সময়ের প্রতিবিম্ব-আরও ভালো নয়, আরও মন্দ চাই না by এবিএম মূসা

প্রধানমন্ত্রী সমীপে বিনীত নিবেদন: পক্ষকাল রোগশয্যায়, তাই টক শোতে যাওয়া হয়নি, প্রথম আলোতে লেখালেখি করিনি। এরই মধ্যে গত ২৭ জুন সব সংবাদপত্রে আপনার একটি অনন্য প্রতিবেদন ‘ভালোর পসরা’ ছাপা হয়েছে। প্রতিবেদনটির আদিতে প্রদত্ত বক্তব্য প্রধানত আমার মতো কতিপয় কলামিস্ট আর টেলিভিশনের ‘গলাবাজের’ উদ্দেশে প্রদত্ত।


সেসব নিয়ে অভাজনের বিনীত বিলম্বিত নিবেদন পেশ করলাম। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সামান্য নাগরিকের বাহাসে লিপ্ত হওয়ার ধৃষ্টতা দেখাব না, শুধু আত্মপক্ষ সমর্থনে কিছু বক্তব্য পেশ করব। আই অ্যাম ফ্ল্যাবারগেসেটড, আমাদের লেখালেখি-বলাবলি আপনাকে ভাবিত করে জেনে আত্মশ্লাঘা অনুভব করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার সরকার পরিচালনার সফলতা-ব্যর্থতার দিক নিয়ে, দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে লেখালেখি করি, আপনার ভাষায় ‘কথায় ফুলঝুরি’ ছড়াই। আমরা মাত্র দু-চারজন দু-একটি পত্রিকায় লিখি, তিন-চারটি বেসরকারি চ্যানেলে আপনার সরকার ও দলের ‘ভালো-খারাপ’ আলোচনা করি। আপনার রয়েছে অগণিত অনুগ্রহভাজন লেখক ও কলামিস্ট। রয়েছে সরকারের সাফল্যের ‘ফুলঝুরি ছড়ানো’র জন্য অধিকতর পণ্ডিত-জ্ঞানী-গুণী, বাক্যবাগীশ, বুদ্ধিজীবী। তার পরও আমাদের কয়েকজনের বক্তব্য যে ‘জনগণকে বিভ্রান্ত’ করছে সে প্রয়াস ব্যর্থ করতে, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে বিস্তারিত প্রভাব’ অবমোচন করতে আপনার নিজেকেই কিনা কলম ধরতে হয়েছে ভেবেই আমার আত্মশ্লাঘা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ও আপনার সরকার কত যে ‘ভালো কাজ করছে’, তা জনগণের সমীপে পৌঁছানোর জন্য রয়েছে সংসদে দেওয়া আপনার তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থানকারী বিটিভি। আরও বারোটি নতুন চ্যানেল বিতরণ করেছেন আপনজন ও অনুগ্রহভাজনদের মাঝে। তারা জনমনে আমাদের গলাবাজি আর কলমবাজির বিরূপ প্রভাব বিমোচন করতে পারছে না। অথবা সমুচিত জবাব দেওয়ার উপযুক্ত মালমসলা পাচ্ছে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা ‘ভালোর পসরা’ নিয়ে ফেরি করছি, এই সত্যটুকু আপনি শুরুতেই স্বীকার করে নিয়েছেন। আপনি বলেননি আমরা ‘মন্দ চাই’, বলেছেন আপনার আড়াই বছরের ‘ভালো’ আমাদের মন ভরাতে পারছে না। আমরা ‘আরও ভালো চাই’, এই চাওয়া আমাদের নয়, জনগণের; যারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাদের। কারণ, আপনার সব ‘ভালো করার’ ফসল তাদের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না। কারণ, মধ্যিখানে আপনার দলের বাজিকরেরা অনেক ‘মন্দ’ দিয়ে আপনার সব ভালো কেড়ে নিচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যখন সাংবাদিকতা শুরু করি, আমাদের ব্রত ছিল জনমত গঠন করা। এখন আমরা শুধু জনমতের ‘প্রতিধ্বনি’ করি, তাদের নিত্যদিনের ভাবনার প্রতিফলন ঘটাই। একসময়ে আমরা শেরেবাংলা-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-শেখ মুজিবের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাস সৃষ্টিতে জনগণকে গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার মন্ত্রে দীক্ষিত করতে কলম ধরেছিলাম। চুয়ান্নতে নির্বাচনে মোসলেম লীগকে ধরাশায়ী করতে, জনগণকে ঊনসত্তরে গণ-আন্দোলনে