বন্ধ ঘরে দুই ভাইয়ের লাশ

ঘরের এক পাশে বড় ভাইয়ের ঝুলন্ত লাশ। আরেক পাশে মেঝেতে ছোট ভাইয়ের প্রাণহীন দেহ। গতকাল শনিবার রাজধানীর ভাটারা থানার এক বাড়িতে এভাবেই উদ্ধার হয়েছে দুই সহোদরের লাশ। মৃত দুই ভাই হলেন, মো. জাবেদ (৫৫) ও মো. জামশেদ (৫০)। পুলিশের ধারণা, ছোট ভাইকে মেরে বড় ভাই আত্মহত্যা করেছেন।


প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুই ভাই জোয়ার সাহারায় একটি টিনশেড বাড়ির এক কক্ষে থাকতেন। খবর পেয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। জাবেদের দেহ ঘরের সিলিং ফ্যানে বাঁধা রশিতে ঝুলছিল। আর জামশেদের লাশ পড়ে ছিল মেঝেতে।
প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জিয়াউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বড় ভাই জাবেদ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ছোট ভাই জামশেদ একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। প্রায় সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি লেগে থাকত। গত শুক্রবার রাতে তাঁরা বাসায় ঢোকেন। পরদিন শনিবার দুপুর হয়ে গেলেও বাসায় কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় এক প্রতিবেশী জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দুই ভাইয়ের লাশ দেখেন। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশের গুলশান অঞ্চলের উপ-কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, কক্ষের ভেতর একটি পাত্রে বিষজাতীয় কিছু পদার্থ পাওয়া গেছে। জাবেদের মুখে ওই বিষের গন্ধ ছিল। অন্যদিকে জামশেদের গলায় আঙুলের ছাপ দেখা গেছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, জামশেদকে গলা টিপে হত্যা করে জাবেদ গলায় দড়ি দেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মনিরুজ্জামান সাংবাাদিকদের বলেন, দুই বছর ধরে দুই ভাই সেখানে ভাড়া থাকতেন।
কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, তাঁরা সেহরীর সময়ও দুই ভাইয়ের কথাবার্তা শুনেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের পরিবার-পরিজন নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.