লাভালিনের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি লাভালিনের জন্য প্রকাশ্যেই সব কাজ করেছেন। লাভালিনের বিষয়ে তাঁর বিশেষ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের জন্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মূল্যায়ন কমিটি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করে তা অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছিল। তালিকার প্রথমে ছিল এসএনসি লাভালিন। অন্যগুলো হলো, যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান হালক্রো গ্রুপ ইউকে, নিউজিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান একম অ্যান্ড এজেডএল, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট কম্পানি লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের জয়েন্ট ভেনচার কম্পানি হাই পয়েন্ট রেলেন্ড। এর মধ্যে এসএনসি লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক লাভালিনকে পরামর্শক নিয়োগে অনুমোদন না দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তা ফেরত পাঠায়। সম্প্রতি পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক।

No comments

Powered by Blogger.