ছাত্রসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছি। ছেষট্টিতে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার মর্মার্থ এক দফা, জনতার দ্বারে দ্বারে আমরাই পৌঁছিয়েছি। ছয় দফার প্রাথমিক রূপকার ছিলেন পণ্ডিত-অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী ও অর্থনীতিবিদ নূরুল ইসলাম, প্রচার-প্রচারণায় ছিলেন সাংবাদিক মূসা-মুকুল-ফয়েজ ও গাফ্ফার। বঙ্গবন্ধু তাদের কাছে টেনে একান্ত আলাপচারিতায় আগাম জানান দিয়েছেন, তাঁর আদর্শের, স্বপ্নের বয়ান তারা সেসব লেখনীতে রূপান্তর করেছে, জনমনে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রচার করেছে। এখন আপনি কত যে ‘ভালো’ করছেন, আরও কত ভালো চান, তা আমরা জানি না বা বুঝি না, তাই জনগণকে বোঝাতে পারি না। অপরদিকে দিবারাত্রি ‘ইয়েস নেত্রী’ জপ করা আজকের তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, চাষী আলম, রাসপুটিনের ব্যূহ ভেদ করে আপনাকে জনগণের চিন্তাভাবনার খবর সরাসরি পৌঁছাতে পারি না; যা দেখি, শুনি, সাধারণ মানুষ জানায়, তা-ই লিখি ও শোনাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইয়ুব আমলে ভাসানী-সোহরাওয়ার্দী-মুজিব জেলে, রাজনৈতিক দলের নেতারা ডিগবাজি খাচ্ছেন; তখন জনগণের প্রতিবাদের ভাষা আমরাই পত্রিকার পাতায় অতি সাবধানে অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রকাশ আর প্রচার করেছি। অনেক রাখঢাক করে ‘চালাকির’ সঙ্গে সচেতন পাঠক ও গণতন্ত্রপিয়াসী জনগণকে সামরিক একনায়কদের কুকীর্তির তথ্য আর সত্য জানিয়েছি। আমরাই আগরতলা মামলার ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করেছি। মামলাটি যে ষড়যন্ত্র, তা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পত্রিকায় ছেপে, জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে ‘খেপিয়ে’ তুলেছি। যত সব স্লোগান জাগো-জাগো বাঙালি জাগো অথবা বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো আমাদের কলম-নিঃসৃত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অতীত থেকে বর্তমানে আসি। আপনার প্রতিবেদনে উল্লিখিত সরকারের ‘উন্নয়ন’ কর্মকাণ্ডের বাস্তব রূপ আর জনগণের প্রাপ্তির মধ্যে যে ফারাক, তা আপনার বিজ্ঞ পরামর্শক ও সাথিদের জ্ঞান নিয়ে, পরিসংখ্যান পড়ে বোঝানোর বিদ্যা আমাদের অনেকের নেই। তাই আপনার মেগাওয়াটের হিসাবের উন্নয়নের ‘ভালো’ সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পারি না। তারা মনে করে, সুইচ টিপলে আলো পেলেই ‘আরও ভালো’ পাওয়া হবে। বিগত বিএনপি সরকারের নির্যাতন, সন্ত্রাস, দ্রব্যমূল্য রোধে ব্যর্থতার কাহিনি আমরাই জনগণকে জানিয়েছি। সেসবের বিপরীতে এখন ‘ভালো’ পাওয়ার জন্যই আমাদের লেখালেখি আর বলাবলি। বিএনপির ধোঁকাবাজির নির্বাচন পরিকল্পনা আমরা উদ্ঘাটন করেছি, আর আপনি লগি-বৈঠা দিয়ে আন্দোলন করে ভণ্ডুল করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনগণ উড়াল রাস্তা, পদ্মা সেতু চায়, তেমনি চায় সেই রাস্তা আর সেতুতে নিরাপদে সন্ত্রাসমুক্ত যাতায়াতের নিশ্চয়তা। