জিনথেরাপি অনুমোদন পাচ্ছে ইউরোপে!

চিকিৎসায় জিনথেরাপিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন ইউরোপের বিজ্ঞানীরা। জেনিটেক (বংশগত) রোগের চিকিৎসায় এ থেরাপি ব্যবহার করা হবে। চর্বিযুক্ত খাবার খেলে যাদের হজমে সমস্যা হয়, মূলত তাদের চিকিৎসায় জিনথেরাপি প্রয়োগ করা হবে।


বংশগত কারণে যাদের খাদ্য পরিপাকে সমস্যা হয়, তাদের চিকিৎসায় জিনথেরাপি হিসেবে ‘গ্লাইবেরা’ ওষুধ ব্যবহারে ইতিমধ্যে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি সুপারিশ করেছে। এখন ইউরোপিয়ান কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বিষয়টি। সেখান থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
জিনথেরাপির ধারণা খুব সহজ বিষয়। রোগীর শরীরের জেনেটিক কোডে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সমস্যাযুক্ত অংশটি পরিবর্তন করে ফেলাই হচ্ছে জিনথেরাপি।
তবে জিনথেরাপির ধারণা যতটা সহজ, বাস্তবতা ঠিক ততটাই জটিল। পরীক্ষামূলক গবেষণায় জিনথেরাপি প্রয়োগের ফলে জেসি গেলসিঙ্গার নামে যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। অন্য আরেক রোগী আক্রান্ত হয় লিউকোমিয়ায়। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণাগারের বাইরে অন্য কোথাও জিনথেরাপি ব্যবহারের সুযোগ নেই।
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির মানবদেহের উপযোগী ওষুধের ব্যবহারসংক্রান্ত কমিটি লাইপোপ্রোটিন লাইপেস ডেফিসিয়েন্সিজনিত (হজমে সমস্যা) রোগের চিকিৎসায় জিনথেরাপি হিসেবে গ্লাইবেরা ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইউনিকয়ার এ ওষুধ তৈরি করেছে।
প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে একজনের লাইপোপ্রোটিন লাইপেস ডেফিসিয়েন্সি রয়েছে। চর্বি ভেঙে দেয় এ এনজাইম। এর ঘাটতি দেখা দিলে চর্বিযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা দেখা দেয়। জিনথেরাপির মাধ্যমে ভাইরাস ব্যবহার করে মাংসপেশির কোষের ভেতরে সক্রিয় জিন প্রবেশ করানো হয়। খাওয়ার পর যারা হজমের প্রচণ্ড সমস্যায় ভুগছে, তাদের শরীরে এ জিনথেরাপি প্রয়োগ করা হবে। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.