আজ মহাসমাবেশ-কী জানি কী হয়!

শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে মহাসমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট। সমাবেশস্থলের সীমানা নির্ধারণসহ ১১টি শর্তে এ মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। অনুমতি পাওয়ার পর মিত্রদের নিয়ে প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রধান বিরোধী দল।


তবে সমাবেশের সীমানা বাড়ানোর আবেদন করেছে বিএনপি। 'চলো চলো ঢাকা চলো'- এ স্লোগান নিয়ে চারদলীয় ঐক্যজোট আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এ মহাসমাবেশ করছে।
এ মহাসমাবেশ ঘিরে সারা দেশে জনমনে বিরাজ করছে উদ্বেগ। মানুষের আশঙ্কা- কী জানি কী হয়! জনগণের এ উৎকণ্ঠার প্রতিফলন ঘটেছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও। গতকাল রবিবার দুপুরে তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মহাসমাবেশ নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এ কারণেই সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মহাসমাবেশ করতে পুলিশের দেওয়া শর্তগুলো হচ্ছে- ১. মাইক ব্যবহারের এলাকা পূর্বদিকে ফকিরাপুল ক্রসিং এবং নাইটিংগেল (কাকরাইল) ক্রসিং; ২. সমাবেশের জন্য নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না; ৩. নির্ধারিত এলাকার বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না; ৪. ভূমি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে; ৫. মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে না; ৬. রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া অন্য কাজে মঞ্চ ব্যবহার করা যাবে না; ৭. দুই ঘণ্টার বেশি আগে লোক জমায়েত হতে পারবে না সমাবেশস্থলে; ৮. দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরু করে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে; ৯. নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে কোথাও সমবেত হওয়া যাবে না এবং নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোথাও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না; ১০. সমাবেশ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না; ১১. জনস্বার্থে কোনো কারণ না দেখিয়েই অনুমতি বাতিল করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, অনুমতি দেওয়ার আগে বিএনপির পাঁচ নেতার সঙ্গে পুলিশের একটি বৈঠক হয়। বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ওই বৈঠকেই ১১টি শর্তযুক্ত অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তর) রুহুল কবির রিজভী রাতে জানিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে আরেকটি আবেদন পুলিশ কমিশনারের কাছে দেওয়া হয়েছে। লোক সমাগম বেশি হওয়ার কারণে সমাবেশের সীমানা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে তাতে। আবেদনে নয়াপল্টন থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর, কাকরাইল থেকে মালিবাগ এবং বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন পর্যন্ত সীমানা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করা হবে : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, মহাসমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করা হবে। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি তিনি মহাসমাবেশে দলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপিসহ জোটের শরিক ও সমমনা দলগুলো। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ শুরু হবে আজ দুপুর আড়াইটায়। শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে। তবে দুপুর ১২টায়ই দলের নেতা-কর্মীরা জমায়েত হবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।
জোট সম্প্রসারণের ঘোষণা আসছে : মহাসমাবেশ থেকেই সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হবে। এ ছাড়া জোট সম্প্রসারণ এবং নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে সরকারকে সময় বেঁধে দেবেন তিনি। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ চারদলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন। বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সমাবেশে যোগ দেবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা।
বিএনপিসহ চারদলীয় ঐক্যজোটের নেতারা আশা করছেন, আজকের মহাসমাবেশে হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ। বিভিন্নভাবে সরকারের বাধা সত্ত্বেও ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে তাঁদের। সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের উপস্থিতি ঘটবে। জামায়াত নেতারা দাবি করেন, তাঁদের উদ্যোগেই দুই থেকে আড়াই লাখ লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে গত রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জোটের শরিক দল এবং এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ সমমনা দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। চারদলীয় জোট সম্প্রসারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে দলের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে : এদিকে গতকাল দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল মহাসমাবেশে সরকারের নানা বাধার অভিযোগ করে বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে যেকোনো পরিস্থিতিতে মহাসমাবেশ করবেন তাঁরা। কোনো বাধাই সমাবেশ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, সারা দেশকে ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তার পরও সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা এখন ঢাকায় এসেছেন। তিনি বলেন, মহাসমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। একই সঙ্গে চলমান আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ড. আবদুল মঈন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির, ফজলুর রহমান পটল, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যর্থ, অযোগ্য সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দুই মাস আগে বিএনপি চেয়ারপারসন 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। সরকার এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, মহাসমাবেশকে ঘিরে সারা দেশে এ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের সহযোগিতায় নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসার পথে বেদম প্রহার করেছে। আহতের সংখ্যা তিন হাজারের অধিক।