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় ডাকাতি-খুন-রাহাজানির এত খবরের মাঝে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির ভালো পসরার খবর তাদের মাঝে পৌঁছায় না। তার পরও আমরা আপনার ‘ভালোর পসরা’ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পক্ষে কলম ধরেছি। বেগম জিয়ার দেশ বেচার ভ্যানর-ভ্যানরকে ব্যঙ্গ করেছি। আমরা ট্রানজিটের আর্থিক সুফল ব্যাখ্যা করেছি, এখনো করছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির আদর্শের পরিপন্থী ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের’ নামে ধর্মাশ্রয়ী, পরোক্ষে ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টির রাজনীতির পসরা বহন করতে রাজি নই। এ সম্পর্কে ভবিষ্যতে বিশদ ব্যাখ্যা দেব।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা ‘আপনাদের আন্দোলনের ফসল’ ১/১১-এর অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরোধিতা করিনি, বরং আমরাই প্রথম থেকে বিএনপির সাজানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের গোমর ফাঁক করতে কলমের রিফিলের কালি শুকিয়েছি, টেলিভিশনে গলা ফাটিয়েছি। অতঃপর দুটি বছর মতিয়া চৌধুরীর কথা অনুযায়ী আপনার ‘মূষিকেরা’ যখন গর্তে, আমরা ১/১১ সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করেছি। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রুখে দিয়েছি। জেনারেল মইন যখন ২০০৭ সালের মে মাসে বললেন, ‘আমাদের দেশি গণতন্ত্র অচল, বিশেষ ধারার রাজনীতি চাই’, তখন জবাব দেওয়ার কেউ ছিল না। যাঁদের জবাব দিতে রাস্তায় নামার কথা, তাঁরা সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক-কুয়ালালামপুরে। ফিরে এসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। আমি প্রথম প্রথম আলোতে লিখেছি, ‘মইন সাহেব, আমাদের গণতন্ত্র শেখাবেন না। আমরা আপনার কথায় আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।’ জেনারেল মইন পরদিন সকালে আমাকে টেলিফোন করলেন, ‘মূসা সাহেব, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা শুধু ট্রেন ট্র্যাকে তুলে দিচ্ছি।’ বছর না যেতে তাঁকে বলেছি, ‘জেনারেল সাহেব, ট্রেন ট্র্যাকে তুলে নিজেরাই চালকের আসনে বসে গেছেন। গণতন্ত্রের ট্র্যাকে যাঁরা ট্রেন চালাতে পারেন, তাঁদের জেলে ঢুকিয়েছেন অথবা দেশছাড়া করেছেন।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন ব্যারিস্টার রফিক-শফিক আইনি লড়াই করে, আমরা কলমবাজি আর গলাবাজি করে মইন-ফখরুদ্দীনকে ট্রেন থেকে নামিয়েছিলাম। সেদিন তো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো মিলন শহীদ হননি, কোনো আসাদের জামা রক্তে ভেজেনি, আপনার দলের কোনো দেলওয়ার ট্রাকের নিচে লাফিয়ে পড়েননি, নিষ্পেষিত হননি আপনার বর্তমানের মিত্র এরশাদের ট্রাকের চাকায়। নূর হোসেনের মতো ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে সেনাবাহিনীর রাইফেলের সামনে বুক চিতিয়ে দেননি। বরং সাংবাদিকেরা শহরে-গ্রামে-গঞ্জে নির্যাতিত হয়েছেন। সেই নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে সম্পাদকেরা জেনারেল মইনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেনাশাসিত সরকারের ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ আমরা তৈরি করিনি। উল্টো মাইনাস ষড়যন্ত্র ভণ্ডুল করার জন্য কলম ধরেছি, টেলিভিশনে নির্ভয়ে ‘গলাবাজি’ করেছি। প্রথম আলোতে লিখেছি, ‘মাইনাসে মাইনাসে প্লাস হবে’। আমরাই মাইনাস ষড়যন্ত্র ফাঁস করার জন্য, আপনার প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমের মোবাইল ফোনে কানাডার নম্বরে টেলিফোন করে বলেছি, ‘এখনই দেশে আসুন। কোটি মানুষ আপনার নেতৃত্বের জন্য হাহাকার করছে।’ বেগম জিয়াকে যেদিন জোর করে বিমানে তুলে দেবে, তার আগের রাতে টেলিফোনে বলেছি, ‘ম্যাডাম, দেশের বাইরে যাবেন না, মাটি কামড়ে পড়ে থাকুন।’ এমনিভাবে শুধু ‘কলমবাজি’ আর গলাবাজি করিনি, প্রয়োজনে রাজনৈতিক ‘অ্যাকটিভিস্টের’ ভূমিকাও পালন করেছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানাভাবে আপনার প্রতিবেদনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতে পারলাম না। শুধু আপনার দুটি সমালোচনার বিনীত জবাব দেব। ১. আপনি বলেছেন, বিএনপি সরকারের র‌্যাব গঠনের বিরোধিতা করেছিলেন, কিন্তু ক্ষমতায় এসে আপনি সেই র‌্যাব বিলুপ্ত বা সংস্কার করেননি। লিমনের ওপর নিষ্ঠুরতার নিন্দা করে বক্তব্য দিলেন, আমরা মানবাধিকার নিয়ে আপনার উদ্বেগে বিমুগ্ধ হয়েছি। সেই বক্তব্য রহস্যজনক কারণে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। বিএনপি আমলের ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’-এর নিন্দা করেছেন, কিন্তু বিএনপি বিদায়ের প্রাক্কালে নিরীহ মানুষের হত্যাকারীদের দায়মুক্ত করে গেল। সেই ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেননি। ‘ভালোর পসরা’ বর্ণনায় আপনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা এই আমলে সবচেয়ে ‘শান্তিতে’ আছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া দরিদ্র-মধ্যবিত্ত-স্বল্পবিত্তের মানুষ বলেন, ‘শান্তিতে’ শুধু নয়, দফায় দফায় চাল-ডাল-তেলের মূল্য বাড়িয়ে কালোবাজারি, মজুদদারেরা আগে কখনো এত ‘নিশ্চিন্তে’ ছিলেন না। তারা আপনার দলের বাজিকর আর সারা দেশে ছড়ানো ছোট-বড়-মাঝারি গডফাদারদের বিরুদ্ধে আপনার কাছে সরাসরি নালিশ করতে পারে না। আমাদেরকে বলে ও জানায়, তাই সেসব আপনার সরকারের গোচরে আনতে টক শোতে আলোচনা করি, পত্রিকায় লিখি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার খালু-কামালু হাজারো কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে তুলে নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে; সিঙ্গাপুর-জুরিখে তাদের ব্যাংকের হিসাবের খোঁজ হয় না। তাদের কারণে নিঃস্ব হওয়া লাখো যুবকের হাহাকার কলমবাজি-গলাবাজি করে আপনাকে জানিয়েছি। আপনার অর্থমন্ত্রী সান্ত্বনা দিলেন না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুলিশ-র‌্যাব তাদের লাঠিপেটা করল। আমরা শুধু সেই ছবি আর খবর ছাপি, যা হচ্ছে ‘মন্দের পসরা’।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনার সরকারের ‘ভালো চাই’। তাই আমরা বলছি-লিখছি, জনগণও আশা করছে ‘আরও ভালো’ না হোক, আড়াই বছরে মন্দ যা হওয়ার হয়েছে, বাকি আড়াই বছর ‘আরও মন্দ চাই না’। কারণ, মন্দের ভালো আওয়ামী লীগ আড়াই বছর পর আবার ক্ষমতায় না এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যে হারিয়ে যাবে। পাকিস্তানি ইসলামি সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় উন্মাদনার প্রত্যাবর্তন ঘটবে। আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীরা বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াবে। আমরা লেখার হাজারো অক্ষরে, কথার ফুলঝুরিতে সেই শঙ্কাটাই প্রতিনিয়ত আগাম প্রকাশ করছি।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.