ফখরুল বলেন, ঢাকার সঙ্গে নৌ, রেল ও সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে সরকার। একটি রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে এভাবে বাধা প্রদান পাকিস্তান আমলেও হয়নি। তিনি বলেন, সদরঘাট, সায়েদাবাদ, গাবতলীতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষজনকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। মাওয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটসহ সব মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি মহল্লায় নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ নির্যাতন চালাচ্ছে।
মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি : ডিএমপির অনুমতি পাওয়ার পর পরই মঞ্চ তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দলের নেতা-কর্মীরা। গত শনিবার রাত থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কের দুই পাশে পুলিশ সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নেয়। পুলিশ মঞ্চ নির্মাণের সামগ্রী বাঁশ, কাঠ ইত্যাদি ঘিরে রাখে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর মঞ্চ করা হয়েছে। মঞ্চ থেকে ফকিরাপুল ও কাকরাইল মোড় পর্যন্ত মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। নিজস্ব উদ্যোগে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর কার্যালয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুনে পুরো এলাকা ছেয়ে গেছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকার ভবনগুলোর দেয়াল ঢেকে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে।
ইন্টারনেটে সরাসরি প্রচার : জনসভার শৃঙ্খলা রাখতে অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্থান বরাদ্দ করা দেওয়া হবে। মঞ্চের সামনে এবং পাশে অর্থাৎ নয়াপল্টন এলাকায় থাকবে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও মহিলা দল। প্রতি সংগঠনকে জায়গা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নির্ধারিত জায়গায় বসতে নিষেধ করা হয়েছে জামায়াত নেতা-কর্মীদের। খালেদা জিয়ার বক্তব্য ইন্টারনেটে সরাসরি প্রচার করা হবে। www.bnplive.com- এ ঠিকানায় আজ দুপুর আইড়াইটা থেকে মহাসমাবেশ দেখা যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজস্ব নিরাপত্তাও থাকছে : এ ছাড়া বিএনপির নিজস্ব একটি সিকিউরিটি ফোর্স পুরো মহাসমাবেশ মনিটর করবে। থাকবে অসংখ্য ভিডিও ক্যামেরা। উঁচু বিল্ডিংয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরা বাইনোকুলারের মাধ্যমে পুরো মহাসমাবেশ মনিটর করবে। বিএনপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা ঢাকার বাইরের নেতা-কর্মীদের ঢাকা মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও নিজ নিজ অঙ্গসংগঠনগুলো স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
বিএনপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের ২৫ জন ক্যাপ্টেন মনসুর গোল চত্বরে ও ২৫ জন কাকরাইল মোড়ে, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২৫ জন নাইটিংগেল মোড়ে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সমাবেশ মঞ্চের পশ্চিম পাশে বিএনপির ভিআইপি (কেন্দ্রীয় নেতা) ও অতিথিদের পাহারায় থাকবে ৫০ জন করে। নাইটিংগেল মোড় থেকে ভিআইপি ও অতিথিদের স্থান পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আইনশৃঙ্খলা উপকমিটির ৩০ জন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিড় : ব্যাপক পুলিশ মোতায়েনের পরও গতকাল সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দুপুর নাগাদ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ের সামনে দেখা যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হ্যান্ডমাইকে কর্মীদের কার্যালয়ে ভিড় না করে সোমবার সমাবেশে আসতে অনুরোধ জানান। তারপরও কর্মীদের ভিড় কমেনি।
১০ পয়েন্টে অভ্যর্থনা ও বিকল্প আবাসন : রাজধানীর ১০টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সারা দেশ থেকে আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অভ্যর্থনা জানাবে বিএনপি। এ জন্য ৫০ সদস্যবিশিষ্ট ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। অভ্যর্থনা টিমগুলো গাবতলী ব্রিজ, মিরপুর বেড়িবাঁধ রোড, উত্তরা হাউস বিল্ডিং ৬ নম্বর সেক্টর, মহাখালী সেতু ভবনের পাশে, মহাখালী বাস টার্মিনাল, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়, শ্যামপুর পোস্তগোলা ব্রিজ, নয়াবাজার, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাটে অবস্থান নেবে।
মেডিক্যাল টিম : মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে ৩৬টি। এগুলোতে ৮৯ জন ডাক্তারসহ ৮৫১ সদস্য থাকবেন। রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশ পথে একটি করে মেডিক্যাল টিম অবস্থান করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম থাকবে। ১১টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। পল্টন এলাকায় থাকবে ১০টি মেডিক্যাল টিম।

No comments

Powered by Blogger.